সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের আজকের আদেশের ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন পেতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন ২০১৮ সালের ১৪ জুন প্রত্যাখ্যান করে ইসি। এর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ নভেম্বর ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপিকে অবিলম্বে নিবন্ধন দিতে ইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইসি ২০১৯ সালে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা আজ খারিজ হলো।
আদালতে ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়াছিন খান। নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।
পরে আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন পেতে আইনি বাধা নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর (শুক্রবার)‘তৃণমূল বিএনপি’ নামের নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির সাবেক নেতা ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সে সময় তিনি বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে তৃণমূল বিএনপি গঠন করা হয়েছে।’
ওই দিন রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্র, আদর্শ ও কাঠামো নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য জানান ‘তৃণমূল বিএনপির’ আহ্বায়ক নাজমুল হুদা। এর আগে নাজমুল হুদা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স নামে একটি জোট গঠন করেছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপি
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী লিগ্যাল নোটিশ মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এ
জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) সকালে সিঙ্গাাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম
সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে
আপিল বিভাগে অনুশীলনের জন্য তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি
জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত
হন।
তিনি ২৪ জানুয়ারী ২০০৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ, জে, মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট বার
মন্তব্য করুন
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত
হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায়
হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক
পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল
ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান
ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক
গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর
দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ
করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের
২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী
হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড.
মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার
(০২ মে) দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের
আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক
পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল
ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম
শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান
ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক
গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর
দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ
করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের
২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩
জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী
হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন