নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২১
কিশোরগঞ্জের মহিনন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মনসুর আলী। বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে তার এবং তার পরিবার নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট বিতর্ক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ সদরের শীর্ষ দালাল-রাজাকারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সদর উপজেলার মহিনন্দ এলাকার আ. ছালাম। তার চারছেলের মধ্যে বড়ছেলে শওকত আলী মৃত। অপর তিনছেলের মধ্যে লিয়াকত আলী মহিনন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং এ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক ছেলে মোহাম্মদ আলী স্থানীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। আর ছোটছেলে মনসুর আলী করেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
এমন একটি পরিবারের সন্তান হয়ে কীভাবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকতে পারেন সে প্রসঙ্গে মহিনন্দ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিন্দ্র চন্দ্র সরকার ওরফে মন্টু জানান, মনসুরের বাবা আ. ছালাম মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ পরিবারের সদস্য মনসুরকে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মত দল কী করে তাকে মনোনয়ন দেয়? এবার দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
তবে মনসুর আলী দাবি করেছেন তার বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন না। তিনি বলেন, তার বাবা মুসলিম লীগের সদস্য ছিলেন। আর তার ভাই লিয়াকত আলী বিএনপির কোন কমিটির নেতা নন এবং আরেক ভাই মোহাম্মদ আলী জামায়াতের সদস্য নন, তিনি মানিকগঞ্জের এক পীরের মুরিদ বলেও দাবি করেন।
তবে মনসুর আলীর বড়ভাই লিয়াকত আলী মহিনন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।