নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ০৫ মার্চ, ২০২০
এতোদিন মেসেঞ্জারে আমরা ডার্কমোড অপশনটি দেখেছি। এবার আরেক বহুল জনপ্রিয় ক্রস-প্লাটফর্ম মেসেজিং ও ভয়েস ওভার আইপি সেবা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে ডার্ক মোড ফিচার এসেছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপে ফিচারটি পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে অনেক অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইস ব্যবহারকারীর কাছে আপডেটের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের ডার্ক মোড ফিচার পৌঁছে গেছে।
আর যদি স্বয়ংক্রিয় আপডেটে হোয়াটসঅ্যাপে ডার্ক মোড ফিচার না পৌঁছলে কি করবেন, সেটাই জানাচ্ছি।
জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ডার্ক মোড ফিচার পেতে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে প্রথমেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করে নিন। আপডেট অপশন না দেখালে কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে ডিসপ্লে ব্রাইটনেস অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ব্যবহারকারী ডার্ক মোড ফিচারের অপশন দেখতে পারবেন।
আর এখনো যারা অ্যান্ড্রয়েড ৯ অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইস ব্যবহার করছেন, তাদের প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে যেতে হবে। এরপর চ্যাট ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে থিম অপশনে গিয়ে ডার্ক মোড অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
এদিকে আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ডার্ক মোড ফিচার পাবেন সহজেই। আইওএস ১৩ চালিত ডিভাইস ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ হালনাগাদ পাবেন। আবার অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ ডাউনলোড করলে ডার্ক মোড ফিচার পাবেন। এছাড়া ফোন সেটিংসে গিয়ে ডিসপ্লে ব্রাইটনেস অপশনে ডার্ক মোড ফিচার পাবেন। সেখানে ট্যাপ করে ফিচারটি চালু করে নেওয়া যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বহু ব্যবহারকারীর দাবি ছিল ডার্ক মোড ফিচার। এটি শুধু চোখের জন্যই আরামদায়ক নয়, মোবাইল ডিভাইসের ব্যাটারি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হোয়াটসঅ্যাপে ডার্ক মোড ফিচার আনার আগে বহুবার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সাধারণত ডিভাইসের ডিসপ্লে সাদা থাকাকালীন চোখে ব্যথা ও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে ডার্ক মোডে চোখের এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফিচারটির সুবাদে দিনের আলোয়ও স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কম রেখে অতিসহজে কাজ করা যাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন