কোর্ট ইনসাইড

আজ বসছে না সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ

প্রকাশ: ০৯:৪৮ এএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail আজ বসছে না সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি টি এইচ খানের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ আপিল ও হাইকোর্টের বিচার কাজ আজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  

আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ বেঞ্চে বসলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল টিএইচ খানের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
 
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সিনিয়র আইনজীবী টিএইচ খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ (আপিল ও হাইকোর্ট) পরিচালনা করা হবে না।

এর আগে রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫ টায় বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা ও নিউমোনিয়া নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান টিএইচ খান। দেশের প্রবীণ এই আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় টিএইচ খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ঔটি গ্রামে দাফন করা হবে তাকে।

টিএইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের ফুলপুর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপনাও করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ এই আইনজীবী।

১৯৫১ সালের ১৪ মার্চ তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হন। ১৯৬৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে আবার আইন পেশায় ফিরে আসেন।

১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হলে তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনের বিরোধিতা করায় গ্রেপ্তার হন।

১৯৯২ সালে টিএইচ খান সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের মেম্বার এবং একই বছর জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৫ সালে টিএইচ খান সাউথ এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচারকার্য পরিচালনা করে দেশে ফিরে এসে আবার আইন পেশা শুরু করেন।

সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী কারাগারে

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের সাত নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে আসামিরা পার্বতীপুর আমলী আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, পার্বতীপুর পৌর জামায়াতের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম (৫০), সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান (৪৫), পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সাদো (৫০), যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হোসেন (৪২), স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম বাবু (৩০), উপজেলা যুবদলের সদস্য কাজী আল মামুন (৩২) ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহাবুবুর রশিদ সংগ্রাম (৪০)।

জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত বছর আগে ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের হলদিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হামলার শিকার মোটরসাইকেলের মালিক পার্বতীপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরই প্রেক্ষিতে আসামিরা চলতিবছর ১৪ মার্চ হাইকোর্ট থেকে ৪০ দিনের আগাম জামিনে মুক্ত হয়। জামিনের শেষ দিন শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পার্বতীপুর আমলী আদালত দিনাজপুরে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত সাত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন।


নাশকতা   বিএনপি-জামায়াত   কারাগার  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

রিট খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি একমত পোষণ করেছেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দারের লেখা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত শুধু মৌলিক নীতিগুলো অন্য কোনো বিধানের সাথেও অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধানে ইসলামকে "রাষ্ট্রধর্ম মর্যাদা" প্রদান করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ২(ক) অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পড়তে হবে এবং পড়লে এটা সুস্পষ্ট হয় যে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ধারণার সন্নিবেশ কোনভাবেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করে না এবং সংবিধানে বাহুল্যতাও সৃষ্টি করে না।

রায়ে বলা হয়েছে, তর্কিত সংশোধনী সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রভাবিত করে না। অতএব, আমরা মনে করি তর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২ক সন্নিবেশ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান সংবিধান বিরোধী নয়। বিষয়টিকে সহজ করার প্রয়াস হিসেবে, উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক আমরা আমাদের রায়ে আলোচনা করেছি। রিট আবেদনকারী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবীগণের সুনির্দিষ্ট আইনগত যুক্তিসমূহ আমরা রায়ে প্রকাশ করা থেকে বিরত থেকেছি কারণ সাংবিধানিক বিষয় "সামগ্রিকভাবে " আলোচনা করা উচিত।উপরোক্ত আলোচনার আলোকে রুল খারিজ করা হলো। রায়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মকে যে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়া হয়েছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক রায়ের এ পর্যবেক্ষণের একমত প্রকাশ করেছেন।

২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এই রিটে আবেদনকারীর আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) নেই।

বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় দেন।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন।

তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ,অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, লেখক বদরুদ্দীন উমর, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন আদালত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।


রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম   সংবিধান   হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। শপথ নেওয়া বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।


শপথ   আপিল বিভাগ   বিচারপতি   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন, বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার তাদের শপথ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

আপিল বিভাগ   বিচারপতি   সুপ্রিম কোর্ট   রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

রোহিঙ্গা ভোটারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনের চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সহযোগিতায় এনআইডি কার্ড বানিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের এনআইডি কার্ড তৈরি করে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে একটি চক্র। এমতবস্থায় কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনসহ তিনজনকে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাহ ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গতকাল ২৩ এপ্রিল স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া একটি রিট দায়ের করেন। রিটে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কতজন রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তা খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্টাদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৪০ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়েছে। এরআগে একই ইউনিয়নে কয়েকশ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।


হাইকোর্ট   রোহিঙ্গা ভোটার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন