নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ০৯ জুন, ২০১৮
মানুষের সঙ্গে পোষা প্রাণীর সম্পর্ক বেশ বন্ধুসুলভ। যাদের বাসায় এসব প্রাণী থাকে,তাঁদের আদর করে নামও রাখা হয়। মনে করা হয় পরিবারেরই একজন। বিশেষ করে ছোট শিশুদের পোষা প্রাণীদের সঙ্গে সখ্যতা হয় বেশি।
বিভিন্ন পোষা প্রাণীর মধ্যে বিড়াল-কুকুরই বেশি জনপ্রিয়। দেখতে বেশ আদুরে আর চোখ বড় বড় হওয়ায় বিড়াল পছন্দ করেন অনেকেই।
অনেকের বাসায় বিড়াল না থাকলেও, ইউটিউবে বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এদের ভিডিও দেখে বেশ মজা পান। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এদের নানা রকম নতুন ভিডিও প্রতিনিয়তই আপলোড হচ্ছে। বেরসিকরা মনে করতে পারেন, এসব ভিডিও দেখা মানেই সময় অপচয়।
তবে বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা । সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের মজাদার ও আকর্ষণীয় ভিডিও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। আর এই সব প্রাণীদের দুষ্টুমির ভিডিও দেখলে আপনি যত চাপেই থাকুন না কেন, মুখে হাসি ফুটবেই।
মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা যত বাড়বে ততই তাঁর মধ্যে সৃজন শক্তির বিকাশ ঘটবে, যা তাঁকে নিশ্চিত সাফল্য দিতে পারে। ইতিবাচক মনোভাব মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ও সাহায্য করে। তাছাড়া ক্লান্তি ও একঘেয়েমী দূর করতেও এ ধরনের ভিডিও বেশ উপকারী।
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষ হয়ে পড়ছে আনন্দহীন । তাই এই ধরনের পোষ্য প্রাণীদের মজাদার ভিডিও দেখে যদি একটু আমেজ ফিরে আসে, তবে ক্ষতি কি!
বাংলা ইনসাইডার/ জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন