দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতদের আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কীভাবে বিদেশে কর্মসংস্থান বাড়ানো যায় সে দিকে আপনারা দৃষ্টি দিন। আমরা গেইনফুল এমপ্লয়মেন্ট চাই। বাংলাদেশি কর্মীদের কাজে লাগাতে নতুন ক্ষেত্র সন্ধান করতে হবে। আমরা আফ্রিকায় জমি লিজ নিয়ে কাজ করতে চাই। আফ্রিকা মহাদেশে যারা আছেন, তাদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়ে দূতদের সহযোগিতা চেয়ে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আপনারা কাজ করুন। বিশ্বের বড় বড় দেশ তাদের নিজ দেশের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার অনুরোধ করে। তাহলে আমরা কেন পারব না। আমরা চাই বাংলাদেশ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিণত হোক।
মূলত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতদের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি দূতদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়াল অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) মাশফি বিনতে শামস ও সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
মিশনগুলোতে সেবা প্রদান প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের কোনো মিশনের বদনাম শুনতে চাই না। প্রবাসীদের আপনারা হাসিমুখে সেবা দিন। কেউ যেন আমাদের বদনাম না করেন। আমরা কোয়ালিটি সার্ভিস সব লোককে দিতে চাই। প্রবাসী বাঙালি যারা আছেন, তাদের দিতে চাই; সেই সঙ্গে বিদেশি যারা আসবে তাদেরও সেবা দিতে চাই। আমি চাই, কোনো লোক মিশনে গিয়ে বদনাম করবে না, ওখানে গিয়ে কোনো সার্ভিস পাইনি বা বিলম্বিত হয়েছে।
তিনি বলেন, একটু উদ্যোগ নিলেই এটা সম্ভব। আমি আপনাদের সঙ্গে একমত অনেক জায়গায়, আমাদের জনবল অনেক কম। আমরা চেষ্টা করব জনবল কীভাবে বাড়ানো যায়। কিন্তু আপনাদেরও অফিস পরিষ্কার রাখতে হবে। অনেক সময় আপনারা জানেন না, গেটে দারোয়ান বা দায়িত্বরতরা বাজে ব্যবহার করে।
এ সময় মোমেন প্রবাসের জেলে কোনো বাংলাদেশি থাকলে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্যও দূতদের আহ্বান জানান।