নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
আইয়ুব বাচ্চু ও কুমার বিশ্বজিৎ, দুজনেই চট্টগ্রামের মানুষ এবং সংগীতেরও। তাই তাদের সখ্যতার শিকড় ছিলো অনেক গভীরে। কিন্তু, আচমকা সেই বন্ধু-বিরহের সংবাদে ভীষণ বিমর্ষ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। শেয়ার করলেন আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতি। সেই কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য…
বাচ্চুকে নিয়ে আমার স্মৃতির ‘ভার’ এতো বেশি- সেটা এখন আর বইতে পারছি না। কারণ, এতদিন আমরা ভাগাভাগি করে স্মৃতিগুলোকে বয়ে বেড়াতাম। আর আজ থেকে সব স্মৃতি ও আমার কাছে রেখে উড়াল দিলো। এই ভার কতটা ভয়ংকর, সেটা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
‘ব্যান্ড ৭৭’ দিয়ে ও আমার সহযাত্রী। সে হিসেবে ৪১ বছরের পথচলা আমাদের। তারপর ৭৮ সালে ওকে আমি নতুন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’-এ নিয়ে আসি। ৮২ সালে আমি ওকে ফেলে ঢাকায় চলে আছি। সলো ক্যারিয়ার শুরু করি। একই বছর ও জয়েন করে ‘সোলস’-এ। এরপর সেও ঢাকায় চলে আসে। এখানে এসে আবার আমরা একসঙ্গে। একই বাসায়, একই খাটে আমাদের সহস্র রাত-দিন কাটে।
দিন-রাত আমরা একসঙ্গে প্র্যাকটিস করছি। মিউজিক নিয়ে নানা স্বপ্ন নানা পরিকল্পনা আমাদের। আসলে ঢাকা-চট্টগ্রামের এমন কোনও জায়গা নাই অলি-গলি নাই যেখানে সুন্নতে খৎনা থেকে গায়ে হলুদের শো করিনি।
শুরু থেকেই বাচ্চুর মধ্যে যেটা প্রকট ছিল- খুব সহজে মানুষদের আপন করে নেওয়া। মিউজিক দিয়ে মানুষদের নিজের গ্রিপে নিয়ে আসা। একজন সিঙ্গারের জন্য এটা সবচেয়ে বড় গুণ। ও খুব তাড়াতাড়ি শ্রোতাদের আত্মীয় বানিয়ে ফেলতো। পারফরমেন্স দিয়ে। আমরা অনেকে মঞ্চে উঠে বলি না- কই হাততালি দেন। কিন্তু ওর বেলায় হচ্ছে অটোম্যাটিক। বলতে হতো না। মানুষ হাত তালি দিত তার কথায়-গানে-মিউজিকে মুগ্ধ হয়ে। মিউজিক দিয়ে মানুষকে সম্মোহন করার প্রচণ্ড পাওয়ার ছিল। মিউজিকের জন্য তার ডেডিকেশন, পরিশ্রম ও গান শোনা- সেটা আর কজন মিউজিশিয়ানের ছিল এবং আছে, আমার সন্দেহ হয়। সে যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি গান শুনতো- সেটা ভাবাই যায় না।
আমরা শুরুর দিকে মূলত ইন্সট্রুমেন্টাল বাজাতাম। আমি কিবোর্ড, বাচ্চু গিটার। তখন তার হাতটা পিওর ওয়েস্টার্ন শেখে। তার মধ্যে দুটো ভার্সনই ছিল। সে কিন্তু দেশ ও ওয়েস্টার্ন ব্ল্যান্ডিংটা করতে পারতো। এটার প্রবর্তক বাংলাদেশে কিন্তু সে-ই। আমরা কেউ না। এই ফিউশনটাকে তখন বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য করা- এটা কিন্তু যেন-তেন ব্যাপার না। এটা খুবই কষ্টের। আমরা যে ইমোশনের জাতি- সেখানে এসব কাজ করা খুবই রিস্কি। সেই রিস্ক সে একাই পার করে দিয়েছে চোখের সামনে। এই কথাগুলো আমাদের সবার জানা দরকার। প্রজন্মকে জানানো দরকার।
আমাদের পরিচয় ৭৫ সালের দিকে। একই এলাকায় থাকতাম, জুবলি রোডে। ওর বাসা আমাদের বাসা ওয়াকিং ডিসটেন্স। আমাদের দুই পরিবারের কেউই চাইতো না গানবাজনা করি। কারণ, কেউ কখনও তার সন্তানকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে চায় না। আমরা দুজনেই বাবা-মায়ের বড় ছেলে। তো কে চাইবে মিউজিক করে অনিশ্চিত ভাবিষ্যতে ঠেলে দিতে তার সন্তানকে? কিন্তু খালাম্মা আবার আমাকে খুব ট্রাস্ট করতো। আমি ওর বাসায় গেলে বলতেন, ঠিক আছে যাও। তুমি আবার ফেরত দিয়ে যাইবা। একইভাবে আমার মাও বাচ্চুকে ছেলের মতোই জানতো। সত্যি বলতে দুই পরিবারের দুজন মায়ের মমতার কারণে আমাদের দুজনের আজকের এই অবস্থান।
সেই সময়ে, আমরা যখন রাত্রি বেলায় শো করে ফিরতাম তখন বাসায় ঢোকা ছিল বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। তখন মাগরিবের আগেই ঢোকার নিয়ম, অথচ আমরা রাতের দুইটা তিনটা বাজে ফিরতাম। তখন আমার মা রান্না করে বেড়ে আমাদের খাওয়াতেন। তখন থেকেই আমার মায়ের প্রতি বাচ্চুর আলাদা একটা টান ছিল। আমার মা বলতো, আমার দুইটা ছেলে। আর বাচ্চু বলতো তার দুইটা মা।
কয়েকদিন আগেও মা আমাকে বলেছেন, বাচ্চুকে একটু আসতে বলিস।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনের স্ক্রল দেখে আমি প্রথমে ভাবলাম এটা অন্য কোনও আইয়ুব বাচ্চু। পরে যখন খেয়াল করে পড়লাম সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু- তখন চিৎকার করে বাচ্চাদের মতো কেঁদে উঠলাম। আমার স্ত্রী দৌড়ে এসে বললেন, কী হইছে কী হইছে...।
যাইহোক এভাবে তার মৃত্যুর খবর ঘুম ভেঙে শুনবো এত তাড়াতাড়ি- সেটা কল্পনাও করিনি। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা। সারাজীবন এত মানুষকে আনন্দ দিয়েছে, নিশ্চয়ই পরজনমে ও আনন্দেই থাকবে। বার বার আমার আজ এই কথাটাই মনে হচ্ছে।
সুখ এটুকুই, একটা সাকসেসফুল মিউজিক্যাল লাইফ পার করে গেছে আমার বন্ধু।
ভেবে দেখলাম, আমার চেয়ে ওর আপন শুরু থেকে এ পর্যন্ত আর একজনও নাই। আমরা পারলে এক বালিশে ঘুমিয়েছি। এক থালাতে খাইছি।
খুব মনে পড়ে। আমরা দুজন প্রথম ঢাকায় আসলাম ৭৮-৭৯ এর দিকে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল (শেরাটন) হোটেলের পাশে সাকুরা বারে আমরা অডিশন দিতে আসলাম। মানে পরীক্ষায় পাশ করলে এই বারে নিয়মিত বাজানোর সুযোগ হবে। ঢাকায় এসে উঠলাম বাসাবোর একটা হোটেলে। দুই দিন গেল, তারপরও অডিশনে ডাকে না। দুজনের পকেট ফাঁকা। পরিবার থেকে তো ‘না’ বলে আসছি। এরপর এক রাতে হোটেলে বসে বাচ্চুকে বললাম, তোর পকেটে কত আছে? বললো- ৫ টাকা। আমার পকেটে হাত দিয়ে পেলাম ১০ টাকা। বললাম, তাইলে আমরা চট্টগ্রাম ফিরে যাবো ক্যামনে? বাচ্চু তো আবার বেশ মজার লোক। সে আমার এই টেনশনের কোনও পাত্তাই দিলো না। সে আবার বেশ ভোজন রসিক ছিল। বলে, ‘আগে খাইয়া নিই বেটা। পরে অন্য হিসাব।’
আমি পরে ডাক দিলাম বেয়ারাকে। বললাম, আচ্ছা কমের মধ্যে কী আছে নাস্তা (ডিনার)। বললো, পরটা আর ভাজি আছে। বললাম, দুইটা পরোটা আর একটা ভাজি নিয়ে আসো। বেয়ারা আনলো। তখন আবার এগুলা খবরের কাগজে মোড়ায়ে দিতো। দুই পরটা একটা পেপারে। আরেকটা পেপারের টুকরায় ভাজি। বেয়ারা আমাদের রুমে আনার সঙ্গে সঙ্গে ভাজির পেপার ভিজে ধপাস করে হোটেল রুমের ফ্লোরে পড়ে গেল!
আমি তখন বললাম, বাচ্চু রুটি-ভাজিও তোর কপালে নাই। কী আর করা। পানি খেয়ে শুয়ে পড়।
বাচ্চু বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বললো, আরে রাখ তোর কপাল। এই বলে সে ফ্লোর থেকে ভাজিটা তুলে নিলো আরেকটা কাগজে। এরপর দুজনে সেটা তৃপ্তি নিয়ে খেলাম।
আহারে বাচ্চু... তোর এইসব স্মৃতির ভার আমি আর বইতে পারছি না।
বাচ্চুর নিথর দেহ হাসপাতালে ফেলে এসে বাসায় ফিরে এসব ভাবি আর মনে হয়, আজকের ছেলেরা যে মসৃণ একটা পথ পেয়েছে সেটা এই বাচ্চুদের ঘামের বিনিময়ে তৈরি হয়েছে। এই কথাটা আমরা যেন ভুলে না যাই। এমন হাজার হাজার কষ্টের ঘটনা আছে আমার আর বাচ্চুর। যা বলে শেষ করা যাবে না।
সংগীতের জন্য আমাদের দুই বন্ধুর দু’একটা কষ্টের ঘটনা না বলেও পারছি না। এসব বলতে চাইনি কখনও। না ও, না আমি। তবে এখন বোধহয় বলার সময় এসেছে। কারণ, আমি এসব বলে হালকা হতে চাই। এত এত স্মৃতির ভার আমি একা একা আর বইতে পারছি না।
মনে পড়ে, তখন আমাদের একমাত্র মিউজিক করার ক্ষেত্র ছিল বিয়ে বাড়ি। ২০/৩০টা বাস ভরে মেহমান আসতো বিয়ে বাড়িতে। তাদের তো ঘুমানোর জায়গা দিতে পারতো না। তাই আমাদের গান দিয়ে অতিথিদের জাগিয়ে রাখতে হতো। আমরা টানা গাইতাম আগের দিন সন্ধ্যা ৮টা থেকে পরেরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত! এরমধ্যে হয়তো যার বিয়ে তার শ্বশুর বলেছে মোহাম্মদ রফির গান করার জন্য। আবার কেউ হয়তো আবদার করলো ‘মান্না দে’ গাইবার জন্য। যা বলছে যেমনে বলছে তাই আমাদের গাইতে হতো। একবার এমন একটা অনুরোধ রাখিনি আমরা। ভুলে গিয়েছি হয় তো। সকালে আমাদের ইনস্ট্রুমেন্টস গুছাতে গুছাতে বললাম- ভাই আমাদের পারিশ্রমিক? জামাই বললো, আপনারা তো আমার আব্বার অনুরোধের গানটা পরিবেশন করেন নাই। সরি ভাই, আপনাদের জিনিস-পত্র (গিটার-কিবোর্ড-ড্রামস) দিতে পারবো না। আপনারা চলে যান।
পরে ওসব ফেলে রিক্সা ভাড়া করে গ্রাম থেকে শহরে ফিরে আসি খালি হাতে। এই যে কষ্টগুলো। এই করুণ কাহিনি আমাদের জীবনে এসেছে।
আরেকটা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে শেষ করি। দুই বন্ধু মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান শুরু করে দিলাম। বেশ ফুরফুরে মেজাজ আমাদের। হঠাৎ দেখলাম একজন দা হাতে নিয়ে আমাদের দিকে ছুটে আসছে! আমরা সব ফেলে দৌড় দিলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে তাকেই বললাম, ভাই কী হয়েছে? পেছন থেকে ঐ লোক বললো, আব্বা নামাজি মানুষ। উনি বলছে গান বাজনা হারাম। তোদেরকে আনছে কে। আজকে তোদের জবাই করে ফেলবো। ইত্যাদি। সঙ্গে গালাগালি তো আছেই।
এই কথা শুনে বাচ্চু একদিকে দৌড়াচ্ছে আমি আরেক দিকে। পায়ে একজনেরও স্যান্ডেল নাই। এরমধ্যে এই দৌড়ের সঙ্গে পেছনে যুক্ত হয়েছে বাড়ির দুই তিনটা কুকুরও। শেষ সম্বল ইন্সট্রুমেন্টও ফেলে এসেছি।
মিউজিকের জন্য এই যে কষ্ট, এই যে বাঁচার দৌড়- সেই দৌড় প্রতিযোগিতায় আমার বন্ধুটি ফার্স্ট হয়ে গেল আজ। বাচ্চু ছাড়া আমি একা, বন্ধুহীন, পরাজিত একজন। থেমে গেল আমাদের দৌড় প্রতিযোগিতা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী। বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'
বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’
অপু বিশ্বাস শবনম বুবলী শাকিব খান
মন্তব্য করুন
ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া
এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত
সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র
সাইবার সেল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার
সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক
অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার
জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।
দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির
হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ
ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার
বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।
ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয়
দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ
অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি
‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।
তামান্না ভাটিয়া ভারতীয় সাইবার সেল বলিউড
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের
অভিনেত্রী পাওলি দাম।
মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন'
অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।
সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে।
তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা
ফাখরুল আরেফীন খান।
তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম।
এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।
এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।'
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক
জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে
সাংবাদিকরা।
গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে
এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র
সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম
তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু
আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে
আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায়
অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী
শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের
আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে
কর্মরত বিনোদন বিটের
সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও
আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক
আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের
দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।
এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে
পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত
কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ
জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল,
রত্না।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা এফডিসি মানববন্ধন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।