কালার ইনসাইড

সন্তানে অনীহা কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৮


Thumbnail

তিনি তারকা। তাঁর সবগুণ আছে। দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে করছেন ঘর সংসার। কমতি শুধু ‘সন্তান’। এই অপূর্ণতা পূর্ণ করবেন কবে? কী নেই তাঁদের? তবে কেন সন্তান নেই? এমন ইস্যু নিয়ে কথা হলো শোবিজ অঙ্গনের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। কেন এমন সন্তানহীন? কী ভাবছেন ভবিষ্যত নিয়ে। হাতেগোনা কয়েকজন এ নিয়ে কথা বললেও, প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেছেন অনেকে।

একটা কথা না বললেই নয়, তারকাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছদ নতুন কথা নয়। এক নয় একাধিক তারকার বিবাহ বিচ্ছেদের কাহিনী আমাদের খুবই চেনা। তবে এই বিবাহ বিচ্ছেদের পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিয়ের পর অনেকই আর নতুন করে সন্তান নেননি। কিছু তারকার প্রথম বিবাহের সন্তান ছিল এবং পরের বিয়েতে আর সন্তান চায়নি এই কাহিনী কিন্তু অনেকেরই অজানা।

এ ক্ষেত্রে বলিউড অভিনেত্রী সাইরা বানু তার স্বামী কিংবদন্তি দীলিপ কুমারকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি কখনো সন্তানের অভাববোধ করিনি, কারণ দীলিপ বাবু একজন শিশুর মতো’। এই দম্পতি চিরস্থায়ী প্রেমের জন্যও জনপ্রিয়।

আমাদের দেশীয় তারকাদের মধ্যে নায়ক আলমগীর ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন গীতিকার খোশনুরকে। গায়িকা আঁখি আলমগীর তাদের একমাত্র কন্যা। খোশনুরের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমগীর ১৯৯৯ সালে গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন। আলমগীর- রুনা লায়লা দম্পতির কোনো সন্তান নেই। রুনা লায়লার আলমগীরের আগে তিনটি বিয়ে হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঘরে তানি লায়লা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এমন অনেকেই আছেন। যেমন হিল্লোল -নওশীন দম্পতির সন্তান নেই। দুজনারই আগের ঘরে সন্তান রয়েছে। হিল্লোলের মেয়ে ও নওশীনের ছেলে আছে। অমিতাভ রেজা বিয়ে করেছিলেন জেনিকে। সে ঘরে সংসার হয়নি। জেনি পরে বেসরকারি টেলিভিশন কর্মকর্তা তানভীরকে বিয়ে করেন। সে ঘরেও কোনো সন্তান নেই। তবে তানভীরের এক ছেলে আছে।

সন্তান নিয়ে কী ভাবছেন এ প্রজন্ম?

মাহিয়া মাহি

‘সত্যি বলতে ভাই, আমার তো মা হতে খুবই ইচ্ছে করে। কিন্তু হুট করে বিয়ে করলাম, কত মানুষ কত কথা শোনাল। বিয়েটা যখন করেছি, তখন ভেবেছি আমার সিদ্ধান্ত ঠিক। এখনই বিয়ে করা উচিত। আমার মনে হচ্ছে না এখনি সন্তান নেওয়া ঠিক হবে আমার জন্য। ক্যারিয়ারটা নিয়ে আর একটু ভাবতে চাই। ধরে রাখুন আরও বছর পাঁচেক পরে সন্তানের জননী হচ্ছি।’ বললেন মাহি।  ২০১৬ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন মাহি। তবে বয়স কত তা বললেন না। জানালেন ত্রিশের নিচে।

তিশা

আমাদের শোবিজে বহুল আলোচিত দুই নাম। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। একজন নির্মাতা, অন্যজন অভিনেত্রী। এ দম্পতি বিয়ে করেছেন ৮ বছর হয়ে গেল। ২০১০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এখনো নি:সন্তান তারা। তিশার বয়স ৩৫ বছরের বেশি। সন্তান নিয়ে কী ভাবছেন? ‘ভাবনায় তো অনেক কিছুই থাকে। সব তো ঠিকঠাক করা হয় না। এখনি সঠিক সময় কিনা জানি না। তবে আমাদের দুজনেই তুমুল ব্যস্ততা কাটিয়ে অনেক কিছু ভাবতে পারি না। এর বেশি কিছু বলার নেই’ বললেন তিনি।

কুসুম শিকদার

২০০৭ সালে বিয়ের পিড়িতে বসেন। ১১ বছর পরেও তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই। ঠিক কী কারণে তাঁদের ঘরে সন্তান নেই।

প্রভা 

২০১০ সালে অপূর্বকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর প্রেমিক রাজিব ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ফাঁস করে দেয়ায় অপূর্ব ডিভোর্স দেয় প্রভাকে। ২০১১ সালের শুরুর দিকে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে শেষের দিকে শান্তকে বিয়ে করেন। নানা সময়ে তাদের ডিভোর্সের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু যাই হোক। প্রভার ঘরেও নেই কোন সন্তান। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরা সন্তান নিতে পারেন না। সে হিসেব করলে অনেক তারকাই সে বয়স পাড় করেছেন। তাহলে কী তিনি সন্তান ছাড়াই জীবনটা পাড় করবেন?

রুমানা

রুমানা প্রথম সংসার গড়েছিলেন উপস্থাপক আনজাম মাসুদের সঙ্গে। প্রেমের সে বিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারেনি। আনজামকে ছেড়ে রুমানা বিয়ে করেন ব্যবসায়ী সাজ্জাদকে। দ্বিতীয় সংসারও দিতে পারেনি কোনো সন্তান। সে সংসারও টিকলো না। তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মার্কিন নাগরিক ব্যবসায়ী এলিন রহমানের সঙ্গে। সে বিয়ের তিনবছর হয়ে গেল। নতুন কোন খবর মেলেনি এখনো।

তাঁদের বয়স চল্লিশোর্ধ্বঃ

সুবর্ণা মুস্তাফা

ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ুন ফরিদী দুবার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮০`র দশকে। `দেবযানী` নামের তাঁর এক মেয়ে রয়েছে এ সংসারে। পরবর্তীতে সুবর্ণা মোস্তফাকে তিনি বিয়ে করলেও তাঁদের মধ্যেকার বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে ২০০৮ সালে। এই দম্পতির কোন সন্তান নেই। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। বিচ্ছেদের পর সুবর্ণা বিয়ে করেন নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে। ২০০৮ সালের ৭ জুলাই বিয়ে করেছিলেন। নিজের চাইতে ১৪ বছরের ছোট সৌদের ঘরেও মাতৃত্বের স্বাদ পাননি এ অভিনেত্রী। এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেতে রাজি হননি সুবর্ণা ও সৌদ।  

বন্যা মির্জা

অধ্যাপক মানস চৌধুরীকে ২০১০ সালে বিয়ে করেন বন্যা। ৮ বছর পরেও তাঁদের ঘরে কোন সন্তান নেই। এ নিয়ে কোন কথা বলতেও রাজি হননি বন্যা। শোনা যায়, তার বর্তমান বয়স ৪৫ ছুইছুই।

তানভিন সুইটি

র‌্যাম্প, মডেলিং, বিজ্ঞাপনের মডেলিং ছাড়াও অভিনয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন সুইটি। অভিনেতা ও নাট্য প্রযোজক রিপনের সঙ্গে সংসার জীবনের প্রায় দেড়যুগ হয়ে গেল। সে সংসারে এখনো পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখেননি সুইটি। তবে রিপন-সুইটির সংসার সুখেই চলছে।

অপি করিম

অপি করিমের সংসার ভাগ্য মোটেও ভাল না। অভিনয়ে তিনি যতটা সফল, সংসারে ততটাই বিফল। তিনবার বিয়ের পিড়িতে বসেন এ অভিনেত্রী। প্রথমে পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জাপান প্রবাসী আশিরের সঙ্গে। বছর না গড়াতেই সে সংসার ভেঙ্গে যায়। প্রেম করে বিয়ে করেন নাট্য নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জলকে। আবারও বিচ্ছেদের সুর। তৃতীয় বিয়ে করলেন নির্মাতা ও প্রকৌশলী এনামূল করিম নির্ঝরকে। গুঞ্জন আছে, ভালো যাচ্ছে না সে সংসারও। তিন সংসারেও অপি মা হতে পারেননি।

চল্লিশোর্ধ্ব, একাকিত্বের সংসার, নেই সন্তানও:

শমী কায়সার

লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত মাতৃত্বের স্বাদ পাননি। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। শোনা যায়, রিঙ্গোর আগেও একবার বিয়ে পিড়িতে বসেছিলেন শমী। তৃতীয় বিয়ে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাতকে। সে বিয়েও নয় বছর পরে ভেঙ্গে যায়। শমী এখন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শমীর বর্তমান বয়স ৪৯ বছর।

আফসানা মিমি

১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। খুব বেশিদিনের সংসার ছিল না। পরবর্তীতে রাকায়াত সংসারী ও পিতৃত্বের স্বাদ পেলেও মিমি আর বিয়ে করেননি। মিমির বর্তমান বয়সও ৫০ বছরের বেশি।

জয়া আহসান

শোনা যায়, জয়ার বয়স ৪৬ বছর। জয়া প্রথম বিয়ে করেছিলেন ফয়সাল আহসানকে। সংসারটা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পরবর্তীতে জয়ার প্রেম নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও বিয়ের পিড়িতে আর বসেননি। জয়া কী পাবে মাতৃত্বের স্বাধ?


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন