নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ১৭ জুলাই, ২০২১
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
শনিবার (১৭ জুলাই) দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতির অনুসন্ধান চলাকালে গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
সূত্র আরো জানায়, গত ৮ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় গত ৮ জুলাই ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় দুদক।
এদিকে, গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করাসহ নানা অভিযোগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে করা বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে আসা আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকেও (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, `ইভ্যালি ডটকমের চলতি সম্পদ দিয়ে মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে বা অর্থ ফেরত দিতে পারবে। বাকি গ্রাহক এবং পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধ করা ওই কম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। এ ছাড়া গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮.৬২ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, যা আত্মসাৎ কিংবা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।`
গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম এবং মার্চেন্টের পাওনা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা `আত্মসাৎ ও পাচারের` অভিযোগে এরই মধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এর অংশ হিসেবে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক-দুই মাসের আগাম সময় নিয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে পণ্য সরবরাহের বিভিন্ন `অফার` দেওয়া শুরু করেছিল ইভ্যালি। তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি, প্রাইভেট কারসহ নানা পণ্যের ক্রেতাদের ভিড় জমেছিল ইভ্যালিতে। স্বল্প মূল্যের এসব পণ্যের জন্য টাকা নেওয়া হতো অগ্রিম, কিন্তু কিছু ক্রেতাকে পণ্য দিয়ে বাকিদের অপেক্ষায় রাখার কৌশল নিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পরে অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নীতিমালায় বলা হয়, অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোকে পণ্যের অর্ডার নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরবরাহ করতে হবে এবং ১০ শতাংশের বেশি অগ্রিম টাকা নেওয়া যাবে না। এর পর থেকে ভাউচারের অফার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এতে ক্ষতির মুখে পড়েন প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকরা।
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামী বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বরিশাল অতিরিক্ত ১ম জেলা ও দায়রা জজ আয়শা নাসরিন এর আদালতে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজ ফকির, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম আকন ও সাবেক ছাত্রদল কর্মী কামরুল বেপারী। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তুহিন মৃধা ওই সময় বরিশালের মাদক নিরাময় কেন্দ্র হলি কেয়ার রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি থাকায় চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর বানারীপাড়া থানায় বিস্ফোরক বিশেষ আইনে দায়ের হওয়া এ মামলার বাদী ছিলেন উপজেলার বেতাল গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী কবির হোসেন মৃধা।
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত
তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা নির্দেশ
দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের
দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আগামী ১৩ মের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে ফুটপাত
বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত আদালত তা জানানোর জন্য বলেছেন বলে
জানান মনজিল মোরসেদ।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদীর স্থায়ী জামিন (পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত) দিয়েছেন আদালত। মামলার অধিকতর
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন
দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন
ধার্য করেন।
অন্যদিকে, খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর
রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো
অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮
এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল
দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির
গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। আলোচিত এ মামলার বাদী ওই
শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার
প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে
পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের
বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা
গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। নিহত আব্দুর রহমানও একই গ্রামের
বাসিন্দা ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর
রাতে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি
থেকে ধরে আসামি আলমের বাড়িতে নিয়ে যায় অন্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে
বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এবং পা দিয়ে বুক ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন