নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সিনেমা নির্মাণ করেন প্রযোজকরা, থাকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। ষাট ও সত্তর দশকে চলচ্চিত্রের প্রাণ ছিল গুলিস্তান। বড় বড় প্রযোজক ও পরিবেশকদের অফিস ছিল গুলিস্তানে। সবাই ওই এলাকাকে বলত ‘ছবিপাড়া’। ইকবাল ফিল্মস, চিত্রা ফিল্মস, আলমগীর পিকচার্স, আনন্দমেলা চলচ্চিত্র, এসএস প্রডাকশন, সনি কথাচিত্র- বিখ্যাত সেসব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এখন আর সিনেমা বানায় না। আশির দশকে এসে চিত্র পাল্টে। গুলিস্তান থেকে কাকরাইলে স্থানান্তরিত হয় ‘ছবিপাড়া’।
ভুঁইয়া ম্যানশন, ইস্টার্ন কমার্শিয়ালসহ আশপাশের কয়েকটি বিল্ডিংয়ে প্রযোজক-পরিবেশকদের অফিস বসে। চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠল কাকরাইল। এইতো সাত-আট বছর আগেও ছিল সনি কথাচিত্র, শুভ ইন্টারন্যাশনাল, সন্ধানী কথাচিত্র, আশা প্রডাকশনস, ফাইভস্টার ফিল্মস, নবীন কথাচিত্র, জননী কথাচিত্র, তিতাস কথাচিত্রের মতো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একের পর এক ছবি নির্মাণ করেছে। কিন্তু তারা প্রায় সবাই ব্যবসা গুছিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ প্রযোজক অফিস পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। সেসব প্রযোজকদের কোন খোঁজ নেই।
চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর জড়িত তিতাস কথাচিত্রের প্রযোজক আবুল কালাম। ২০১৪ সালে সর্বশেষ বানিয়েছিলেন শাকিব খানকে নিয়ে ‘ভালবাসা এক্সপ্রেস’। কিন্তু তারপর আর সাহস পাননি সিনেমা নির্মাণের। কারণ কী? ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সর্বশেষ শাকিব খানকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছি। তার আগের বছর বানালাম বাপ্পিকে নিয়ে। লাভ তো দূরের কথা, পুঁজিই ফেরত পাইনি। সারা জীবনের সঞ্চয় শেষ করেছি। প্রতিষ্ঠিত প্রযোজক ছিলাম, ব্যাংক লোন পেতাম। অনেক হিট ছবি উপহার দিতাম। পুঁজি নেই বলে নতুন করে ছবি বানানোর জন্য যখন ব্যাংকের দ্বারস্থ হলাম, তখন লোনও পেলাম না। কিভাবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে থাকব?’, বললেন কালাম।
কাকরাইলে গিয়ে খোঁজ নিলে আরও খারাপ অবস্থা চোখে পড়ে। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলো। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ‘মা কথাচিত্রের’ এম ডি বাদল। দুইযুগ সিনেমার সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন,‘ চোখের সামনে রমরমা ব্যবসা দেখেছি। প্রযোজকরা ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে যেত। গাড়ি- বাড়ির মালিক হয়েছে এই সিনেমার বদৌলতে। কিন্তু যখনই ব্যবসায় একটু ধস নামতে শুরু করেছে, একদম কেটে পড়েছে। অন্য ব্যবসায় সে টাকা লগ্নি করেছেন। তারা যে সবাই বসে ভালো কিছু করবেন। তা কেউ আর করেনি। আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত বেশির ভাগ প্রযোজক ছিল স্বার্থপর। নিজেদের স্বার্থ উসুল করে আমাদের মাঝপথে রেখে কেটে পড়েছে।’
খোঁজ নিয়ে তার কথার সত্যতাও মিলে যায়। কেউ গার্মেন্টস ব্যবসা কেউবা বড় মার্কেটে শো রুম দিয়েছেন। তাদের সামর্থ্য থাকলেও এখন আর ছবি বানাতে ইচ্ছুক নয়। ‘মুভি মোগল’ বলে পরিচিত আলমগীর পিকচার্সের জাহাঙ্গীর খান। কথা হলো তাঁর সঙ্গেও। একটা সময়ে তার প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বাধিক সিনেমা নির্মাণ হতো। এখন কেন সরে দাড়িয়েছেন? ‘২০০০ সালের পর থেকে একের পর এক রুচিহীন, মানহীন ছবি তৈরির অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হলো। ফলে সম্মান নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছি’ বলেন জাহাঙ্গীর খান। তাঁর সঙ্গে একমত আনন্দমেলা চলচ্চিত্রের প্রযোজক আব্বাস উল্লাহও। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত এই প্রযোজক বলেন,‘ কখনোই আমি সিনেমা থেকে সরে দাড়াতে চাইনি। মাত্র একজন নায়ক এখন। তাঁর শিডিউল মেলানোও মুশকিল। তা ছাড়া আমি সিনিয়র প্রযোজক। একটা সম্মান তো আছে। শিডিউলের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোটা আমার সাজে না। আর পরিচালকও বা কে আছে যাকে দিয়ে সিনেমা নির্মাণ করবো। এমন কেউ নেই যার উপর ভরসা করবো। বাধ্য হয়েই এখন নাটক প্রযোজনা করছি।’
তাছাড়া একটা সময়ে শাবানা, আলমগীর, সোহেল রানা, সুচন্দা, সুচরিতা, রাজ্জাকসহ অনেক অভিনয়শিল্পীও নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করতেন। বর্তমান সময়ে তারা সিনেমাতেও নেই। প্রযোজনাতেও নেই। সবটা থেকেই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে।
মোহাম্মদ আলীর মিনা ফিল্ম, মনির হোসেনের আশা প্রডাকশন, মাহমুদ হোসেন মুরাদের মেরিনা মুভিজ, মনোয়ারা ফিল্মস, নাভী ফিল্মস, আশীর্বাদ চলচ্চিত্র - গেল কয়েকবছর সচেষ্ট থাকলেও অনেকটা নিষ্প্রভ এখন। বর্তমান সময়ে প্রভাবশালী চারটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। চারটিই নতুন। এর মধ্যে রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া, হার্টবিট, টাইগার মিডিয়া ও শাপলা মিডিয়া। এর মধ্যে হার্টবিট, যার বয়স মাত্র ১০ বছর। শাকিব খানকে নিয়েই বেশিরভাগ সিনেমা নির্মাণ করেছে এ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। জাজ মাল্টিমিডিয়া যাত্রা শুরু করেছে ২০১১ সালে। নতুন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক তৈরীতে তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে নানা কারণে তারা বিতর্কিতও হয়েছে। শাপলা মিডিয়ার হাত ধরে মাত্র তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সবগুলোই শাকিব খানের। টাইগার মিডিয়া বর্তমানে অনেকটা নিশ্চুপ। তারা শর্টফিল্ম নির্মাণ করছে।
এছাড়াও অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেরই মাঝেমধ্যে নাম শোনা যায়। সেগুলোর একটি কিংবা দুইটি সিনেমার পর আর খোঁজ থাকে না। এখন আসলে ‘সিনেমা পাড়া’ বলতে জায়গাটা নেই বললেই চলে।
বাংলা চলচ্চিত্রের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। যাদের হাত ধরে শুরু থেকে জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে। সত্যিই চলচ্চিত্র খুব মিস করে, নায়ক রাজ রাজ্জাকের ‘রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন’, আব্বাস উল্লাহ ও মতিউর রহমান পানু ‘আনন্দমেলা সিনেমা লিমেটেড ও ছায়াছন্দ চলচ্চিত্র’, এস এম তালুকদার মান্না ‘কৃতাঞ্জলি চলচ্চিত্র’, ওয়াহিদ সাদিক ও শাবানা ‘এস এস প্রোডাকশন’, মোহাম্মদ হোসেনের ‘সনি কথাচিত্র’, নায়ক জসিমের ‘জ্যাম্বস ইন্টারন্যাশনাল লি’, মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘অমি বনি কথাচিত্র’ শফি বিক্রমপুরীর ‘যমুনা ষ্টার লি’, কৌহিনূর আক্তার সুচন্দা ‘সুচন্দা চলচ্চিত্র’, আরিফা জামান মৌসুমী ‘কপোতাক্ষ চলচ্চিত্র’, মোশাররফ হোসেন ‘মর্ডান ফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল’, জোহরা গাজী ‘দেশ চিত্রকথা’, চিত্রা জহির ‘চিত্রা ফিল্মস’ নুরুল ইসলাম পারভেজ ‘এটলাস মুভিজ’ কামাল ইউসুফ ‘লীনা ফিল্মস’, এ জে মিন্টু ‘সানফ্লাওয়ার মুভিজ’ গায়ত্রী বিশ্বাস ‘গীতি চিত্রকথা’ মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার ‘পারভেজ ফিল্ম’ রমলা সাহা ‘স্বরলিপি কথাচিত্র’, প্রদীপ দে ‘ঋদ্ধি টকিজ’, শফিকুল ইসলাম ‘বন্ধন বানীচিত্র’ , রোজী আফসারী ‘রোজী ফিল্মস’, খোশনূর আলমগীর ‘আঁখি ফিল্মস’ , রোজিনা ও ফজলুর রশীদ ঢালী ‘রোজিনা ফিল্মস’, হেলেনা মুস্তাফিজ সুচরিতা ‘মৌসুমী কথাচিত্র’, শহিদুল ইসলাম খোকনের ‘জেকে. মুভিজ’ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বাংলা ইনসাইডার/ এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী। বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'
বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’
অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী শাকিব খান
মন্তব্য করুন
ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া
এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত
সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র
সাইবার সেল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার
সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক
অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার
জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।
দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির
হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ
ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার
বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয়
দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ
অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি
‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।
তামান্না ভাটিয়া ভারতীয় সাইবার সেল বলিউড
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের
অভিনেত্রী পাওলি দাম।
মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন'
অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।
সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে।
তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা
ফাখরুল আরেফীন খান।
তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম।
এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।
এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।'
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক
জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে
সাংবাদিকরা।
গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে
এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র
সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম
তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু
আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে
আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী
শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের
আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে
কর্মরত বিনোদন বিটের
সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও
আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক
আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের
দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।
এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে
পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত
কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ
জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল,
রত্না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা এফডিসি মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।