কালার ইনসাইড

‘আমি ক্যানভাসার নাকি?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

টিটো রহমানের ‘বউ কথা কও’ গল্পের অনুপ্রেরণায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৌকীর আহমেদ নির্মাণ করেছেন নিজের ষষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ফাগুন হাওয়ায়’। আসছে শুক্রবার মুক্তি পাবে ছবিটি। তার আগে তৌকির আহমেদ কথা বলেছেন বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে। 

বাংলা ইনসাইডার: ছবিটি বানানোর প্ল্যান কীভাবে করা?

তৌকির আহমেদ: টিটো রহমানের ‘বউ কথা কও’ গল্পটা ২০০৫ সালের দিকে পড়া হয়েছিল। গল্পটি পড়ে পরিচালকের ভীষণ ভালো লাগে। মনে হতে থাকলো, ছোট এই গল্পটি রুপকভাবে ভাষা আন্দোলনকে ধারণ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে। লেখককে জানালাম, এটা নিয়ে ছবি নির্মাণ করতে আগ্রহী। সেই উপাদান আছে এই গল্পে। লেখক স্বাধীনতা দেয়। স্ক্রিপ্ট তৈরী করলাম অনেকদিন ধরে। এরপর শুরু হয় নির্মাণে হাত দেয়ার যুদ্ধ। ছবিটার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম ২০০৮ সালে। সেই থেকে চেষ্টা চলতে থাকে আর স্ক্রিপ্টের ঘষামাজা চলে। কিন্তু প্রডিউসার মিলছিল না। ২০১৫ সালে সরকারী অনুদান চাইলাম, তাও পেলাম না। একধরনের হতাশাই কাজ করছিল। আদৌ কি এই গল্পটা নিয়ে কাজ করা হবে। এরমধ্যে অন্য দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। অনেকে হয়ত ভেবেছে, ছবিটা চলবে না। প্রচলিত অর্থে নাচে-গানে ভরপুর নয়। কেউই টাকা লগ্নী করতে চায়নি। কিন্তু আমি তো ভাষা আন্দোলনের উপর কোনও ডকুমেন্টারি করছি না। শেষমেষ ২০১৫ সালের দিকে প্রডিউসার পেয়ে কাজ শুরু করলাম।

গল্পটা কী?

একটি মফস্বলের গল্প। যেটি আমাদের ভাষা আন্দোলনকে রিলেট করবে। এর মধ্যেও প্রেম আছে, সুন্দর গল্প আছে, বেদনা আছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমাদের দেশে এর আগে সে মাপের রিমার্কেবল কোনো কাজ হয়নি। আমাদের সবার মনের মধ্যেই একটা বিষয় গেঁথে রয়েছে- এ কাজটির দায়িত্ববোধ অনেক বেশি, একটা আর্কাইভাল কাজ।

মূল চরিত্রে সিয়ামকে নেয়ার কারণ কী?

নাসির চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। ওকে আমি প্রথম দেখি থাইল্যান্ডে। একটা নাটকে আমাদের কো আর্টিস্ট। তখন দেখলাম ছেলেটি ভদ্র এবং কাজের প্রতি সিনসিয়ার। কথা বলে বুঝলাম সে শিক্ষিতও। এরকম ছেলেই আসলে আমাদের দরকার যারা জিনিসটা দ্রুত তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পিক করতে পারবে। পরবর্তীতে আমার একটা নাটকে নিলাম ওকে। ওকে নেয়ার কারণও আছে। ও তখন নাটকে বেশ ভালো করছিল। ছবিটি করার সময় মনে হলো ওকে নিয়েই ট্রাই করতে পারি। আমার মনে হয় এই ট্রাইয়ের রেজাল্ট ভালো হয়েছে।

দীপ্তি চরিত্রে তিশা কেমন করেছেন?

খুব সাধারণ একটা চরিত্র। যে কষ্ট পেলে কাঁদে। তাকে সুন্দর কথা বললে সে হাসে। সে লজ্জা পায়। তার সুন্দর কিছু সম্পর্ক আছে তার দাদার সঙ্গে। তার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। আমি আশা করবো যখন এই ক্যারেকটারটা কেউ দেখবে। তখন তিশার জেনারেশনের যে মেয়েরা আছে তারা নিজেদেরকে দেখতে পারবে। নিজেদের ফিল করতে পারবে যে, আমিও মনে হয় এভাবেই হাসি কাঁদি বা কষ্ট পাই।

মফস্বলের প্লট কেন বেছে নেওয়া?

আমরা জানি ঢাকাতে মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে ঠিক কীভাবে ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছে। ভাষা আন্দোলন বললেই সবার সামনে একটা চিত্র ফুটে উঠে। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই-এমন দাবিতে ছাত্রদের মিছিল। কিন্তু আমাদের মাথায় কিন্তু আসে না একটা মফস্বল শহরের গল্প। একটা মফস্বল শহরে একজন পাকিস্তানি ইনসপেক্টর কীভাবে উর্দু ভাষা সবার ওপরে চাপিয়ে দিচ্ছিল। এ জিনিসটা আমরা অনেকেই দেখতে পাইনি। আমার মনে হয় মেটাফোরের মাধ্যমে, হিউমারের মাধ্যমে এই গল্পটা বলা সম্ভব হয়েছে।

শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এটা তো অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ঢাকা শহরে যদি কোনও পিরিয়ড ফিল্ম করতে চান তাহলে সেটি দুরূহ হয়ে যাবে। খুব ব্যয়বহুল। মফস্বলে করেছি বলে কিছুটা ছাড় পেয়েছি। আমি গল্পটিও সেভাবেই বেছেছি। রূপকভাবে মূল আন্দোলনকেই রিপিট করবে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে পিরিয়ড একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ছবিতে পুলিশের গাড়ি দেখাতে হবে; সেটি অবশ্যই বায়ান্ন সালের হতে হবে। মটরসাইকেল, টাইপরাইটার, রাস্তাঘাট-বাড়িঘর সবকিছুতেই পিরিয়ড অথেন্টিসিটি থাকতে হবে। দেয়ালটা পর্যন্ত সে সময়ের হতে হবে। অনেক কিছু আমাদেও সে সময়েল আদলে রং করতে হয়েছে তৈরী করতে হয়েছে।

অন্যান্য অভিনয়শিল্পী কেমন করেছে?

যশপাল শর্মা (বলিউড), আবুল হায়াৎ, শহীদুল আলম সাচ্চু, ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, আফরোজা বানু, ফারুক হোসেন, সাজু খাদেমের মত বড় বড় শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। এটা একটা প্যাকেজ ফিল্ম। এখানে কে বড় রোল কে ছোট রোল তা নয়। সবাইকে নিয়েই সিনেমাটি হয়েছে। সবার সহযোগিতা ছিল। অনেকেরই পারিশ্রমিক আমি ঠিকমতো হয়তো দিতে পারিনি। কিন্তু তারা কখনো তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। একটা ভালো কিছু কিভাবে তৈরী হবে তা নিয়েই আমাদের সবার মাথাব্যাথা ছিল।

সাহিত্যিক সিনেমা তো হলে গিয়ে দর্শক দেখেন না…

অনেকেই মনে করে খুব গম্ভীর একটা কাজ হবে। অনেক ভারি ভারি ডায়লগ থাকবে। এটা কিন্তু এমন একটা গল্প যেখানে ভালবাসা আছে, মজার মজার সংলাপ আছে। এটা দেখলে দর্শক সব ধরনের বিনোদন পাবে।

সিয়াম –তিশা জুটিকে নিয়েও কি কথা শুনতে হয় না?

সাধারণত বাংলা সিনেমায় নায়িকাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার তুলনায় নায়ক একটু বয়সী ও ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের অভিজ্ঞতা বেশী থাকতেই দেখা যায়। না হয় কথা উঠে মানায়নি। আমাদের গল্পের যে প্লট সেখানে দুইজন তরুণ তরুণীর দরকার ছিলো! সিয়াম সেই জায়গায় বেশ ফিট ছিলো, আর তিশাকেও আমরা তরুণী হিসেবেই চিন্তা করি! আসলে একজন ভালো অভিনেত্রী কিন্তু তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে যে কোনো ক্যারেক্টারকেই ফুটিয়ে তুলতে পারেন, নিজেকে ফিটিং করতে পারেন। আমার মনে হয়েছে, সেই জায়গায় তিশার চেয়ে বিকল্প আর কেউ নেই। অন্তত তাদেরকে জুটি হিসেবে দেখতে আমার কাছে ভালো লেগেছে। একটা জুটি হিসেবে দেখবেন। কে বড় কে ছোট তা দেখতে যাচ্ছি। এটা প্লিজ ভাববেন না। একটা গল্প দেখতে যাবেন। যেখানে অনেক ক্যারেক্টার আছে। যার মধ্যে নাসির ও দীপ্তিও দুই ক্যারেক্টার।’ 

আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ। সিনেমার প্রচারে তেমন আগ্রহী নন। আগের সিনেমাগুলোতে তেমন প্রচারণা করেননি…

এ অভিযোগ শুনে আমি একটু বিরক্তই হলাম। আমি কেন প্রচারণা করবো! আমি ক্যানভাসার নাকি! আমি শিল্পী, আমি প্রচারক না। এটা আসলে ডিস্ট্রিবিউটর ও প্রডিউসার করবেন; ডিরেক্টরের কাজ না। যদিও আমাদের দেশে ডিরেক্টররা করে থাকেন। আমি এটা পারি না, দুর্বল। এখন স্যোশাল মিডিয়া বেশ জনপ্রিয়; সেখানে প্রচারণা হতে পারে। পাশাপাশি টেলিভিশন, অনলাইন গণমাধ্যম ও পত্রপত্রিকায় প্রচার করা হবে। এরবেশি তো আর কিছু করার নেই আমার।আমার যেটা কাজ সেটা ঠিকঠাক করতে চেষ্টা করেছি।

বাংলা ইনসাইডার 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন