নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এবং ম্যানহাটনে যানবাহনের চলার গতি কমে গেছে। দেশের বাণিজ্যিক শহরগুলোতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে। গত পাঁচ বছরে দিনের বেলাতে যানবাহনের গতি ২০ শতাংশ কমেছে। আর এর কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো।
বর্তমান রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো যাত্রীদের চলাচল আরও সহজ করে দিয়েছে অবশ্যই। সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে, চলাচল দ্রুততর হয়েছে। কিন্তু এর কারণে রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে অনেক। সম্প্রতি উবার ও লিফটের মতো অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজট আরও তীব্র পর্যায়ে চলে গেছে। এই তথ্যই জানিয়েছেন ট্রান্সপোর্ট এক্সপার্ট ব্রুস স্ক্যালার।
চার বছর ধরে চলা জরিপ থেকে জানা যায়, ম্যানহাটনের রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক গাড়িগুলোর ভাড়া ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে শুধু নিউইয়র্কেই ৬৮ হাজার রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার রয়েছেন। হলুদ ক্যাব ড্রাইভারদের চেয়ে তাদের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি। এতে দেখা যায় ৪৫ শতাংশ সময় তারা ভাড়া পাওয়ার আশায় ঘুরতে থাকে। এতে ব্যস্ত রাস্তা একদম থেমে যায়।
এ বিষয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পলিসি বিশেষজ্ঞ জারেট ওয়াকার বলেছেন, বেশির ভাগ মানুষ এখন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করাকে ঝামেলাপূর্ণ মনে করছে। তাই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ব্যবহার করার পরিমাণ বেড়েছে, এবং দিন দিন তা আরও বেশি বাড়ছে। এর মানে, বড় বড় বাস ট্রেন ছেড়ে যাত্রীরা উবারে চালিত ছোট ছোট গাড়ি ব্যবহার করছে। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি চলতে পারেনা। তাই যতো দ্রুত সম্ভব যানযট নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর নীতিমালা দেখতে পাওয়া যাবে।
তবে রাস্তায় অত্যধিক ভিড়ের জন্য রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো শুধু নিজেদের দোষ নিতে রাজি নন। এ বিষয়ে উবারের হেড অব ট্রান্সপোর্ট পলিসি অ্যান্ড্রু সেলবার্গ জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাস্তার নির্মাণ ও শহর কর্তৃপক্ষের যানজট নিয়ন্ত্রণের নীতিমালাও রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড় বাড়ার অন্যতম কারণ। যাত্রীকে সময় মতো কোথাও পৌঁছে দেওয়া না গেলে সেটা আমাদের ব্যবসার জন্যও ভালো কিছু নয়। তবে তার মানে এই না যে আমরা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের বিকল্প হতে চাচ্ছি।
অন্টারিওতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ও রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম যৌথভাবে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। ঘর থেকে বের হয়েই তারা উবার ব্যবহার করছেন। যেখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে সেখানে নেমে যাচ্ছেন। এতে করে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তারা উপকার পাচ্ছেন। তাদের কাছে এসব রাইডিং এর চাহিদা অনেক বেশি এবং সুবিধাজনক।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন