নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৮
পোস্ট অফিস এবার ই-কমার্সের পণ্য ডেলিভারির ডিজিটাল পদ্ধতি ‘ই-পোস্ট’ সেবা চালু করেছে। আর এরপরেই ই-পোস্টকে অনলাইন ডেলিভারি সেবার প্ল্যাটফর্ম বলা হচ্ছে। এখানে ডেলিভারির ট্র্যাকিং, মনিটরিং ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার সেবা মিলবে। সেবাটি চালু করতে পোস্ট অফিসকে সহযোগিতা করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে বা ই-ক্যাব।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে দেশের ৬৪ জেলায় এই সেবার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় ডাক বিভাগের দুর্বল জায়গাগুলো অতিক্রম করার কাজ শুরু হয়েছে। ডাককে ডিজিটাল ডাকে রূপান্তর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২০২১ সালের মধ্যে এমন কোনো বাড়ি থাকবে না যেখানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট থাকবে না।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল জানান, ইতিমধ্যে ই-পোস্ট সার্ভিসের মাধ্যমে সফলভাবে ই-কমার্স পণ্য বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে আজকেরডিল, বাগডুম, দারাজ, রকমারি, বিক্রয় এর পণ্য ডেলিভারিতে ই-পোস্টের ট্র্যাকিং সার্ভিস সফল হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ই-পোস্টকে ১০০ টি মোবাইল হ্যান্ডসেট দেওয়া হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন