নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ০৩ এপ্রিল, ২০১৭
শিক্ষার্থী ও তরুণরা রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করছে। অনেকটা নেশার মতোই আকৃষ্ট তারা। এতে কার্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে মধ্যরাতে (রাত ১২ - সকাল ৬টা) ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা ভাবছে সরকার।
এ বিষয়ে মতামত চেয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে একটি চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তরুণদের এসব কারণ বিবেচনা করে অচিরেই ফেসবুক বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছর জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে এ বিষয়টি উত্থাপন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পর গত বছর ২৮ আগস্ট থেকে এ বিষয়ে কাজ করছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং শেষ পর্যন্ত এটার বাস্তবায়ন করার জন্য সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিতে দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ড. ফারুক আহমেদ ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলছেন, “ফেসবুক ব্যবহার করা তথ্যপ্রযুক্তির জন্য একটি সার্বজনীন ব্যাপার। কিন্তু সারা রাত ধরে ফেসবুক ব্যবহার করার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া আমাদের তরুণ প্রজন্ম কাজের ক্ষমতা এবং কাজের সময় নষ্ট করছে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠিটি পাওয়ার পর টেলিযোগাযোগ বিভাগ ওই বিষয়ে বিটিআরসির মতামত চেয়েছে। মতামত পাওয়ার পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসআই
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন