কালার ইনসাইড

সালমান শাহঃ আমাদের হারিয়ে যাওয়া স্টাইল আইকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

১৯৭১ সাল! সিলেটের জাকিগঞ্জে সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে কমর উদ্দিন চৌধুরী ও নীলা চৌধুরীর কোলে জন্ম নিলো একটি শিশু। সেদিন জন্ম নেওয়া সেই ছোট্ট শিশুটি শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। আমাদের ‘সালমান শাহ’। সালমানের নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম সিনেমা মুখ ও মুখোশের অভিনেতা থাকায় ছোটবেলা থেকেই সালমান বড় হচ্ছিলেন সংস্কৃতিক আবহে। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা তার ইচ্ছার কথা থেকেই জানা গিয়েছিলো বড় হয়ে অভিনেতাই হতে চেয়েছিলেন সালমান শাহ।

আশির দশকে অভিনয় জীবন শুরু করলেও, সালমানের “সালমান শাহ” হয়ে ওঠার শুরু নব্বইয়ের দশকে। ১৯৯৩ সালের দিকের কথা, সেই সময়ে আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা “কেয়ামত সে কেয়ামত তক” এর কপিরাইট কিনে নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনন্দ মেলা। সোহানুর রহমান সোহান ওই সময়টায় তার সিনেমার জন্য একটি নতুন মুখ খুজছিলেন। অবশেষে সোহানুর রহমান সোহান আবিস্কার করলেন ঢালিউডের সর্বকালের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার সালমান শাহকে। নির্মাণ করলেন সালমানের প্রথম সিনেমা “কেয়ামত থেকে কেয়ামত”। চার বছরের ছোট সিনেমার ক্যারিয়ারে মোট ২৭ টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ।

ওই সময়টাতে আজকের মতো ইন্টারনেট দুনিয়া উন্মুক্ত ছিলো না। কিন্তু সালমান শাহ একমাত্র নায়ক যিনি তার প্রতিটি সিনেমায় নিজেকে আলাদা আলাদা রুপে আর ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে দর্শকদের সামনে নিয়ে এসেছেন। আজকের ফলোয়ার শব্দটি আমাদের খুব পরিচিত। আজকের অনলাইন দুনিয়া আর ফেসবুক আসার দেড় যুগ আগে সালমান নিয়ে এসেছিলেন ফলো অপশনটি। ফলো করার মতো হাজারটা দিক সালমান তার ভক্তদের সামনে নিয়ে এসেছিলেন নব্বইয়ের দশকে। নব্বই দশকের উঠতি তরুণদের চোখ বুজে ফলো করতো সালমানকে। পুরো একটা জেনারেশন চোখ বুজে ফলো করে গেছে সালমান শাহকে। টি শার্ট, সামনের দিকে ইন করে রাখলেও, পিছনের দিকে খানিকটা ঝুলিয়ে রাখা। কিছুক্ষন পরপর দাঁত দিয়ে নখ কাঁটা, চারকোণা সানগ্লাসের ট্রেন্ড ভেঙ্গে, গোল বা ওভাল সানগ্লাস পরা শুরু করা, মিলাদে বা, রুমাল গিট্টু মেরে মাথায় বাঁধা, স্নিকারস বা ক্যানভাস সু তে (কেডস) ফিতা না বেঁধে হাঁটা, কালো জুতার সাথে সাদা মোজা পড়া, প্যান্টের বেল্টের ফুঁটা থেকে দ্বিগুণ তিনগুন সাইজে বড় গলার মেডেলের মত বড় বাকেলসেরওয়ালা বেল্ট পড়া, ডান হাতে ঘড়ি পড়া, একটু পর পর চশমায় হাত দেয়া, টিশার্ট এর উপরে বোতাম খোলা শার্ট, বাহারি ডিজাইনের সানগ্লাস পড়া এমন আরো হাজারটা স্টাইল সালমান শিখিয়েছিলেন পুরো একটি জেনারেশনকে।

ওই সময়টাতে এলিফ্যান্ট রোড এ ছিলো বেশকিছু জুতা আর টিশার্ট এর দোকান। সালমানের মৃত্যুর পর রীতিমত ধ্বস নামে জিন্স, টি-শার্ট আর কেডসের বাজারে, কারণ বাংলাদেশ হারিয়েছে তার স্টাইল আইকনকে। যার দেখানো স্টাইলে বুদ হয়ে থাকতো তখনকার প্রজন্ম। সালমানের মৃত্যুর পর থেকে এখনো বলিউডের অনেক নায়ককেই দেখা যায় সালমানকে ফলো করতে। হ্যা, সালমানের স্টাইল সেন্স এতোটাই বৈচিত্রিময় ছিলো যে আজকের দিনেও তার শেখানো স্টাইল ফলো করা হয়।

সালমান সবসময় রেয়ার ব্রান্ড পছন্দ করতেন। প্রচুর ধুমপানের অভ্যাস ছিলো সালমানের, সেই নব্বইয়ের দশকেই তিনি মার্লবোরো সিগারেট খেতেন যা ওই সময়ে বলতে গেলে প্রায় দুষ্প্রাপ্যই ছিলো। সালমান শাহ Bike রাইডিং এবং Cycling এ বেশ দক্ষ ছিলেন। সিনেমায় তাকে সেই সময়ের cb550, escort115 Bike ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ফোর হুইলের বাইকও তার ছিল। মোটর বাইকের পাশাপাশি ক্যাজুয়াল রাইডিং এর জন্য হাতে Gloves পরে চওয়া হুইলের Mountain/Hybrid Bicycle রাইড করতেন যেটা শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করেনা হাল আমলে এটা ফ্যাশন অনুষঙ্গও বটে।

ড্রাইভিং খুব ভালো জানতেন সালমান শাহ। ডানা মেলা সেই Mark2 Series এর Chaser গাড়িটি সালমানের অনেক পছন্দের ছিল। তার অনেক ছবিতেই গর্জিয়াস লুকের গাড়িটি নিয়ে Show off করতে দেখা গেছে। প্রায়ই শ্যুটিং শেষে রাতে বাসায় ফিরে না যেয়ে গাড়ি নিয়ে মেঘনা ব্রিজে চলে যেতেন, রাতের বেলা গাড়ি নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন সালমান। ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল উভয় ধরনের ড্রেসের সাথে সালমান বিভিন্ন ধরনের Bracelet ব্যবহার করতেন যেটা কুল বয় লুকস পেতে ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ। তিনি Stretch Bracelet, Silver Bracelet ব্যবহার করতেন। গলায় Gold Chain এর পাশাপাশি Horn Pendant, Silver Pendant ক্যাটাগরির Men’s Necklace ব্যবহার করতেন। কানে Men Stud Earring, Hoop Earring পরতেন। আঙ্গুল আবার বাদ যাবে কেন? Gold Ring এর সাথে Stylish Gemstone Finger Ring পরতেন সালমান।

সালমানের বাসায় শেলফ ভর্তি শত শত জোড়া সু, লোফার, কনভার্স, হাই বুট এবং কেডস ছিল। তিনি সিনেমার প্রতিটা দৃশ্য জুতা পরিবর্তন করতেন। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে সালমান সিনেমায় মোট 300 জোড়া জুতা ব্যবহার করেছেন যা রীতিমত রেকর্ড হয়ে আছে। সালমান ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছুটা লম্বা চুল রেখেছেন। মাঝে দিয়ে Short Hair Back brush স্টাইল করেছেন এবং শেষের দিকে Semi-long, Shoulder Length, Ponytail স্টাইল করেছেন। এক সিনেমায় Long Hair এর সাথে French Cut দাড়ি রাখতেও দেখা গেছে সালমানকে।

ক্যাজুয়াল পোশাকের সাথে সালমান বিভিন্ন ধরনের Headband, Headscarf,Towel, Wrap পরেছেন ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে। এগুলা মাথায় বাধার পাশাপাশি গলায় এমনকি জিন্সেও বাধতে দেখা গেছে সালমানকে। Arabian Shemagh Scarfs যেটা মধ্যপ্রাচ্যর লোকেদের বেশি পরতে দেখা যায় এই Scarf গুলাও সালমান অ্যারাবিয়ানদের মত মাথায় বেধেছেন এবং শীতের দিনে গলাতেও পরেছেন। মরক্কোর লোকেদের মত Head Wrap পরেছেন। শীতের সময়ে স্কার্ফের পাশাপাশি বড় চাদরের মত এক ধরনের পোশাক ঘাড়ে বেধে শরীরের অর্ধেক অংশ পর্যন্ত নামিয়ে পরতেন যা কিনা আজকাল আমরা ফ্যাশন হিসাবে ব্যবহার করি।

সালমান New Era কোম্পানি সহ বিভিন্ন কোম্পানির Adjustable Backstrap Cap পরতেন। স্টাইলে ভ্যারিয়েশন আনতে এসব ক্যাপের Back Opening এ Ponytail বের করে রাখতেন। “স্বপ্নের পৃথিবী” ছবিতে সালমানকে Army Coat এর সাথে এই ধরনের Peaked Cap ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ডিফেন্সের লোকেরা এই ধরনের ইউনিফর্ম পরলেও ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে সালমান এটি ব্যবহার করেছিলেন। সালমান পরিবর্তী সময়ে একধরনের স্থবিরতা ভর করে বাংলা চলচ্চিত্রে। অনেকটাই এক ঘেয়েমি পোশাক আর বিরক্তিকর অভিনয়ে সালমানের কাছ ঘেষতে পারেনি কোনো অভিনেতা এখনও। প্রচলিত ধারার বিপরীতে পোশাকআশাকে নিয়ে এসেছিলেন আধুনিকতার ছোঁয়া। কখনও হ্যাট ও লং কোটে ডিটেকটিভ লুকে, কাউবয় বা কবি-সাহিত্যিকদের মত পোশাকে, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট বা লং শার্টের সাথে নানা রকমের ওয়েস্টকোট পরে, শাহী পোশাকে বা যোদ্ধার বেশে, স্যুট-টাই পরে জেন্টল লুকে, মাঝি, রাখাল বা ঢাকাই রংবাজের গেটআপে, শার্টের কলার খাড়া করে কিংবা হাফহাতা গেঞ্জি,জিন্স উপরের দিকে ভাজ করে, হুডি-শার্ট কখনো ইন করে করে আবার ওপেনে রেখে বিভিন্ন লুকে পর্দায় হাজির হতেন সালমান। একমাত্র সালমান শাহ পেরেছিলেন ফ্যাশন আর স্টাইলে সব মহলের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে।

বেঁচে থাকলে ৪৯ বছরে আজ পা রাখতেন আমাদের সালমান। আজও বাংলাদেশে সালমান শাহ তার স্টাইলের জন্য বিখ্যাত। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো বাংলা সিনেমা অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে যেত। বিশ্ব দরবারে বাংলা সিনেমা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতো। সালমানের অনুপুস্থিতি আজও আমাদের ব্যথিত করে। আকাশের ঠিকানার খোলা চিঠিতে আমাদের হারিয়ে যাওয়া স্টাইল আইকনকে জানাই “শুভ জন্মদিন”।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।

গতকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিএফডিসি'র টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বিএফডিসি'র সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন বক্তৃতা রাখেন বিএফইউজে'র সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নব-নির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রব, বাচসাস'র সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানাক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদের আমরা মননশীল করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন নারকীয় এই হামলার নেতৃত্ব দেওয়া জয় চৌধুরী শিবা শানু, ও আলেকজান্ডার বো'সহ জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতি থেকে সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মানববন্ধন থেকে বক্তারা।

মানববন্ধনে আরও অংশ নেয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো'র নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে, ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান। দশ জনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্না।


সাংবাদিকদের ওপর হামলা   এফডিসি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি।

কাজের পাশাপাশি এই অভিনেত্রীর ঘরের খবর পেতেও মুখিয়ে থাকেন দর্শক। কবে বিয়ে করছেন, কেন একা থাকেন এসব জানার খুব শখ তাদের। বরাবরই তিনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। তবে এবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে জয়া কথা বলেছেন বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে।

বিয়ে নিয়ে জয়া বলেন, বর্তমান জীবন খুবই এনজয় করছি। দেখুন, পরিবার তো শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয়, অথবা পার্টনার হলেই হয় না, পরিবারে আরও অনেকেই আছে। পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যেসব লোক কাজ করেন, তারা আছেন। আমি খুবই এনজয় করি।

একাকী জীবনযাপন নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি তো কোনোকিছু পরিকল্পনা করি না। যদি মনে করি যে সিঙ্গেল থেকে ডাবল হতে চাই, দরকার আছে, তখনই হবো। তবে এই মুহূর্তে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, আমি খুবই ভালো আছি, শান্তিতে আছি চারদিকে। আমার আপাতত কোনো প্ল্যান নেই।

এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করতে যাচ্ছেন জয়া। এটি নির্মাণ করবেন মহানগর খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।


জয়া আহসান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন