নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ১৮ জুলাই, ২০১৮
আমাদের দেশের বাজারে শাওমি ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই দেশে তাদের কোনো ব্যবসায় কার্যক্রম না থাকলেও তাদের পরিচিতি থেমে ছিল না। কিন্তু এবার বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে শাওমি।
চীনভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতা শাওমি গতকাল রাজধানীতে ‘হ্যালো বাংলাদেশ’ নামের এক ইভেন্টে এ ঘোষণা দেয় চীনভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতা শাওমি। বাংলাদেশে এখন থেকে সরাসরি ব্যবসায় পরিচালনা করবে শাওমি।
আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি রেডমি এস২ নামের নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে শাওমি। ডিভাইসটির দুটি সংস্করণ আনা হয়েছে। এগুলোর দাম যথাক্রমে ১৪ হাজার ৯৯৯ ও ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ অনলাইন স্টোর দারাজে পাওয়া যাবে ফোন দুটি। এরপর দেশের সব খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র থেকেও ফোন দুটি কেনা যাবে।
শাওমি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর আগে সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসইবিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিচালনা করতো। এখন থেকে এসইবিলের পাশাপাশি সরাসরি ব্যবসায় পরিচালনা করবে শাওমি।
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে সারাবিশ্বে শাওমির কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাওমি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানু জৈন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের লাখো শাওমি ভক্তদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শাওমির ডিভাইস নিয়ে আসতে পারায় তাঁরা আনন্দিত।
বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। এর ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্যই মূলত দেশে তাদের যাত্রা শুরু।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন