নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৩ পিএম, ১২ মে, ২০১৯
মা সবার কাছে প্রিয়। সেটা তো সবাই জানে আর বোঝে। মাকে বিশেষভাবে স্মরণ করতে আমাদের রয়েছে মা দিবস। সেই মা আর মা দিবসের গুরুত্ব বুঝতে ইন্টারনেট দুনিয়াও পিছিয়ে নেই। প্রতিবারের মত এবারও বিশ্ব মা দিবসে ভিন্নতা নিয়ে নতুন ডুডল প্রকাশ করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। ডুডলের এবারের গল্প ৬টি ছোট্ট ছোট্ট রঙিন হাঁসছানা আর তাদের মাকে নিয়ে।
ডুডলের প্রথম ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বড় একটি হাঁস জেগে বসে তার ঘুমন্ত বাচ্চাদের পাহারা দিচ্ছে। বাচ্চাগুলো মায়ের আশপাশে গুটিশুটি হয়ে ঘুমিয়ে আছে। একটি আদুরে ছানাকে দেখা মায়ের পিঠে উঠে ঘুমাতেও দেখা গেছে।
ছবিটির নিচে রয়েছে তিনটি প্লে বাটন। প্রতিটিতে মা হাঁস ও তার ছানাদের দৈনন্দিন নানা কর্মকাণ্ডের দৃশ্য রয়েছে। প্রথম বাটনটিতে ক্লিক করলে দেখা যায়, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে হাঁটতে শেখাচ্ছে মা। ছয়টি বাচ্চা সারি বেঁধে মায়ের পেছন পেছন হাঁটতে গিয়ে বারবার আছাড় খেয়ে পড়ে যাচ্ছে, দৌড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে তাল সামলাতে পারছে না। তখন মা হাঁসটি তাদের দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে পিঠটা উঁচু করতে হবে, কীভাবে পা নাড়াতে হবে। মাকে দেখে ছানাগুলো ঠিক করে হাঁটা শিখে যাচ্ছে।
দ্বিতীয় প্লে বাটনে ক্লিক করলে ছানাসহ মা হাসকে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। দেখা যায়, পানিতে ছুটোছুটি করে দুষ্টুমিরত বাচ্চাগুলোতে মা হাঁসটি ধৈর্য নিয়ে ঠিকভাবে সাঁতার শেখাচ্ছে। তখন বাচ্চাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে একে একে মায়ের সাঁতার শেখার সব কৌশল বুঝে নেয়ার চেষ্টা করছে, তার গায়ে ধাক্কা খাচ্ছে।
তৃতীয় প্লে বাটনের দৃশ্যে আবারও ফুটে উঠেছে সন্তানদের প্রতি মা হাঁসের মনোযোগ আর যত্ন। ছয়টি ছানা বড় হচ্ছে। তাদের কৌতুহল আর দুষ্টুমির শেষ নেই। সেই দুষ্টুমি আর কৌতুহলের বশে মাকে ফেলে রেখেই এদিক ওদিক ছুটে যাচ্ছে তারা। কিন্তু এমন সময় যখন হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলো, মা তার ডানা ছড়িয়ে দিলো বাচ্চাদের দিকে। ছোট ছোট হাঁসগুলো তখন বৃষ্টি থেকে বাঁচতে দৌড়ে চলে আসে মায়ের উষ্ণ ডানার আড়ালে। সেখানেই তাদের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়।
বিশ্ব মা দিবসে আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ দেখতে এই ডুডলে কিন্তু গুগল ফুটিয়ে তুলেছে মা-সন্তানের অকৃত্রিম ভালোবাসা। বোঝাতে পেরেছে যে মায়ের চেয়ে বড়কিছু পৃথিবীতে আর কিছু হয় না।
ডুডলটির পাশে থাকা সার্চ অপশনে ক্লিক করলে মা দিবস নিয়ে সংবাদ প্রতিবেদনসহ নানা ধরনের তথ্য সম্বলিত গুগল সার্চ পেজে দেখা যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।