কালার ইনসাইড

শিল্পী সঙ্কটে নাটক- সিনেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৭


Thumbnail

শিরোনামের সঙ্গে আপনিও নিশ্চয়ই একমত। যদি আপনি সিনেমা বা নাটকের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকেন। এই মুহুর্তে সিনেমায় যেমন প্রকট হারে চলছে নায়ক -নায়িকা সঙ্কট। তেমনি ছোট পর্দায়ও একই মুখ বারবার দেখে দর্শক বিরক্ত।

‘মুখ ও মুখোশ’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু ঢাকাই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির। এ ছবিতে প্রথম বাংলা সিনেমার নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন আমিনুল হক। তারপর বাংলা সিনেমায় নায়ক হয়ে আসেন ফজলে লোহানী, আনোয়ার হোসেন, শওকত আকবর, আজিম, খলিলুল্লাহ খান খলিল, মেহফুজ, আকতার হোসেন, নারায়ণ চক্রবর্তী।

৬০ দশকে কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে ‘বেহুলা লখিন্দর ছবিতে সর্বপ্রথম নায়ক হয়ে অভিনয় করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। এরপর এহসান, রহমান, ফারুক, বুলবুল আহমেদ,আলমগীর, সোহেল রানা, দারাশিকো, রাজ, আহমেদ শরীফ, ওয়াসিম, বেবি জামান চলচ্চিত্রে নাম লেখান। সত্তর দশকের শুরুতে ‘বসুন্ধরা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এরপর চলচ্চিত্রে আসেন উজ্জ্বল, মাহমুদ কলি।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় শুরু হয় - ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ এই প্রকল্পে নায়ক হয়ে আসেন মান্না, অমিত হাসান, জসিম মোহাম্মদ, সুব্রত চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে।

তাঁদের পরবর্তী সময়ে আসেন ওমরসানি, আমিন খান, নাঈম, সালমান শাহ ও মান্না।  বাংলা চলচ্চিত্রে মান্না ও সালমান শাহ ‘সুপারস্টার’ খেতাব অর্জন করেন। তবে নিয়তির নির্মম পরিহাস নায়ক মান্না ও সালমান শাহ অকাল মৃত্যু হয়।

এদিকে সালমান শাহর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রে অভিষেক হন এক ঝাঁক অভিনেতা। এদের মধ্যে শাকিল খান, রিয়াজ, ফেরদৌস। সে সময়-এই তিন নায়কের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হলেও তাদের মধ্যমনি হয়ে ‘সুপারস্টার’ খেতাব নিয়ে অভিনয় করে চলছিলেন নায়ক মান্না।

প্রায় একই সময়ে চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হয় শাকিব খান। মান্নার মৃত্যুর পর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘সুপারস্টার’ হিসেবে খেতাব পান শাকিব খান। তার পরবর্তীতে বাপ্পী, সাইমন ও আরেফিন শুভদের দিয়ে সিনেমা চলছে। সে চলাকেচলা বলে না। এক শাকিবময় সিনেমা। বাকীদের নিয়ে দর্শকদের নেই কোন আগ্রহ।

এ সময়ে নায়িকারাও নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারছেন না। আসা-যাওয়ার মাঝে হয়তো কিছু আলোর ঝলকানি দেখাচ্ছে।

ববিতা, কবরী, শাবানা, সুচন্দা, সুচরিতা, আঞ্জুমান, ডলি জহুর, আনোয়ারা সবাই নিপুন অভিনয়শৈলী দিয়ে মানুষের হৃদয়ে শক্তপোক্ত অবস্থান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং আজও তাঁরা নিজেদের জায়গায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

পরবর্তীকালে নব্বই এর দশকের শেষের দিকে আগমন ঘটে শাবনুর, মৌসুমী, দিতি, চম্পা সহ বেশ কয়েকজনের। তাঁরাও অগ্রজদের অনুসরণ করে বাংলা সিনেমাকে এগিয়ে নিয়েছে অনেকটা পথ।

এবার একটু আসি বর্তমান সময়ের দিকে। এখন বলতে গেলে বাংলা সিনেমা মানেই অপু,মাহি, পরিমনি, নুসরাত ফারিয়া, ববি,আঁচল ছাড়া নায়িকা নেই বললেচলে। আর যাদের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তাঁরা কেউ নিজ দক্ষতায় জায়গা তৈরি করতে পারেননি। প্রত্যেকেই নায়ক নির্ভর। এই আছি এই নেই অবস্থা।

এভাবে কতদিন চলতে পারে ইন্ড্রাস্ট্রি? একটা সময়ে বছর প্রতি শাকিবের ছবির সংখ্যা কমে গেলে। হলগুলোর কী অবস্থা হবে? খোজ নিয়ে জানা যায়। এক শাকিব ছাড়া আর কারো ছবি লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে পারে না। তাহলে কীভাবে হবে? এফডিসিতে নেই নতুন মুখের সন্ধান। পরিচালকরা নতুন কিছু সৃষ্টি না করে। রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত।

টেলিভিশনেরও একই অবস্থা। একই মুখ দেখে দর্শক বিরক্ত। একটা সময়ে টেলিভিশন সেটের সামনে দেশের নাটক দেখতে বসলেই জাহিদ হাসান, শহীদুজ্জামান সেলিম, বিপাশা হায়াত, তৌকীর আহমেদ, শমী কায়সার, আফসানা মিমি, তানিয়া আহমেদদের মতো জনপ্রিয় সব শিল্পীকে দেখা যেত। এখনও তাঁদের কমবেশি দেখা যায়। এখনও তাদের নিয়ে দর্শকের মাঝে অন্যরকম আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।

পরবর্তী সময়ে কালে কালে অনেক অভিনয় শিল্পীই মিডিয়ায় এসেছেন। কাজ করেছেন বা করছেন নতুন নতুন শিল্পীরা। কিন্তু আগের শিল্পীদের নিয়ে যে আগ্রহ বা তাদের যে পরিচিতি রয়েছে সেটার কোনো প্রভাব এ প্রজন্মের শিল্পীদের নেই বললেই চলে। নতুন এ শিল্পীদের নিয়ে নির্মাতারা বহু নাটক নির্মাণকরলেও দর্শক তাদের ঠিকভাবে চেনেন না। সর্বশেষ মোশাররফ করিম, নুসরাত ইমরোজ তিশা,চঞ্চল, মম, অপূর্ব, নিশোদের মত গুটি কয়েকজনের আবির্ভাব ঘটেছে। সময়ের গল্প গুলো নির্মান হচ্ছে জোভান , সিয়াম, মেহজাবিন, তাওসিফ দের নিয়ে। কিন্তু তাঁদের অভিনয় এখনো দর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্যতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌছতে পারেনি। তাদের দর্শক বলতে অনলাইনে যারা নিয়মিত। শহর ছাড়িয়ে নেই তাদের গ্রহনযোগ্যতা।

এত এত শিল্পী কাজ করলেও ড্রইং রুম মিডিয়ায় শিল্পী সংকট রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। টিভি মিডিয়ায় এ সময়ে অনেক নতুন মুখ কাজ করলেওতাদের বেশিরভাগেরই অভিনয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই।

দৈহিক সৌন্দর্যের কারণে দু-একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়ে আসছেন অভিনয়ে। কিন্তু একজন শিল্পীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অভিনয় জানা। সেটা যদি না থাকেদর্শক তাকে গ্রহণ করবেন কেন? আর ইদানীং অনেক নির্মাতাকেই দেখা যায় সেসব দর্শনধারী শিল্পীকে নিয়ে কাজ করছেন হরহামেশাই। অভিনয়ের ন্যূনতমযোগ্যতা যাদের নেই তাদের নিয়ে কাজ করার কারণে নাটকের মানও কমে গেছে অনেকাংশে।

বিশিষ্ট অভিনেতা ও নির্মাতা মামুনুর রশীদ বলেন ,‘মঞ্চ হলো অভিনয়ের আঁতুড়ঘর। কিন্তু সেই আঁতুড়ঘরে অভিনয় জানা দক্ষ শিল্পী কাজ করলেও তাদেরউঠিয়ে আনছেন না কেউ। গুটি কয়েকজন নিজ যোগ্যতা বলে টিভি পর্দায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু বাকিরা কোনো সুযোগ পাচ্ছেননা। আর সেটার কারণ নির্মাতা-টেলিভিশন চ্যানেল এমনকি বিজ্ঞাপন এজেন্সির একটা বড় অংশের চাহিদার জায়গা ওই দর্শনধারী গ্ল্যামারাস মডেলদেরদিকে।’

বর্তমান সময়ে টিভি মিডিয়ায় শিল্পী সংকটের আরেকটা কারণ হলো রিয়েলিটি শো। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রায়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেসব রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা তারকাদের দিয়ে অভিনয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থই হতে হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।

কারণ যাদের তুলে আনা হয় তাদের অধিকাংশই অভিনয় তেমন একটা জানেন না। আর যখন দর্শক সাড়া না পান সেসব তারকা নিজ থেকেই মিডিয়া থেকেউধাও হয়ে যান। এ কারণে মিডিয়ায় শিল্পী সংকট তৈরি হচ্ছে। আবার অনেক ভালো শিল্পীর সন্ধান পাওয়া গেলেও একটা সময় তিনি নাটকে থাকছেন না।টিভি পর্দাকে বিদায় দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লেখাচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যাওয়ার কারণে ওই শিল্পীকে টিভি নাটকের দর্শক আর দেখছেন না।

অনেক ক্ষেত্রে অলরাউন্ডারদের জন্যও টিভি নাটকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কেউ একজন এসে নাটকে অভিনয় করছেন। কিছুদিন পর আঁটঘাট বেঁধেঅভিনয়ের পাশাপাশি নির্মাণ ও প্রযোজনায় নাম লেখান। তিন মাধ্যম নিয়ে ভাবতে গিয়ে টানাপড়েনে পড়ে যান। শুধু তাই নয়, একটা সময় তাকেও মিডিয়াথেকে ছিটকে পড়তে হয়। দেখা যায় অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নানামুখী ভাবনার জন্য টিকতে পারেন না। একজন শিল্পী মিডিয়ায়আসলে তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা না করায় হারিয়ে যান অনেক সময়।

দেখা গেছে একজন অভিনেত্রী অভিনয়ে পারদর্শী। কিন্তু তাকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও ইভেন্ট গ্রুপ উপস্থাপনার জন্য প্রস্তাব দেয়। সেসময় প্রলুব্ধ হয়ে সেশিল্পী অভিনয়ের চেয়ে উপস্থাপনায় মনোযোগী হয়ে পড়েন। আর তখনই সে শিল্পীর শিল্পগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

এভাবেই যাচ্ছে বর্তমান সময়ে নাটকের হালচাল। তবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান সব নাট্যবোদ্ধার। টিভি অঙ্গনের এসব জটিলতা কাটিয়ে উঠেশিল্পীদের সদ্ব্যবহার করে শিল্পী সংকট দূর করার দাবি করছেন তারা।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কবে আসছে ‘অ্যানিমাল-২, জানালেন সিনেমাটির নির্মাতা

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বহুল আলোচিত সিনেমা 'অ্যানিমাল' দেখেনি এখন খুব কম মানুষ আছে। সেই ছবিতে রণবীর কাপুরের অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকেই। এই ছবির শেষেই পরিচালক দেখিয়েছিলেন যে এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসছে। অনেকেই মুখিয়ে আছেন এই সিক্যুয়েলের জন্য, যার নাম 'অ্যানিমাল পার্ক'।

সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা জানিয়েছেন কবে আসছে সেই ছবি। সাম্প্রতিক অ্যাওয়ার্ড শোতে সিনেমাটির পরিচালক শেয়ার করেছেন, ২০২৬ সালে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল'-এর সিক্যুয়েলের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সন্দীপ রেড্ডি সিনেমাটিক ইউনিভার্সের সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।

পুরস্কার গ্রহণ করার সময় হোস্টরা তাকে রণবীর কাপুর-অভিনীত 'অ্যানিমাল' সিক্যুয়েল 'অ্যানিমাল পার্ক' সম্পর্কে কিছু বিশদ প্রকাশ করতে বলায় তখনই তিনি জানান, ছবিটি ২০২৬ সালে ফ্লোরে যাবে।

তিনি আরও যোগ করেছেন, 'অ্যানিমাল পার্ক' আসলে 'অ্যানিমাল'-এর চেয়ে বড় এবং আরও বন্য একটি সিনেমা হবে। যদিও এমন দাবি তিনি আগেও করেছিলেন।


অ্যানিমাল   রণবির কাপুর   বলিউড   সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আদালতের রায়: অভিভাবকত্ব পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আদালত প্রাঙ্গণে সগর্বে উচ্চারিত হলো অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র মা, যিনি সন্তানের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন। বাঁধনের আগে এবং পরে এখনো কোনো নারী সন্তানের অভিভাবকত্ব পাননি।

গত সোমবারের (২২ এপ্রিল) নাবালক সন্তানের অভিভাবকত্ব নির্ধারণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে এই কমিটিকে নীতিমালা দাখিল করতে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবারের (২২ এপ্রিল) রুলসহ এই আদেশ দেন।

অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০-এর ১৯(খ) ধারা অনুসারে কোনো নাবালক সন্তানের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় অন্য কারো পক্ষে সেই নাবালকের অভিভাবক হওয়ার সুযোগ নেই।

আইনটির এই ধারা সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় কেন তা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ২৮ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এক রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এর পরই আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আইনজীবী সারা হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা অর্জন। বাংলাদেশে যদিও নারীরা সন্তানদের হেফাজত (কাস্টডি) পাচ্ছেন, একটি ঘটনা ছাড়া আর কাউকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁর সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন। এর বাইরে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো উদাহরণ নেই যে নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্ব পাচ্ছেন।’

উচ্চ আদালতের এই রুল জারির পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ অভিনেত্রী। আজ থেকে ছয় বছর আগে (২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল) ঢাকার দ্বাদশ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার অভিভাবকত্ব দিয়েছিলেন বাঁধনকে।

বাঁধন বলেন, ‘আইনটা পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া শুরু হলো, এটা সবচেয়ে আনন্দের। যাঁরা আপিল করেছেন তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আমার অর্জনটা শুধু আমারই থাকুক তা চাই না, আমি চাই বাংলাদেশের সব মেয়ের অধিকার থাকুক তাঁর সন্তানের ওপর।’

তবে, ছয় বছর আগে যখন কন্যা সায়রার অভিভাবকত্ব পেয়েছিলেন, তখনো এই রায়ের মাহাত্ম্য পুরোপুরি বুঝতে পারেননি বাঁধন। সময়ের সঙ্গে এই রায়ের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন তিনি।

বাঁধন বলেন, ‘আমার পক্ষে যখন রায় এলো, তখন এর গুরুত্ব এতটা বুঝতে পারিনি। বাচ্চাটাকে কাছে রাখতে চেয়েছি, যেহেতু ওর সম্পূর্ণ ভরণ-পোষণ আমিই করতাম, আমি কেন ওর অভিভাবক হতে পারব না! বাচ্চার বাবা কোনো দায়িত্বই কখনো পালন করেননি। আদালতে সেটা প্রমাণও করতে পারেননি, তার জন্য আমাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়েছিল।’

অভিভাবকত্ব আইন নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন তিনি। অধিকার আদায়ে লড়াই করে অর্জন করেছেন দীর্ঘ অভিজ্ঞতাও। এই আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি (আইনজীবী সারা হোসেন) কিন্তু উল্লেখ করেছেন, সাধারণত মাকে কাস্টডি দেওয়া হয়, শারীরিক জিম্মা যেটাকে বলে। বাবা বেঁচে থাকতে মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া হয় না। যদি বাবা না পান সে ক্ষেত্রে দাদা-চাচা, এমনকি নানা-মামারা অভিভাবকত্ব পান। অনেক পরে আসে মায়ের নাম। যে কারণে আমারটা ব্যতিক্রমী একটা রায় ছিল। আমাদের প্রচলিত আইনে একটা লুপ হোল কিন্তু আছে, মাকে অভিভাবকত্ব দেওয়া যাবে, তবে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে সেটা খুবই কঠিন। কাস্টডি আর অভিভাবকত্ব এক নয়। অভিভাবকত্ব পুরো ডিফারেন্ট একটা বিষয়। আমাদের আইনে বাবা ন্যাচারাল গার্ডিয়ান, অভিভাবকত্বের প্রশ্নে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত মায়ের অস্তিত্ব নেই আসলে। এসব জায়গায় অনেক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।’

ক্লাস ফাইভের ছাত্রী সায়রা সারাক্ষণ মায়ের আশপাশেই থাকে। প্রায়ই মা-মেয়ে একসঙ্গে দেশ-বিদেশ ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েকে ঘিরেই কাজের শিডিউল করেন বাঁধন। মেয়ে এখন বড় হচ্ছে, মায়ের এই অর্জন সম্পর্কে তার কি কোনো ধারণা আছে? বাঁধন বলেন, ‘ও বুঝতে পারে।

তবে এত কিছু ওর ধারণায় নেই। শুধু জানে, ওর মা ওকে কাছে রাখার জন্য লড়াই করেছে এবং জিতেছে। এটাও জানে, তাকে কাছে রাখার জন্য তার মা সমাজ ও আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তার মা একজন ফাইটার, এটা সে এখন ভালোই বোঝে। টিচাররা, আশপাশের সবাই যখন ওর সামনে এসব বলে, তখন ও বুঝতে পারে মা ওর জন্য কী করেছে। তবে বিষয়টার গুরুত্ব ওর বোঝার জন্য অনেক কঠিন। সেই ক্ষমতা এখনো তার হয়নি।’


উচ্চ আদালত   আজমেরী হক বাঁধন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন