নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০১৯
আমাদের দেশীয় বাজারে টেক জায়ান্ট স্যামসাং এর চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা বরাবরই বেশি। সেটাকে মাথায় রেখে এবার দেশের বাজারে চলে এসেছে রোটেটিং ট্রিপল ক্যামেরা প্রযুক্তির ফোন গ্যালাক্সি এ৮০।
এই ফোনটির পিছন দিকের উপরের দিকে একই সারিতে ফ্ল্যাশসহ রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। কিন্তু মজার বিষয় হলো, ফোনটির সামনে কোনো ক্যামেরা নেই। আপনার সেলফি তোলার ইচ্ছে হলে ক্যামেরাটিকে শুধু ঘুরিয়ে নিলেই হবে।
ক্যামেরাতে থাকছে একটি ৪৮ মেগাপক্সেল প্রাইমারি সেন্সর। সঙ্গে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা আর একটি থ্রি ডি ডেপ্ত সেন্সর। ফোনটিতে আরও রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৭৩০ প্রসেসর, ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম।
ব্যাকআপের জন্য এতে থাকবে ৩৭০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। সঙ্গে থাকছে ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি।
ফোনটি গোস্ট হোয়াইট, ফ্যান্টম ব্ল্যাক এবং অ্যাঞ্জেল গোল্ড রঙে পাওয়া যাবে।
ফোনটির জন্য দারুণ এক অফারও দিচ্ছে স্যামসাং। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্যামসাংয়ের প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চলবে। ফলে ক্রেতারা গ্যালাক্সি এ৮০ ফোনটি ৭৪ হাজার ৪৯০ টাকায় কিনতে পারবেন। ডিভাইসটির আসল মূল্য ৭৭ হাজার ৪৯০ টাকা। ক্যাম্পেইন চলাকালে ফোনটি ক্রেতারা একটি ডিসকাউন্ট ভাউচার পাবেন। পরবর্তীতে স্যামসাং রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষেত্রে ভাউচারটি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাবেন। তাই এই দারুণ অফারটি নিঃসন্দেহে স্যামসাংপ্রেমীদের দারুণ উৎসাহী করবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন