নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিশ্বজুড়ে গতকাল শুক্রবার থেকে নতুন আইফোন (আইফোন-৮ এবং আইফোন-৮ প্লাস) সরবরাহ শুরু করেছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গতবারের মতো এবারও অগ্রিম বুকিং নেওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকেই নতুন আইফোন সরবরাহ শুরু হলো।
কী আছে নতুন আইফোনে, কী এর বিশেষত্ব- এসব আলোচনা ঘুরপাক খাচ্ছে আইফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে। আইফোন ৮ ও ৮ প্লাস-এর বিশেষ ছয় ফিচার সম্পর্কে জানাতেই এই প্রতিবেদন।
১. আইফোন ৮-এ আছে সম্পূর্ণ নতুন নকশার ক্যামেরা। ফোনের পেছনে আছে দুটি ক্যামেরা। একটি রেগুলার বা সাধারণ ক্যামেরার কাজ করবে। অন্যটি টেলিফোটো লেন্স সুবিধাযুক্ত, যেটা পোট্রেট ও ক্লোজ আপ ছবি তুলতে সহায়ক হবে।
২. অ্যাপলের নতুন এই আইফোন সংস্করণে আছে ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। তবে গ্যালাক্সি ৮-এর মতো অতো তাড়াতাড়ি চার্জ হবে না।
৩. আইফোন ৮-এর ব্যবহারকারীরা টাচ আইডি ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। টাচ আইডি ব্যাক কভারে অ্যাপল লোগোর সঙ্গেই পাবেন।
৪. নতুন সফটওয়্যার আইওএস ১১-তে যেমন আর্টিফিশিয়াল রিয়েলিটি এপিআই ব্যবহার করা হয়েছিল, তেমনি নতুন আইফোন ৮-এ-ও ৮ প্লাসে এই নতুন সফটওয়্যারই ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে এ-১১ প্রসেসর যুক্ত করা হয়েছে।
৫. আইফোন ৮-এ আছে ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। প্রয়োজনে ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত তিন জিবি যার্ম বা অতিরিক্ত স্পেসও ব্যবহার করতে পারবেন।
৬. অ্যাপলের নতুন এই মুঠোফোনে আছে বিশেষ এক অ্যাপলিকেশন। যার মাধ্যমে ‘ফেস রেকগনিশন’ বা চেহারা শনাক্তকরণ সম্ভব হবে। এর অত্যাধুনিক সেন্সর কম আলোতেও যে কারো মুখের অবয়ব শনাক্ত করতে পারবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরজে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন