নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮
অন্যদের তৈরি করা চিপের ওপর ভরসা না করে নিজেরাই মাইক্রো চিপের বানাবে। বলছি বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কথা। জোর গুঞ্জন চলছে, ফেসবুক এবার স্মার্ট যন্ত্রাংশ তেরির মাইক্রোচিপ বানানোর বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।
নিজস্ব চিপ তৈরি করতে ফেসবুক কারিগরি দল গঠন করছে। ধারণা করা হচ্ছে ফেসবুক এতে সফল হলে ইনটেল, কোয়ালকমের মতো সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ফেসবুকের নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে।
ফেসবুকের এক চাকরির বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চিপ নির্মাণে অভিজ্ঞ একজন ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেবে তারা। চিপ নির্মাণ প্রচেষ্টার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ডওয়্যারে ব্যবহারের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমর্থন করবে ফেসবুকের তৈরি চিপ। ফেসবুকের বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে এই চিপের ব্যবহার দেখা যাবে।
এর আগে ২০১০ সালে অ্যাপল নিজস্ব চিপ তৈরির কাজ শুরু করে। বর্তমানে বিভিন্ন যন্ত্রে নিজস্ব চিপ ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া গুগল নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন চিপ তৈরি করেছে। আগামী মাসে ফেসবুক আকুলাস গো নামের একটি ভিআর হেডসেট বাজারে ছাড়ছে। এ ছাড়া ফেসবুক স্মার্ট স্পিকার তৈরি করছে। ধারণা করা হচ্ছে এসব যন্ত্রে নিজস্ব কাস্টমাইজড চিপসেট ব্যবহার করতে পারে ফেসবুক।
বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন