নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২০
যে কোন জরুরী প্রয়োজনে সরাসরি যোগাযোগের জন্যে আমরা টেলিফোন ব্যবহার করি। আজকাল মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় বেশি কারণ স্মার্ট ফোনে যেসব ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর অনেকগুলো আমাদের তাৎক্ষণিক ছবি বা ভিডিওসমেত যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম। জনপ্রিয় এরকম কয়েকটি অ্যাপ আমাদের দেশেও প্রচুর সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করে থাকেন যেমন ভাইবার, ইমো বা হোয়াটসঅ্যাপ। একসময় এসব অ্যাপ টেক্সট ম্যাসেজ পাঠাবার জন্যে তৈরি হলেও শেষে অডিও ও ভিডিও ফিচার যোগ করে মানুষকে বেশি বেশি সেবা দেবার উদ্যোগ নেয়। সম্প্রতি ফেসবুক তার ইনবক্স সেবাকে ম্যাসেঞ্জার নামে সাজিয়েছে যার মাধ্যমে টেক্সট, অডিও ও ভিডিও কলিং সুবিধা দেয়া হয়েছে যা একেবারেই ফ্রী। ফ্রি বলেই হয়তো এই সেবাগুলো নিরাপদ নয় বিশেষত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার শর্ত ভঙ্গের দায়ে এদের অনেক মালিক/কোম্পানীকে জরিমানা গুণতে হয়েছে বা আদালতে যেতে হয়েছে।
ফেসবুক ছাড়াও গুগোল, ইয়াহু ও মাইক্রোসফট একসময় নিরাপদ ম্যাসেঞ্জার সেবা দিত। প্রথম দিকে এগুলো কেবলমাত্র টেক্সটিং-এর জন্যে ব্যবহার করা হতো। ই-মেইল আকাউন্ট খোলা হলেই গুগোল তার জি-মেইল থেকে ‘হ্যাংআউট’ সেবা দিত যা পরে ‘এলো’ ও ‘ডুয়ো’ নামে বিভক্ত হয়েছে। গুগোল ‘ডুয়ো’ ভিডিও কলের জন্যে এখন বেশ জনপ্রিয়। ইয়াহু তার ‘ম্যাসেঞ্জার’ সেবা এখন তুলে নিয়েছে কিন্তু অধিকতর জনপ্রিয় হয়েছে মাইক্রোসফটের সেবাগুলো। শুরু থেকে হটমেইল একাউন্টের সাথে সে ‘লাইভ’ সুবিধা দিত যা প্রথমে টেক্সটিং, পরে অডিও কলের সেবায় রূপান্তরিত হয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়। লাইভের নিরাপত্তা নিয়ে কখনও তেমন কোন প্রশ্ন উঠেনি। তবে এযাবৎকালে মাইক্রোসফটের ‘স্কাইপ’ সেবাই অডিও ও ভিডিও কলিং-এর সেবায় সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়েছে। মাইক্রোসফট এখন স্কাইপ বন্ধ করে ‘টিমস’ নামে একটি সেবা চালু করেছে যা তার ইন্টারনেটভিত্তিক ‘অফিস৩৬০’ কর্মসূচীর সাথে যুক্ত হয়ে দলবদ্ধ বা গ্রুপ অডিও-ভিডিও-টেক্সট এমনকি ফাইল আনা নেয়া, উপস্থাপন ও শেয়ারিং সুবিধা রেখেছে। বলা বাহুল্য, এরকম নানামুখী সেবা-সুবিধাটি মাইক্রোসফট ফ্রী দিচ্ছে না। এর ‘অফিস৩৬০’ লাইসেন্স থাকলেই এই সুবিধা পাওয়া যায়।
যারা বাড়ি বসে কাজ করেন বা একাধিক প্রকল্পের দূরবর্তী স্থানে অফিস করেন তাদের জন্যে ভিডিও সেবা সমৃদ্ধ সুবিধা থাকাই এখন কাম্য। অনেকেই জানেন চিকিৎসা সেবায় দূর-নিয়ন্ত্রিত সেবা সুবিধা যা আমরা টেলিমেডিসিন নামে জানি, এখন দেশে দেশে জনপ্রিয় হয়েছে। নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবার গোপনীয়তার প্রয়োজনে টেলিমেডিসিন সেবার জন্যে আই পি ভিত্তিক ভিডিও কলিং সুবিধা বেশী উপযোগী। তবে অনেক কোম্পানী এরকম সেবা দেবার জন্যে চাহিদা অনুযায়ী বা কাস্টমাইজড সেবা সুবিধা তৈরি করে দেয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে এখন বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপরে বেশ চাপ তৈরি হয়েছে বিশেষ করে সংক্রমণের আশঙ্কায় মানুষ তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করার কারণে। অফিসের কাজ বা পারিবারিক সংযোগ ও আত্মীয় পরিজনের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ রক্ষায় নানারকমের অডিও-ভিডিও কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য তথ্যের গোপনীয়তা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বজায় রেখে অ্যাপ বাছাই করে নেয়া ভালো। বিশেষ করে গুগোলের ও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার (অডিও-ভিডিও ও টেক্সটিং সকল ক্ষেত্রেই) সেবা নিয়ে নিরাপত্তাজনিত প্রশ্ন আছে। আজকাল ফেসবুক কলিং টেলিফোন সেবার বিকল্প হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞগণ এর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান কারণ ফেসবুক ইতোমধ্যে বহু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিনা অনুমতিতে পাচার করেছে বলে অভিযোগ হয়েছে। গুগোলের সহকারী সেবা ‘এলো’ কথোপকথনের ডেটা অন্যত্র শেয়ার করেছে বলেও নালিশ হয়েছিল। ফলে দায়িত্বশীল পদের কেউ যোগাযোগের জন্যে এসব ফ্রী, অনিরাপদ মাধ্যম ব্যবহার না করাই ভালো।
--
লেখকঃ পরিচালক, আমাদের গ্রাম
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।