গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। গত বুধবার (১৭ মে) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিচারাধীন এই মামলা শুনানি শুরু হয়। আজ (২৩ মে) আবারও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৯ মে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। গত ৭ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে হাইকোর্টকে জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ এই পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ফ্যামিলি ট্রাস্ট এবং ইউনূস সেন্টারের নামে ৭৭ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে বলে অভিযোগ বিচারাধীন আছে। এসব অর্থ তিনি দান করেছেন বলে দাবি করেছিলেন ড. ইউনূস। যা কর আইন ১৯৯০ এর ৪ ধারা অনুযায়ী অব্যাহতিযোগ্য নয় বলে সে সময় আয়কর বিভাগ জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিন বছরের আয়কর রিটার্নের বিরুদ্ধে দান করা সেই মামলা চালু করে ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সর্বোমোট ১৫ কোটি ৪১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে।
মুহাম্মদ ইউনূস জরিমানা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করেন এবং তার আপীল একই বছরের ৩০ এপ্রিল খারিজ করা হয়। এরপর কর আপীলাত কর্তৃপক্ষের আপীল আদেশের বিরুদ্ধে আপীলাত ট্রাইব্যুনালে পুনঃরায় আপীল করেন তিনি। আপীলাত ট্রাইবুনালের ডিভিশন ১ নং বেঞ্চ আপীল খারিজের আদেশ বহাল রাখে।
আইনী বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা জরিমানার প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশনের জন্য ২০১৫ সালের ৫ মার্চ পৃথক ৩ টি রেফারেন্স দায়ের করান (যার নম্বর -১০৮, ১০৯ , ১১০/২০১৫ইং)।
উক্ত রেফারেন্সের আলোকে মহামান্য হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি নিস্পত্তি হবার পূর্ব পর্যন্ত জরিমানা তথা কর দাবী আদায়ের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।
অন্যদিকে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছে দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
এনবিআরে পাঠানো দুদকের চিঠি থেকে আরও জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানকে দলনেতা করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কর অঞ্চল ১৪-এর আওতাধীন সার্কেল ২৮৭-এর উপকর কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে এই কমিটি। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ নিটওয়্যার, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিস এবং গ্রামীণ ফ্যাশন অ্যান্ড ফেব্রিকসের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং ইউনুস ফ্যামিলি ট্রাস্টের দান করা অর্থ সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছে অনুসন্ধান কমিটি।
এনবিআরের কর অঞ্চল ১৪ এর সার্কেল ২৮৭ মূলত কোম্পানির আয়কর সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে। উল্লেখিত কোম্পানিগুলো এই সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করে। এ কারণেই দুদক থেকে সরাসরি এই সার্কেলের উপকমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এনবিআর কর্তৃক মুহাম্মদ ইউনূসের আয়কর মামলা বর্তমান আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়। এখন এনবিআর দুদক এবং আদালতের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর ফাঁকি মামলা শুনানি
মন্তব্য করুন
বিজেপি আন্দালিব রহমান পার্থ কোটা আন্দোলন ডিএমপি
মন্তব্য করুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া জানান, গত ২৩ জুলাই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
বাকিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য করুন
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকতার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।
গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মন্তব্য করুন
বুধ এবং বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) আদালতের কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে তাণ্ডব শুরু হলে শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে সরকার। তবে এর মধ্যেই রোববার নজিরবিহীনভাবে বসে আদালত। এদিন কোটা সংস্কার করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বাড়ানো হয়। যদিও প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল।
এ ধারাবাহিকতায় বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ আশপাশের ৪ জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলোর সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।
এদিকে বুধবার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। আগামী দুই দিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকও খোলা থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সময়সূচিতেই ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সুপ্রিম কোর্ট বিচারকাজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন
উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির
জন্য মেনশন করব। আশা করছি জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে
আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে দুই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুই শিক্ষার্থীর পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
দুই শিক্ষার্থী হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
গত মঙ্গলবার প্রথম ও দ্বিতীয়
শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া
রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। লিভ টু আপিলে হাইকোর্টের রায়
বাতিল চাওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি চেষ্টা
মন্তব্য করুন
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কোটা বাতিল চেয়ে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা রোববার সকালেই আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দ্রুত শুনানির জন্য মেনশন করব। আশা করছি জনগুরুত্ব বিবেচনায় আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করবেন। শুনানিতে আমরা হাইকোর্টের রায় বাতিল চাইব।