দশম
জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই
নির্বাচন ও শপথ নেওয়ার
অভিযোগে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ২৯০ জন এমপির
শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজের বিরুদ্ধে
করা লিভ-টু আপিলও
খারিজ হয়েছে।
মঙ্গলবার
(১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব
উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে ২৭ জুলাই
একাদশ জাতীয় সংসদের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা
রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু
হয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৭
সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে চলে শুনানি। পরে
৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য্য
করা হয়। সেদিন আপিল
বিভাগের এক বিচারপতি অসুস্থ
থাকায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্যের
বৈধতার আপিল শুনানি পিছিয়ে
আজকের দিন ধার্য করা
হয়।
২০১৯
সালের ৩ জানুয়ারি একাদশ
জাতীয় সংসদের ২৯০ সংসদ সদস্য
শপথ নেন। এর আগে
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
আর ২০১৪ সালের ৫
জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত ব্যক্তিরা
সে বছরের ৯ জানুয়ারি শপথ
নেন। একই বছরের ২৯
জানুয়ারি ওই সংসদের প্রথম
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সংবিধানের
৭২ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে,
সংসদের মেয়াদ গণনা হবে সংসদের
প্রথম বৈঠক থেকে পাঁচ
বছর। তাই দশম সংসদের
মেয়াদ শেষ হয়নি। দশম
সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে
শপথ নেওয়া হয়েছে। এমন যুক্তিতে একাদশ
সংসদের ২৯০ সদস্যের নেওয়া
শপথের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে ২০১৯
সালের ১৪ জানুয়ারি একটি
রিট করেন আইনজীবী তাহেরুল
ইসলাম তৌহিদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের
১৮ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নেওয়া
শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা
রিট খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।
এরপর
রিট আবেদনকারী ২০১৯ সালের ২০
সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল
করেন।
হাইকোর্ট সুপ্রিম-কোর্ট আদালত আইন সংসদ এমপির শপথ
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের উপ-নির্বাচন
স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ
দেন।
গত ১৬ মার্চ ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা যান। শূন্য হওয়া এই আসনে আগামী ৫ জুন উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
মন্তব্য করুন
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য
বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১ মাসের মধ্যে তাকে
দেশে ফিরতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল
বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ৩০ এপ্রিল ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান
চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ৩০ মার্চ আমানউল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আদালতে আবেদন করেন।
গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের
মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি
ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার
বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন।
পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন
খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ
অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই
বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড
দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের
১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল
বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে
আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন
সদ্য প্রয়াত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল
ও সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রোববার বন্ধ থাকবে সুপ্রিম
কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ।
রোববার (০৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর
আপিল বিভাগ ও বেলা ১১টার পর হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চ বসবেন না।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্তের
কথা জানান। তিনি বলেন, আইনজীবীরা শুধু আজ তাদের মামলা মেনশন করার সুযোগ পাবেন। মেনশনের
সুবিধার্থে আপিল বিভাগ সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ও হাইকোর্ট বিভাগ সকাল ১১ টা পর্যন্ত বসবেন।
এর আগে, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধান
বিচারপতির নেতৃত্বে চারজন বিচারপতি আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে বসেন।
গত ২ মে মারা যান এ জে মোহাম্মদ আলী।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে দেশটির মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা যান তিনি।
সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ২০০৫
থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বাবা এম. এইচ. খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বিএনপি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট বিচারকাজ
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী লিগ্যাল নোটিশ মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন