নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সারাদিন শুয়ে বসে কাটালে শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে এমনটাই শুনে অভ্যস্ত আমরা। তাই সবাই ধারণা করে থাকি, দীর্ঘায়ু পেতে হলে অবশ্যই আলসেমি ছাড়তে হবে। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় এর ঠিক উল্টোটাই উঠে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অলসতা হচ্ছে আয়ু বাড়ানোর ভাল একটি উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চতর বিপাকীয় হার সম্পন্ন প্রজাতিগুলোর থেকে কিছুটা অলস প্রাণীরাই বেশিদিন বাঁচে।
ইউনিভার্সিটি অব কানসাস বায়োডাইভার্সিটি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের গবেষক লুক স্ট্রোটস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কম শক্তি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় এমন প্রাণীরা উচ্চতর বিপাকীয় হার সম্পন্ন প্রানীদের থেকে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে।
বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে থাকা প্রাণীদের রক্ষায় এই গবেষণা কাজে লাগানো যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষক ব্রুস লিবারম্যান বলেন, বিবর্তনের ধারায় সম্ভবত সেই প্রজাতিগুলোই বহু বছর পরেও টিকে থাকবে যাদের বিপাকীয় হার কম।
এই গবেষণা প্রতিবেদন দেখে যারা বাকি জীবনটা শুয়ে বসে কাটিয়ে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্রাণীজগতের কিছু প্রজাতির উপরই কেবল এ গবেষণা চালানো হয়েছে। সমগ্র প্রাণীজগতের জন্য একই তত্ত্ব প্রযোজ্য কিনা তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন