নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮
বর্তমান অন্যতম চীনা টেক জায়ান্ট ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে আগামী দুইবছরের মধ্যে শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হওয়ার চেষ্টায় নেমেছে। ২০২০ সালের মধ্যে তারা এই কাজে সফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারের দিক দিয়ে অ্যাপলকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে। আর প্রথম স্থানে রয়েছে স্যামসাং।
হুয়াওয়ের কনজিউমার ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, হুয়াওয়ে সামনের বছরেই এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হওয়ার কাছাকাছি চলে যেতে পারে। হয়তোবা স্যামসাংয়ের কাছাকাছিই চলে যাবে। আর সেই সূত্রেই ২০২০ সালের দিকে তারা শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার খুব ভালো সুযোগ পাচ্ছে।
হুয়াওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসে ২০১০ সালে। আর এর তিন বছর আগে প্রথম আইফোন বাজারে আনে অ্যাপল। ফোনের বাইরেও হুয়াওয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কিং ইকুইপমেন্ট তৈরি করে। এই খাতেও প্রতিষ্ঠানটি এখন বেশ প্রভাব বিস্তার করে আছে। কিছুদিন আগেও তারা অরিজিনাল ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারার (ওডিওম) হিসেবে বেশ সুখ্যাত ছিল। মানে তারা অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিভাইস তৈরি করতো।
ওডিএম থেকে স্মার্টফোন জায়ান্ট হওয়ার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল রিচার্ড ইউ এর। তিনি প্রথমে হুয়াওয়ের বিজনেস টু বিজনেস বিভাগে কাজ করতেন। পরবর্তীকালে ২০১২ সালে তিনি হুয়াওয়ের কনজিউমার ডিভিশনের সিইও হিসেবে যোগ দেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নেন ফিচার ফোনের পরিবর্তে স্মার্টফোন তৈরি করবে হুয়াওয়ে। পরে ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বড় স্ক্রিনের ফোনে শক্তিশালী ব্যাটারি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
আগামী বছরগুলোতে ফোল্ডেবল ফোন, ফাইভজি প্রযুক্তি ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সমৃদ্ধ কিরিন ৯৮০ প্রসেসরটি তারা মেট ২০ ফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রিচার্ড ইউ জানান, আগামীতে এআইয়ের মাধ্যমেই বিভিন্ন সেবা পাওয়া যাবে। সবগুলো অ্যাপকে সংযুক্ত করবে এআই। এই প্রযুক্তি কতোটা শক্তিশালী হবে তার উপরেই নির্ভর করবে ফোনের সক্ষমতা। তবে শুধু হার্ডওয়্যার ব্যবসাই নয়, ক্লাউড স্টোরেজ, মিউজিক স্ট্রিমিং ও ভিডিও কনন্টেন্ট দেখার প্ল্যাটফরমও তৈরি করেছে হুয়াওয়ে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।