নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্রের দাপটীয় সেই দিন আর নেই। মানুষ এখন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন থেকে অনেকটাই দৃষ্টি সরিয়ে কম্পিউটার এবং স্মার্টফোনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এতে করে বিশ্বের সব বিজ্ঞাপনের ধরণও বদলেছে। এই ধরণ বদলানোর ভালোই সদ্ব্যবহার করছে গুগল এবং ফেসবুক।
এই দুটো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বিশ্বের অনলাইন বিজ্ঞাপন রাজস্বের অর্ধেকটাই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। যা মোট বিজ্ঞাপনের ২৫ শতাংশ। আমরা চার্টে সেটা দেখতেও পাচ্ছি।
এখন তারা নিজস্ব একাউন্টের মাধ্যমে সব বিজ্ঞাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিজেরাই বিক্রি করছে। গুগল আর ফেসবুকের এই বিজ্ঞাপনী আধিপত্য আগের সব পুরোনো ঐতিহ্যগত গণমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে প্রভাবিত করছে। শুধু তাই নয়। নতুনদেরও প্রভাবিত করছে। স্ন্যাপ এবং টুইটারের মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলোও তাদের বিজ্ঞাপন ধরে রাখার জন্য রীতিমত যুদ্ধ চালাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/ এসএইচ/ জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন