কালার ইনসাইড

তারকাদের চোখে ঈদের সেরা নাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

শুধু সাধারণ দর্শক নয়। তারকারাও তার সহকর্মীর কাজ দেখতে চোখ রাখে টেলিভিশনে। এবার ঈদে আলোচিত নাটকের পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা জানালেন তাদের কি ভালো লাগলো।

আশফাক নিপুন:

প্রথমটি বলবো মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘কেস ৩০৪০’। এটি ভালো লাগার প্রথম কারণ হচ্ছে অপি করিম। অপি আপাকে নিয়ে আমি যে ধরনের কাজ করি। আমি যেভাবে চিন্তা করি। অপি আপার এখানে ক্যারেক্টারটা ছিল পুরোপুরি বাইরের। এগুলো আমরা নর্মালি দেখছি বাইরে হয়। আমি অপি আপাকে কোনভাবে হেয় করছি না। কিন্তু ওনার যে এইজ আছে। এটাকে প্রপারলি ব্যবহার করা। ওনার যে এইজ, উনি চাইলেই তো কলেজ স্টুডেন্ট হতে পারবে না। আমার কাছে মনে হয়েছে গল্পটাতে উনি প্রপারলি খাপ খেয়েছেন। এমনিতেই আমি অপি আপার ফ্যান। তারপরে যখন ওনাকে পুলিশ অফিসারের ক্যারেক্টারে দেখেছি তখন সেটা বেশ ভালো লেগেছে। ভারতে রানী মুখার্জি, শেফালী শাহদের এমন চরিত্র করতে দেখেছি। যেসব দিক বিবেচনায় এই কাজটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। প্রথম কারণ অপি করিম হলে দ্বিতীয় কারণ মিজানুর রহমান আরিয়ান। কারণ এই পরিচালককে আমরা যেভাবে দেখি, ওনার এই ঈদে মনে হয় সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে লাইফ ইন্সুরেন্স নাটকটা। কিন্তু আমি ওই আরিয়ানকে চিনি। অপূর্ব ও মিথিলাকে নিয়ে যে গল্পটা করেছেন ‘লাইফ ইন্সুরেন্স’। ওইটা আমি আগেও দেখেছি। ওটা তো আরিয়ান পারে। তার নিজস্বতা থেকে বের হয়ে যে ডিডেক্টিভ থ্রিলার স্টোরি করেছেন কতটুকু পেরেছেন কি পেরেছেন ওটা তো সময় বলবে। কিন্তু আমার কাছে আগ্রহের জায়গাই ছিল ওইটা যে যখন কোন ডিরেক্টর নিজের কমফোর্ট জোনটা ভেঙ্গে অন্য কিছু করেন। এই কাজটা নিয়ে প্রচারের আগে থেকেই আমি এক্সাইটেড ছিলাম। সেটা দেখার পরও আমার ভালো লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় প্লট হোল আছে। কিন্তু এই কাজটা একটা বড় কাজ। আর্টিস্ট পছন্দ থেকে ক্যামেরার কাজ সবকিছুই প্রপার হয়েছে। কোন কার্পণ্য করেননি পরিচালক। অনেক সিনিয়র আর্টিস্টদের নিয়েছে। 

শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’। রানার কাজ এমনিতেই আমার ভালো লাগে। এখানেও আমি একই কথা বলবো। রানাকে আমরা প্রায় সময়ই দেখি জন অপর্নাকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে যে গল্প সেখানে জন অর্পনাকে ধরেই নায়। ও নিলো নতুন একটা ছেলে ইয়াশ রোহানকে। ইয়াশের সঙ্গে আমি অনেক কাজ করেছি। এবার ঈদেও করেছি। এই কাজটিতে অনেক প্লট হোল আছে। যেমন লাস্টে আমার মনে হয়েছে রানার ভয়েসটা দেওয়া মনে হয়েছে দরকার ছিল না। সেটা আমি রানাকে পার্সোনালি বলেছিও। রানারটা ভালো লেগেছে কোন জায়গা থেকে। ওর গল্পটায় কামিং অব এইজ বলে একটা ব্যাপার আছে। কোন ওভার ড্রামাটিক না। একদমই এখনকার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে মিলাইয়া করা। জিনিসটা এমনভাবেও ধরেনি যে একদম নেগেটিভিটির চরমে নিয়ে গেছে। খুবই থার্ড এক বিবেচনা থেকে ও ক্যারেক্টারটা দেখাইছে। আমি ‘এই শহরে’ নিশো- মেহজাবিনের ক্যারেক্টারটা ক্রিয়েট করেছি। আমার মনে হয়েছে ইয়াশের ক্যারেক্টারটা ও ক্রিয়েট করেনি। ইয়াশ ওর পাশের বাসায় ছিল। ও জাস্ট ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে ওকে তুলে এনেছে। এমন নাযে ওই ক্যারেক্টারের ভিতর এইসেই বৈশিষ্ট থাকবে। এভাবে ও করেনি। ও খুবই ক্যাজুয়াল স্টাইলে করে গেছে। এই সময়ে আমরা কি ফিল করতেছি সেটা ও খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে। সাউন্ড খুবই ভালো ছিল। আমি আসলে এখন দেখতে গেলে ব্যাকগ্রাউন্ডটাও খুব বিবেচনায় নেই। সেটা বিবেচনাতেও খুব ভালো কাজ হয়েছে। ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমি পুরো বিরতীসহ দেখেছি। আমি একবারের জন্যও উঠিনি কাজটি দেখার সময়।

শাফায়াত মনসুর রানা:

অন্য কারো নাটক নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার আছে কিনা জানি না। তারপরও যখন প্রশ্ন করা হয় তখন সাধারণ দর্শক হিসেবে পছন্দেও কথা বলতে পারি। ভালো লাগা খারাপ লাগাটা শেয়ার করতে পারি। কয়েকটি নাটকই আমি দেখছি। এর মধ্যে দুইটা নাটক আমার একটু বেশি ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে এই দুইটা নাটকের অনেক কিছুই আগে দেখিনি।

একটা হলো ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’। সামাজিক প্রেক্ষাপটেরই গল্প। তবে গল্পটার প্রেজেন্টেশন ভিন্ন ছিল। গল্পটায় একটা চমক আছে। এক লেয়ারের না গল্পটা। গল্পটা নিয়ে ভাবনার জায়গা আছে। ওভারঅল সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রডাকশন দেখার যে আনন্দ সেটা এটায় পেয়েছি। অভিনয় নিয়ে বলতে গেলে তিশা, চঞ্চল গুনী শিল্পী। তারা ভালো করে এবং এটাতেও করেছেন। এখানে যে বিষয়টা, ফাহমি ওনার মতোই অভিনয়টা বের করে নিয়েছেন। নাটক বা তাদের অভিনয় দেখলে আর কেউ যদি এই পরিচালকের আগের কিছু কাজ দেখে থাকেন। তাহলে একবারে বলে দিতে পারবেন এটা ফাহমির নাটক। জিল্লুরও ভালো অভিনয় করেছেন। নাটকটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে একটা ভালো মানের কাজ হয়েছে। গল্পটার ভিতর একটা কিউরিসিটি বিল্ড আপ করাটা ছিল কাজটার বেস্ট পার্ট। গল্পটা ফ্লপি, কিন্তু তারপরও সেখানে একটা কিউরিসিটি ছিল যে বাচ্চাটাকোথা থেকে আসলো কিভাবে আসলো। লজিক্যাল ইললজিক্যাল যেটাই হোক বাচ্চাটাকে নিয়ে একটা ভালো টার্ন ছিল। শেষে মেসেজটাও ইনডাইরেক্টলি দেওয়াটাও আমার কাছে ইন্টেরেস্টিং লেগেছে। ফাহমি অনেকদিন পর ভালো প্রডাকশন নিয়ে ব্যাক করেছেন। এটাও আমাদের এবার ঈদের নাটকের বড় পাওয়া। তিনি যদি রেগুলার প্রডাকশন নির্মাণ করেন তাহলে বাজারে যা ঘটতেছে সেখান থেকে কিছুটা হলেও বেটার কিছু হবে।

আশফাক নিপুনের ‘এই শহরে’। এর গল্পটা ভালো। তবে যেটা একটু বেশি ভালো লেগেছে সেটা হলো নিশোর অভিনয়। নিশোর অনেক নাটক চোখে পড়ে, সেখানে কেমন লাগে আর আশফাক নিপুনের কোন কাজে তাকে কেমন লাগে সেটা আমি আশা করি সে নিজেও জানে। উনি যে লেভেলের অ্যকটিং করতে পাওে সেটা তিনি মনে হয় সাবান বানানোর মতো করে ফেলছেন। ওনার যে অ্যকটিং স্কিল সেটা মনে হয় এই নাটকটায় আবার দেখতে পেরেছি। উনি যে কত অসাধারণ অভিনয় করতে পারেন সেটা এই নাটকটায় দেখতে পেরেছি। গল্পে কিছু প্লট হোল ছিল। সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচালককে সাধুবাদ। তবে গল্পটা যে কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত দেখতে বাধ্য করিয়েছে তা হলো নিশো। তার প্রত্যেকটা মোমেন্টের দিকে চেয়ে ছিলাম। তার ছোট ছোট এক্সপ্রেশন, ডায়লগ ডেলিভারি সবকিছুই নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। আর মেহজাবিন ভালো করেছেন। তার যেটা বেটার পার্ট, সে এখন অ্যাকটিং নিয়ে খুবই সিরিয়াস। সে যে যেকোন চরিত্র খুব যত্ন নিয়ে করতে চায় সেটা এই নাটকটি দেখলেও বুঝা যায়। তবে আরো ভালো করতে হবে। কারণ কিছু কিছু জাগায় সে মিক্স টোনে কথা বলছিল। এই জায়গা গুলোতে সে আরেকটু সতর্ক হলে আমার মনে হয় সময়ের থেকে সে একটু এগিয়ে যাবে। আর মেহজাবিন কিংবা নিশো তাদের এই নাটকে ভালো কিছু বের করার প্রশংসা তো অবশ্যই পরিচালককে দিবো।

মাবরুর রশীদ বান্নাহ:

তৌহিদ আশরাফের ‘কিটনাশক’। ঈদে বেশিরভাগ সময়ই রোমান্টিক না হয় কমেডি নাটকই হয়। সেখানে অফট্রাক স্টোরি নিয়ে স্টোরি খুবই কম হয় আমাদের দেশে। অফট্রাকের জায়গা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে এটা একটা ভিন্ন গল্প। এই পরিচালক অপেক্ষাকৃত নতুন ও অপরিচিত। কিন্তু ওর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ওর উদ্দেশ্য সৎ ছিল। গল্প বলার ক্ষেত্রে ও নতুন ঢংটা তৈরী করতে চেয়েছে। ঈদে সবাই হিট প্রডাকশন বানানোর জন্য রোমান্টিক বা কমেডি জনরাতেই কাজগুলো করে। সেখান থেকে ‘কিটনাশক’ এর গল্প বলার ধরণটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। মুশফিক ফারহানও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। একই সঙ্গে নাটকে তার দুই রুপ দেখা গেছে। যেটা সে বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

মোরসালিন শুভর ‘রাজন দ্যা কিং’ নাটকটিও ভালো লেগেছে। একজন খেটে খাওয়া মানুষ কিভাবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। সেটা হয়তো অনেক সময় বাংলা ছবিতে আমরা দেখেছি। কিন্তু নাটকে খুব রিয়েলিস্টিক ওয়েতে এ ধরনের গল্প খুব কমই আমার চোখে পড়েছে। সাধারণ এক ছেলে। বস্তিতে বেড়ে উঠা। বেড়ে উঠাটা বেশ হাবগোবা হয়েই। সেই ছেলেটি হয়ে উঠে শহরের ত্রাস। হয়ে উঠে চাঁদাবাজ আর আন্ডার ওয়ার্ল্ড জগতের ডন। কিন্তু কেন ছেলেটি ডন হয়ে উঠেন। হয়ে উঠেন ভয়ংকর? কে তাঁর গডফাদার, কে তাঁকে নিয়ে এলো এই অন্ধকার জগতে এবং কেনই বা মোশাররফ করিমরা শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। অপূর্ণ রুবেলের চিত্রনাট্যে টেলিফিল্মটির পরিচালক মুরসালিন শুভ। মোশাররফ করিম এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মোশাররফ ভাই তো দুর্দান্ত অভিনয় করেছেনই সঙ্গে শামিম হাসান সরকার, অর্ষাসহ অভিনয়শিল্পীরা বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। 

মৌসুমী হামিদ:

মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘সাবলেট’ নাটকটা খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অপূর্ব ভাইয়া আর পূর্ণিমা আপুর অভিনয়। কিছু কিছু নাটক আছে না যে দেখা শেষেও রেশ থেকে যায়। এটা সে ধরনের একটা গল্প ছিল। আর নাটকটি দেখতে গিয়ে মনের মধ্যে বারবার মোচড় দিয়েছে, শুন্যতা তৈরী হয়েছে। পূর্ণিমা আপুর ছোট ছোট এক্সপ্রেশনগুলো আমাকে ভীষণ টাচ করেছে।

আরেকটির কথা বলবো মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘বুক ভরা ভালোবাসা ২’। শবনম ফারিয়ার অভিনয় আমার এমনিতেই ভালো লাগে। ওর ‘বুক ভরা  ভালোবাসা’ দেখেছিলাম। এর সিক্যুয়েলটাও ভালো লেগেছে। ফারিয়া ও তৌসিফ খুবই ভালো অভিনয় করেছে। এই গল্পটাও আমার খুব আপন মনে হয়েছে। সহজ সরল গল্প, সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ভালো লেগেছে। বাংলাদেশের পরিবারগুলো সুখী হোক, পরিবারের স্বামী স্ত্রীর যে বোঝাপড়া সেটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অর্ষা

শাফায়াত মনসুর রানার ‘আমাদের সমাজ বিজ্ঞান’ আমার খুব ভালো লেগেছে। আমাদের সমাজের এই সময়ের ক্রাইসিস গুলো খুব একটা ইয়ং ছেলের মধ্য দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে নাটকটি দেখে মনে হবে ওই চরিত্রটা আমি ও আমার মতো আরো যারা এই সমাজকে নিয়ে ভাবে। শাফায়াত মনসুর রানার গল্প বলার ঢংটা আমার খুব পছন্দ। বরাবরের মতোই ওনার কাজে একটা আলাদা ব্যাপার থাকে। কম কাজ করে বলে মনে হয় ওনার কাজে প্রপার মনোযোগ দেওয়া থাকে।

রাফসান আহসানের ‘লিডার’। এখানে যে ব্যাপারটি ছিল এটা একটু সিনেমাটিক অ্যাকশন বেইসড। টেলিভিশনে তো আসলে অ্যকশন বেইজড কাজ কম হয়। দু:খ , প্রেম, ভালোবাসা , অ্যকশন সবই ছিল গল্পটায়। মনে হয়েছে ছোট পর্দায় সিনেমার স্বাধ। শতাব্দি ওয়াদুদ, স্পর্শিয়া, অন্তুরা গল্পটাও বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।

বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী সম্মাননা প্রদান করে। গুণী এই শিল্পী মঙ্গলবার (৭ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানা।

পদ্মশ্রী পাওয়ায় শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মর্যাদাপূর্ণ এ পদক বাংলাদেশের জন্য গর্বের।

পরে পদ্মশ্রী সনদ হাতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার সাথে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ছবি তোলেন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী   গণভবন   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   শেখ রেহানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঐশ্বর্যর কানের জামা পরেই মেট গালায় চলে গেলেন মিন্ডি কালিং!

প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মেট গালায় ২০২৪ এ ঝড় তুলেছে তারকাদের লুক। বলিউডের আলিয়া ভাট, ইশা আম্বানি থেকে শুরু করে হলিউডের মিন্ডি কালিং, জেনিফার লোপেজ...নজরকাড়া লুকে ঝলমল করছে 'মেট গালা'র রেড কার্পেট । তবে, তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে মিন্ডি কালিং-এর 'মেট গালা' ড্রেস । যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হলিউড নায়িকাকে নিয়ে চলছে ট্রোলিং। 

২০২২ সালে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই 'কান' উৎসবে যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন, তার সঙ্গে দারুণ মিল পাওয়া গেছে হলিউড নায়িকা মিন্ডি কালিংয়ের 'মেট গালা'য় পরা জামাটির। 

এ ঘটনার পর অনেকে মিন্ডি-কে 'কপি ক্যাট' বলতেও শুরু করেছেন । 

গত ৬ মে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের ভিতরে পা রাখেন কালিং। ফটোগ্রাফাররা তার লুকের প্রশংসা করলেও, সোশ্যাল মিডিয়া দেরি করেনি 'চুরি' ধরতে। ঠিকই তারা খুঁজে খুঁজে বের করেছেন, লুকিয়ে থাকা মিলগুলো। 

মিন্ডি কালিং ভারতের গৌরব গুপ্তের ডিজাইন করা শ্যাম্পেন রঙের গাউনে মেট গালা ২০২৪-এ রেড কার্পেটে ঝড় তোলেন। 'গার্ডেন অব টাইম' থিম অনুসারে, গাউনটির পিছনে বানানো হয়েছিল ফুলের মতো কাঠামো। পোশাকের পিছনটা দেখলে কারও কারও মনে হবে, যেন কোনও ফুলের পাঁপড়ি। থরে থরে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মেট গালাতে সকলেই বাহবা জানান, কালিংয়ের ফ্যাশন স্টেটমেন্টকে।

কিছু ভারতীয় ফ্যাশন উৎসাহী ঐশ্বরিয়ার কান পোশাকের সঙ্গে এর অদ্ভুত মিল খুঁজে পান। আশ্চর্যজনকভাবে সে পোশাকটিও ডিজাইন করেছিলেন গৌরব গুপ্তই। গোলাপি এবং ব্লাশ রঙের আশ্চর্য মেলবন্ধন ছিল সেটি। যা তৈরি করতে সময় লেগেছিল ৩ হাজার ৫০০ ঘণ্টা। সে গাউনের কাট থেকে শুরু করে ভেইল, সবই যেন হুবহু এক। 

এক নেটিজেন মিন্ডি কালিংয়ের পোশাক নিয়ে মন্তব্য করেন, 'আমি ভেবেই চলেছি কোথায় যেন দেখেছি… কোথায় যেন দেখেছি। এ যে কান থেকে আমাদের ঐশ্বরিয়া'। দ্বিতীয়জন লিখলেন, 'কালিংকে দেখতে সুন্দর লাগছে ঠিকই, তবে কানে ঐশ্বরিয়া যে পোশাক পরেছিলেন, তার থেকে লুকটা একটু অন্যরকম হতে পারত।' 


ঐশ্বরিয়া রাই   মিন্ডি কালিং  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগে টিজারেই নকলের আভাস দিল শাকিবের ‘তুফান’

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি নির্মিত ‘তুফান’ সিনামাটি মুক্তির আগেই কুড়ালো নকলের দুর্নাম। সিনেমাটির টিজার প্রকাশ্যে আসতেই আরেক দফা হাসাহাসি রাফির নির্মাণ নিয়ে। অবশ্য এই পরিচালকের বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তার ওপর আসা নকলের অভিযোগের ফর্দ বেশ লম্বা। ‘কপিরাজ’ শব্দটি যেন রায়হান রাফির পদবী হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ছবির অফিসিয়াল টিজার ছবির নায়ক শাকিব খানের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়। এর মেকিংয়ে ভারতীয় সিনেমা কেজিএফ ও অ্যানিমেলের মিশ্রণ খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। এরপরই রাফিকে একহাত নিচ্ছেন সিনেমাপ্রেমীরা।

রাহাত নামে একজন তো তুফানকে সরাসরিই কেজিএফ ও অ্যানিমেলের কপি বলে ফেলেছেন। রাশেদ নামে একজন টিজার দেখে বলেছেন, মনে হচ্ছে সাউথ ইন্ডিয়ান মুভির টিজার দেখলাম। তুফানে নায়কের পোশাক ও অভিব্যক্তিকে কেজিএফ স্টার যশ ও অ্যনিমেল স্টার রণবীরের লুকের খিচুড়ি পাকিয়েছেন নির্মাতা রাফি। লুক, গেটআপ, সেট ও মেকআপ সব কিছুতেই কেজিএফ সিনেমার কপির আলামত রেখেছেন এই পরিচালক। যদিও রাফির দাবি, এই ছবির লুক ও অ্যাকশন নাকি একদমই আলাদা। তবে কেজিএফ সিনেমার বাজেট নকল করতে পারেননি নির্মাতা। বড় বাজেট না থাকায় ছোট ছোট অস্ত্র সস্ত্র দিয়েই কেজিএফফের স্বাদ তুফানে মেটাতে চেয়েছেন নির্মাতা। কপির অপবাদে অবশ্য নির্মাতা রাফির কিছু যায় আসে না।

এর আগেও এসব অপবাদ টলাতে পারেনি এই কপিরাজ পরিচালককে। টিজার মুক্তির পর রাফি জানান, তুফান তার লাইফের একটা ড্রিম প্রজেক্ট। দেশের একজন নির্মাতার স্বপ্ন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমদানি হতে দেখে হেসেছেন নেটিজেনদের অনেকে।

এর আগে, ওয়েব ফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’-এর টাইটেল ট্রাকের মিউজিক চুরির অভিযোগ উঠেছিল রাফির বিরুদ্ধে। অবশ্য তিনি সেটিকে নকল বলতে নারাজ। অভিযোগ সামাল দিতে অভিধান ঘেঁটে ‘অনুপ্রাণিত’ শব্দটি এনে সে যাত্রায় পিঠ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া আফরান নিশো অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সুড়ঙ্গ’-র বিরুদ্ধেও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নকলের অভিযোগ উঠেছে। এটিও রাফির নির্মাণ। নেটিজেনরা নকলের তথ্য-উপাত্ত হাজির করলেও রাফি মেরুদণ্ড টান রেখেই জানিয়েছিলেন, তিনি যা করেছেন, সহি পদ্ধতিতেই করেছেন।

রাফি যে মিউজিক থেকেই অনুপ্রাণিত হন, তা কিন্তু নয়। অন্যের পোস্টারও তাকে অনুপ্রাণিত করে। এর আগে তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘ফ্রাইডে’র পোস্টারটিও নকল বলে চিহ্নিত করেছিল নেট নাগরিকরা। সেটি নাকি ছিল সাউথ কোরিয়ান সিনেমা ‘প্যারাসাইটের নকল!

এবার তুফান সিনেমার টিজার বেরোতেই উঠল নকলের অভিযোগ। তবে শাকিবিয়ানরা তাদের পছন্দের নায়ককে এমন লুকে দেখ বেজায় আনন্দিত। ফলে সোশ্যাল মাধ্যমে দুর্নামের ঝড়টা বয়ে যাচ্ছে কেবল রাফির ওপর দিয়েই। আসছে ঈদ-উল-আজহায় মুক্তি পাবে তুফান। এ সিনেমায় আরও থাকবেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, নাবিলা অনেকে।


‘তুফান’   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে সংবর্ধনা

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ায় সংবর্ধনা দিয়েছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন।

রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এই গুণী শিল্পী।

অনুষ্ঠানে বন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ। এ সময় রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কবি তারিক সুজাত ও ‘মাত্রা’ পরিবারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, মাহফুজ আনাম, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, সৌমিত্র শেখর, কবি কামাল চৌধুরী, শাহীন সামাদ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, ইফ্ফাত আরা দেওয়ান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শিল্পী কলাকুশলীসহ দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার এই অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে অভিহিত করেন। প্রতিক্রিয়ায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

পদ্মশ্রী পুরস্কার   রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ঝড়ের মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা, অল্পের জন্য বেঁচে গেল সায়নী

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন টালিউট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে এক প্রকার বিপদে পড়েন এই অভিনেত্রী। প্রচারণাকালীন সময়ে তার গাড়ির সামনে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যান এই অভিনেত্রী। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার বিরুদ্ধে লড়তে চান রাখি সাওয়ান্ত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‌্যালির সামনেই ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডাল। এসময় নেতা-কর্মীরা সতর্কতার সাথে সরিয়ে নেন অভিনেত্রীকে এবং গাছের ডাল সরিয়ে আবারও প্রচারণায় বের হতে দেখা যায় তাদের।

উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।


লোকসভা নির্বাচন   সায়নী ঘোষ   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন