বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন
নূর পরশ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
করা মামলায় গ্রেপ্তার আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন
দিয়েছেন আদালত।
রোববার
(৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা
মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের
আদালতে পুনরায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন
আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর
রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। এদিন ফারদিনের বাবা
আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানি
শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
জামিনের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত
পাবলিক প্রসিকিউটর মোঃ মাহবুবুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) একই আদালতে বুশরার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
এর আগে, ফারদিনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে ১০ নভেম্বর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় ‘হত্যার পর লাশ গুম’ করার অভিযোগ আনেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অভিযোগে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন বলেন, ফারদিনকে রামপুরা এলাকায় বা অন্য কোথাও হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার পেছনে তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।
তার আগে, ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে’।
এ মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ফারদিনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাদক সংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন ও কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে এক ধরনের ‘সমঝোতা’য় পৌঁছে ডিবি পুলিশ ও র্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।
মন্তব্য করুন
নাহিদ সুলতানা যুথী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন শেখ ফজলে শামস পরশ শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
গঠনতন্ত্র
অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের
বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
হিসেবে জি এম কাদেরের কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলা জজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগ
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল
রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের
নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে
জাকির খানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি
করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত
বছরের ১৫ জুন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকে (৪৯) অস্ত্র মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
নারায়ণগঞ্জ
জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান দেওভোগ এলাকার দয়াল মাসুদ নামে
অপর এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সাব্বির
আলম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা
মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বসুন্ধরার ভটারা এলাকায় অভিযান
চালিয়ে অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন। একইসঙ্গে মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুনসহ ৬ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক
অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন
শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার দিন আজ ধার্য করেন আদালত।
মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে
বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী। কারাদণ্ডের
পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন
আদালত।
অন্যদিকে, খালাসপ্রাপ্তরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর
রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ
রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত
না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দ্রুত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৮
এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম
তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ
ড. উর্মি বিনতে সালাম। এরপর তাজুল ইসলাম তাজ মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত রিট
আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাজের রিট আবেদন গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (৯ মে) রুল জারি
করেন। তাই এখন তাজুল ইসলাম তাজের নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোনো বাধা থাকলো না। রিটের
শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে
নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমার সঙ্গে অন্যায়
করা হয়েছিল। এখন ন্যায়বিচার ফিরে পেয়েছি। জনগণ আগামী ২১ মে আমাকে ভোট দিয়ে
তাদের রায় দেবেন। উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থীর মধ্যে
তাজের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে কামাল হোসেনকে বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
মৌলভীবাজার মনোনয়নপত্র হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন