নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১
নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলায় ২৫০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। আজ বুধবার উপজেলার কুজাইল বাজার মাঠে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা।
খাদ্যসামগ্রী পেয়ে রহিম মিয়া নামের এক উপকারভোগী বলেন, আমি পঙ্গু। এই পাও নিয়ে কোনো কাম করা পাই না। কষ্টে কনোমতে দিন যায়। সরকার নাকি সাহায্য করে সেই সাহায্যও পাই না। ভাতার ট্যাকা দিয়া খরচ চালাই। তোমরা হামাঘরের জন্যে যা করলিন তা ভুলবার পারমু না। সবার ভালো হোক।
জিন্না খাতুন নামের এক উপকারভোগী বলেন, তোমাঘের বসুন্ধরা গ্রুপ মোকে সাহায্য দিল। এলা দিয়া মোর মেয়েক নিয়ে অনেক দিন খাবার পারমু। আমার খুব উপকার হইলো বা। দোয়া থুই, মোক আরো দিবার পারবি তোরা।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে নওগাঁ ৬ আসনের (আত্রাই রাণীনগর) সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই সারাদেশে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের জেলায়ও তারা তিন হাজার পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে। এর জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই তাদের। আমরা চাই তাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আপনারা সতর্ক থাকবেন। কেউ অযথা ঘর থেকে বের হবেন না। সবাই করোনার টিকা নিবেন। আত্মীয়-স্বজনের নিতে উৎসাহিত করবেন।
রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রী সুশান্ত কুমার মাহতো, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা, শুভসংঘ রাণীনগর শাখার সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাকারিয়া সরল, পিন্টু খন্দকার, এনামুল হক, সাজুল, এরশাদ, কুদ্দুস, শাহিনুর, মিজানুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দু`পায়ের একটি নেই দোলে বেগমের। চলাফেরা করেন লাঠিতে ভর দিয়ে। স্বামী বেঁচে নেই। হয়নি কোনো ছেলে সন্তান। তাই এক মেয়েকেই নিয়েই অন্যের ভিটায় মাথার ঠাঁই গুঁজেছেন। সঙ্গে মেয়ের জামাইও থাকেন। রিকশা চালিয়ে সামান্য উপার্জন তার। কোনভাবে দুই বেলা খেয়ে বেঁচে আছেন। আজ চন্ডিপুর মাদরাসা মাঠে এসেছেন শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী নিতে। শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে বস্তা আঁকড়ে ধরে কেঁদে দিলেন দোলে বেগম। বলেন, কি কমু বা দুঃখের কথা। মেয়েত জামাই দিন আনে দিন খায় তা দিয়াই মোক কষ্টত চলে যায়। তোমাঘর খাবার পানু, দোয়া করি। আল্লা আরো দিবার তৌফিক থুক।
আব্দুল লতিফ বলেন, মুই আগে ডেকোরেটর দোকানত কাম করতাম। এলা করোনায় দোকান বন্ধ। কাম করবা পারি না৷ খাওয়া কষ্ট হয়। এলা চাল-ডাল দিয়া ১০ দিন খায়ে থাকপা পারুম৷ তোমাঘরক আল্লা সুস্থ থুক।
শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে আমেনা বেগম নামের এক উপকারভোগী বলেন, মোর স্বামী মারা গেছে। বেটা আর বেটার বউ ভিনো খায়। মোর এটা ১৪ বছরের বেটি আচে। ওর বিয়া দিচু নতুন। মানুষের বাইত কাম করে দিন চলে। নতুন বেটির বাইত অনেক কিচু দিবা হয় কিন্তু মুই নিজেই একন খাওয়া পাচোনা বেটিক কি দিমু? করোনা না হলে তাও মানসের বাইত কাম কিরে দিন চলত। একন তো খাওয়ার কষ্ট। তোমরা আজকা এলা না দিলে আজকাও না খায়ে থাকপা হলোহিনি। তোমরা যারা ত্রান দেচিন হামাঘরক আল্লা বেকের ভালো থুক।
আজ বুধবার নওগাঁ জেলার সদর উপজেলায় তাদের মতো ৫০০ অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সকলের মাঝে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা দেওয়া হয়।
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩০০ ও চন্ডিপুর বোর্ড মাদরাসা মাঠে ২০০ পরিবারকে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনতামূলম কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হারুণ-অর-রশীদ বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের এমন একটি উদ্যোগের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জেলার অসংখ্য অতিদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিবে তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাই। করোনা মোকাবেলায় আগামী ৭ তারিখ থেকে আপনাদের মাঝে গণটিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। আপনারা সবাই টিকা গ্রহণ করবেন। এছাড়া সবাই সঠিকভাবে মাস্ক পরে থাকবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
চন্ডিপুর বোর্ড মাদরাসা মাঠে উপস্থিত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে এখন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জীবিকা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কিছুদিন নিশ্চিতে খেতে পারবে তারা। আমি বসুন্ধরা গ্রুপ এবং শুভসংঘের সবার মঙ্গল কামনা করি। আগামীতেও আপনাদের এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে সেই প্রত্যাশা করি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল, কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. মামুন অর রশিদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আক্তার রানা, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, নওগাঁ জেলার সভাপতি এড. বুলবুল আহমেদ, আতিক শাহরিয়ার, মুমিনুল ইসলাম, শাকিল হোসেন ও উত্তরা ইউনিভার্সিটির সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন রনিসহ সেচ্ছাসেবী নিয়ন, নিশান, রূপক, সেতু, জয়, রায়হান, সাব্বির, মুন্না, সজল, রবিউল, রাজকুমার।
বগুড়া জেলার আত্রাই উপজেলয় ২৫০ অতিদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। তাদের মাঝে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি ডাল ও তিন কেজি আটা বিতরণ করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার কাশিয়াবাড়ী বাজার মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া সকলের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সুরক্ষায় সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়।
হুইল চেয়ারে বসা মহি আক্তার। বয়স ষোলোর ঘরে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। কথা বলে মনের ভাবও প্রকাশ করতে পারে না। বাবা কৃষক। মহি ছোট বেলা থেকে বেড়ে ওঠেছে নানার কাছে। কাশিয়াবাড়ী বাজার মাঠে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে এসেছেন নানা। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তার কাছে। মহি কথা বলতে না পারলেও খাদ্য সহায়তা পেয়ে আনন্দিত হয়েছেন নানা। তিনি বলেন, ‘তোমাঘরক অনেক ধন্যবাদ হামাক ত্রাণ দেওয়ার জন্য। দোয়া করি দুধেভাতে থাকো। আল্লা ভালো করবে।’
মোসলেম মিয়া নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘হামি ভ্যান চালাই। দিন আনি দিন খাই। কিন্তু লকডাউনের তঙ্কে ভ্যান চালাও বন্ধ। এখন ঘরত বসে আচি কিন্তু পেটতো আর কেচুই মানেনা। প্রতিদিন খাবা তো হবে। হামরা দিন আনে দিন খাওয়া মানুসেরা বিপদে পড়ে গেচি। তোমরা হামাঘরের বিপদের দিনত পাশে দাঁড়াইচিন। তোমাঘরের ভালো হক।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে উপজেলার ভোঁপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানবাক্স বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘ আমাদের উপজেলাসহ সারা দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই দোয়া করি তাদের যেন আল্লাহ মঙ্গল করে। করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখেন। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো দেশের সকল বড় প্রতিষ্ঠান অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে লকডাউনে দেশের সকল অসহায় মানুষ ঘরে বসে খেতে পারতো। আমাদের করোনা মোকাবেলা করতে সহজ হত। তাই আমি সবাইকে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানাই।’
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন- কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, আত্রাই উপজেলা শাখার সভাপতি মুজাহিদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি বাবুল আখতার রানা, শুভসংঘ রাণীনগর শাখার সভাপতি এসএম সাইফুল ইসলামসহ সেচ্ছাসেবী আব্দুস সাত্তার, আব্দুল খালেদ, সাদ্দাম, মনোয়ার হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন।
মন্তব্য করুন
পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করাসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। শুক্রবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
সরকারি কর্মচারীরা বলেন, ‘সরকার আমাদের যে বেতন-ভাতা দিচ্ছে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সবাইকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এ দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি: সচিবালয়ের মতো আমরা যারা বাহিরে কর্মরত, আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করুন। বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়িভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো –
১. পে কমিশন
গঠন করে ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে কর্মচারীদের জন্য
অন্তর্বর্তীকালীন ৫০ শতাংশ মহার্ঘ
ভাতা দিতে হবে।
২.
রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর
ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন
স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী
প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩.
সচিবালয়ের মতো সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের
পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ
এবং এক ও অভিন্ন
নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৪.
টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল,
বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের
স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি
১ টাকার সমান ৫০০ টাকা
নির্ধারণ করতে হবে।
৫.
সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায়
বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯-এর ভিত্তিতে ১০ম
গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের
কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৬.
প্রাথমিক শিক্ষার
দপ্তরি কাম প্রহরীসহ আউট
সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে
নিয়োগ করা ও উন্নয়ন
খাতের কর্মচারীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে
হবে। ব্লক পোস্টে কর্মরত-কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের
পদোন্নতি বা ৫ বছর
পরপর বেতনস্কেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৭.
বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ
করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের
বয়সসীমা ৩৫ বছর ও
অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ
করতে হবে।
মানববন্ধনে
বক্তব্য দেন, সরকারি কর্মচারী
কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ও মুখ্য সমন্বয়ক
মো. ওয়ারেছ আলী, সেক্রেটারি ও সমন্বয়ক খায়ের
আহম্মেদ মজুমদার প্রমুখ।
সরকারি কর্মচারীরা দফা দাবি আন্দোলনে
মন্তব্য করুন
দুর্বৃত্তের
ছোড়া গুলিতে মারা গেছেন নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিকদার মোস্তফা কামাল (৪৩) ।
শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার কুন্দশী এলাকায় তাকে গুলি করা হয়। পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিহত
মোস্তফা কামাল শিকদার উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম হোসেন শিকদারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাবেক সদস্য এবং মল্লিকপুর ইউনিয়ন
পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া থেকে নিজ বাড়ি মঙ্গলহাটার দিকে যাচ্ছিলেন সিকদার মোস্তাফা কামাল। এসময় কুন্দশী-মঙ্গলহাটা গ্রামীণ সড়কের সমীর সিকদারের বাড়ির সামনে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছিল। তবে পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
লোহাগড়া
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার
রায় বলেন, দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে মোস্তফা
কামাল শিকদার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। একটি গুলি তার
বুকে লেগেছিল। তাকে ঢাকায় নেওয়া
হচ্ছিল। খবর পেয়েছি তিনি
মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
লোহাগড়া গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যু
মন্তব্য করুন
টানা তীব্র তাপদাহের পর বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও গুড়ি গুড়ি, আবার কোথাও শিলাবৃষ্টি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সাত সকালে বজ্রসহ বৃষ্টি দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকাতে।
শনিবার (১১ মে) ভোর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে ঢাকাজুড়ে। সকাল সাড়ে ৭টার পর থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
রাজধানী ঢাকা বৃষ্টি বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ মে) রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেয়ার কথাও এক ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন এই চিকিৎসক।
হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।
হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি
মন্তব্য করুন
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন