নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করা রিট আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করায় এই ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে এ অপারগতা জানান। আদালতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।
ফখরুল ইসলাম জানান, আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ শিক্ষার্থীর ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ৫০ শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জনকে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।
তখন আদালত বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন। তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করেন।
এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন বলেও জানা যায়।
মন্তব্য করুন
বরিশালের বানারীপাড়ায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামী বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা-কর্মী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বরিশাল অতিরিক্ত ১ম জেলা ও দায়রা জজ আয়শা নাসরিন এর আদালতে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজ ফকির, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম আকন ও সাবেক ছাত্রদল কর্মী কামরুল বেপারী। এছাড়া মামলার ১ নম্বর আসামী পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তুহিন মৃধা ওই সময় বরিশালের মাদক নিরাময় কেন্দ্র হলি কেয়ার রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি থাকায় চার্জশীট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে খালাসপ্রাপ্তরা আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর বানারীপাড়া থানায় বিস্ফোরক বিশেষ আইনে দায়ের হওয়া এ মামলার বাদী ছিলেন উপজেলার বেতাল গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী কবির হোসেন মৃধা।
মন্তব্য করুন
তাপপ্রবাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাইকোর্ট
মন্তব্য করুন
রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত
তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা নির্দেশ
দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের
দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আগামী ১৩ মের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে ফুটপাত
বিক্রি ও অবৈধ দখলকারীদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত আদালত তা জানানোর জন্য বলেছেন বলে
জানান মনজিল মোরসেদ।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড
কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদীর স্থায়ী জামিন (পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত) দিয়েছেন আদালত। মামলার অধিকতর
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু
নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন
দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন
(পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন
ধার্য করেন।
অন্যদিকে, খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া
রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর
রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো
অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮
এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল
দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির
গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। আলোচিত এ মামলার বাদী ওই
শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার
প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে
পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের
বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা
গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। নিহত আব্দুর রহমানও একই গ্রামের
বাসিন্দা ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর
রাতে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি
থেকে ধরে আসামি আলমের বাড়িতে নিয়ে যায় অন্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে
বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে এবং পা দিয়ে বুক ও পেটে আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন