ইনসাইড বাংলাদেশ

৫০ বছরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ০১ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ৫০ বছরে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন

৫০ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছরে পদার্পণ "পথ চলার ৫০" শিরোনামে উদযাপন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (১ জানুয়ারি) এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে  সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা অনুষ্ঠান, লোগো উন্মোচন, কেক কাটা, র‍্যালি সহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।   

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই দূরদর্শী রাস্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে যে ক্ষেত্রগুলির উপর  বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন, তার মধ্যে পর্যটন ছিল অন্যতম। জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশে পর্যটনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। প্রকৃতি ও মনুষ্যসৃষ্ট সকল নান্দনিক সৌন্দর্য ও ঐশ্বর্যকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন’- যা এদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান। 

তিনি আরো বলেন, পেরিয়ে আসা দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন দেশের আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকাসমূহে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, ডিউটি ফ্রি অপারেশন্স, রিসোর্ট, প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ইত্যাদি নির্মাণ করে পর্যটকদের মানসম্মত খাবার, আবাসন এবং নানাবিধ পর্যটন-সেবা প্রদান করে আসছে। দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকাসমূহকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতেও বিগত বছরগুলোতে যথেষ্ট অবদান রেখেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পর্যটন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউটটিও পরিচালনা করে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।  এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিবছর প্রায় ১৬০০ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ এর অধিক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরী করেছে, যারা দেশে বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে চলেছে। দেশে পর্যটন শিল্পের প্রসারের কারণে এ খাতে দক্ষ জনশক্তির ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনায় ২০১৭ সালে ন্যাশনাল হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সিটিউট-কে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে হাতে নেয়া কাজ সমাপ্তির পথে। এতে এই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষ জনশক্তির অধিকতর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।  

মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল যে পর্যটন শিল্পের, সময়ের পরিক্রমায় তা তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিকশিত হয়ে উন্নীত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পর্যটনবান্ধব নীতিমালা ও কার্যক্রমের ফলে দেশের পর্যটনশিল্প এখন বিকাশের নতুন অধ্যায়ে উপনীত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিপুলভাবে বিকশিত হচ্ছে এ খাতের বেসরকারি উদ্যোগ, যা এ শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পরিচালন ও সেবা প্রদানের আঙ্গিকে নানা পরিবর্তন এসেছে। যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে এর সেবা আধুনিকায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত ১২ বছরে প্রায় ২৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পর্যটন কর্পোরেশন।  এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ৩৩৫ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি-বেসরকারি পর্যটন পর্যটন অংশীজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পর্যটন কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে-এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ডুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ এদেশের এত উন্নয়ন সমৃদ্ধির একটাই কারণ, তা হলো সরকারের ধারাবাহিকতা। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে যে, বিএনপি ভারতবিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে। বিএনপি এখন ভারত প্রশ্নে মধ্যপন্থা নিতে চায়। দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদের মতো সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে, কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন করছে না সরকার। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বললো আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? ‘নিউজে বলছে’; সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, কোন নিউজে বলছে আপনাকে? আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নর কে জিজ্ঞেস করুন যে কি কারণে এইটা এই পর্যায়ে এলো? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিকদের তো বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে দেয় না, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকতে পারছে অবাধে? কোন দেশে? ভারতের ফেডারেল ব্যাংকে কি অবাধে ঢুকতে পারছে কেউ? কেন ঢুকবে? সব ওয়েবসাইটে আছে। আপনার জানবার বিষয়, আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

তিনি আরও বলেন, বলেন, বিশ্বের অনেক নামিদামি দেশ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রবক্তা কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলন দমন করতে গিয়ে কিভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে আটক করা হয়েছে। একজন প্রফেসরও এই নির্মমতার শিকার হয়েছেন। এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের উপর কেমিক্যাল স্প্রে করা হয়েছে। এ কারণে অনেক ছাত্রছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তাদের হাসপাতালে নিতে হয়েছে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ তো বিএনপির সঙ্গে এমন আচরণ করেনি। বিএনপি যখন যেখানে সভা সমাবেশ করতে চেয়েছে করেছে। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। তাহলে গণতন্ত্রের ঘাটতিটা কোথায়? আমি যদি বলি আমরা অনেক দেশের তুলনায় গণতন্ত্রে সারপ্লাস আছি।

এ সময় র‍্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তিনি ডিনারের পর সাংবাদিকদের সামনে এ নিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না তার সঙ্গে আলাপ করলে বুঝতে পারবো। তিনি হয়তো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন এটা তুলে নিতে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে মা ছেলেসহ তিনজন এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই কৃষকসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ও দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

এছাড়া, একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরও দুইজন।  

নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে নিহত কামাল শরিফা ও ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন খেতে ধান কাটছিল। সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় নিহত শরিফা ইয়াকুব ও কামালসহ পাঁচ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইয়াকুব, শরিফা ও কামাল মারা যায়। আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানায়, বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে টাঙ্গাইলে নিহত হন, আফজাল হোসেন এবং মো. আমির হোসেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর খেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


নরসিংদী   টাঙ্গাইল   বজ্রপাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হয়েছিল’

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগের নাম নেয়া নিষিদ্ধ হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছিল। এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দলীয় ঐক্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ ছিল।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যুদ্ধ কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ভোগবিলাস পায়ে ঠেলে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই করেছেন। সাধারণ জীবনই উনার বড় বৈশিষ্ট্য। নেতাকর্মীরা সেখান থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। ৬ দফা সহ বঙ্গবন্ধুর সময়কালের অনেক আন্দোলন দেখেছি।

নাসিম বলেন, ‘বর্তমানে নেতৃত্বের গুনে সৎ হতে হবে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতির ধরন পাল্টাতে হবে। কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবীরা রাজনীতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে।’

নাসিম চৌধুরী আরও বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে প্রতিটা গ্রামে ঘুরবো। উঠান বৈঠক করবো। চা-বিস্কুট খাওয়াবো। গুণ্ডাপাণ্ডা, হোন্ডা লাগবে এটাতে বিশ্বাস করিনা। দরজা বন্ধ করে জনগণকে ভোট বঞ্চিত করে এমপি হবার ইচ্ছা নাই। জনগণের মন বুঝে আগামীতে নির্বাচন করবো। কারো উল্টাপাল্টা কাজের দায়িত্ব নিবোনা। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।”

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ সভাপতি বলেন, “নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো। কারো ভবিষ্যৎ কেউ গড়ে দেবেনা। মা-বাবার সেবা করো। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার চেষ্টা করবেনা। জনপ্রিয় নেতা হতে হবে। প্রভাবশালী রাজনীতিক বলতে অভিধানে নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতে কী হয়েছে সেটা জানিনা, সামনের দিকে চলতে চাই।”

সভায় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এম. মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বুলবুল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, অ্যাডভোকেট এএসএম শহিদ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাফর উল্যাহ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহাম্মদ ভুঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মুন্সি মোর্শেদ আলম প্রমূখ।


ফেনী   সংসদ সদস্য   আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। নিহত এবং আহত সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা মাঠে ধান কাটছিল।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সকলেই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে ছিলেন। সময় বজ্রপাতে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত আবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।


নরসিংদী   বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে ২৮৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি')। গত শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্ত্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জ জেলার দেড়গ্রাম ইউপি-জাগির এলাকার মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ ছানোয়ার হোসেন সানি (৩৭) ও একই জেলার দক্ষিন বিল ডাউলি গ্রামের মোঃ মন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় মিয়া (১৯) ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ও চেকপোস্ট বসিয়ে একটি হাইচ এ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশী চালিয়ে ২৮৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হাইচ এ্যাম্বুলেন্সটিকে জব্দ করা হয়।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, মোঃ ছানোয়ার হোসেন সানি এর বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।'


ফেনসিডিলসহ আটক   মাদক নিমূল অভিযান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন