নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গতকালই বিজয় দিবসে ফোরজি চালু করেছে টেলিটক। উচ্চগতির নেটওয়ার্কের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা অপারেটরটি তেমন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই ফোরজি সেবায় প্রবেশ করেছে।
গ্রামীণফোন, বাংলালিংক আর রবি চতুর্থ প্রজন্মের লাইসেন্স পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেবা চালু করে দিয়েছেল। আর টেলিটকের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর লাইসেন্স পাওয়ার ১০ মাস পর কার্যক্রম শুরু করলো।
টেলিটক বলছে, আপলোডের ক্ষেত্রে তাদের নেটওয়ার্কের স্পিড হবে ১৫ এমবিপিএস। আর ডাউনলোড স্পিড হবে ৪০ এমবিপিএস। প্রথমে রমনা, মতিঝিল, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ফার্মগেট, গুলশান, নিকেতন, বারিধারা, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ও ধানমণ্ডিতে ফোরজি সেবা পাওয়া যাবে বলে টেলিটক জানিয়েছে। তাদের আশা, খুব তাড়াতাড়ি সারাদেশে দ্রুতগতির এ ইন্টারনেট সেবা চালু হবে। এর আগে অবশ্য গত মাসে রাজধানীর ধানমণ্ডিসহ আশপাশের এলাকায় ফোরজির পরীক্ষামূলক সেবা চালু করেছিল তারা।
শুরুতে প্রায় সাড়ে পাঁচশ টাওয়ার ফোরজি ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। আরও পাঁচশ টাওয়ার নিয়েও কাজ চলছে। আর এই সেবা বাড়ানোর জন্য টেলিটকের নিজস্ব তহবিলের ৯৮৭ কোটি টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে আরও কয়েকটি প্রকল্প অল্পদিনের মধ্যে শুরু হবে।
টেলিটক জানিয়েছে, ফোরজি সেবাভূক্ত হতে হ্যান্ডসেট সাপোর্ট করার পাশাপাশি ২০১২ সালের আগে যারা টুজি বা থ্রিজি সিম নিয়েছেন, তাদের সিম বদলাতে হবে। থ্রিজি থেকে ফোরজিতে মাইগ্রেট করতে 4G লিখে মেসেজ করতে হবে 111 নম্বরে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন