ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ: ই-ভোটিং পদ্ধতির প্রস্তাব

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপ: ই-ভোটিং পদ্ধতির প্রস্তাব

নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে আয়োজিত চলমান সংলাপের ১৬তম দিনে জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) অংশগ্রহণ করে। 
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) পৃথক পৃথকভাবে এই তিনটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতে মিলিত হন। 

সংলাপে প্রতিটি দল রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব পেশ করেন। দলগুলো সময়োপযোগী নির্বাচনী আইন প্রণয়ন, সেটা সম্ভব না হলে একটি অধ্যাদেশ জারি কিংবা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা, নির্বাচনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ই-ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগসহ রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।

বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজ নিজ দলের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রথমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাকের পার্টি। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল। দলে থাকা নেতারা নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ  চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন। জাকের পার্টি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্লক চেইন পদ্ধতি ও ই-ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগের প্রস্তাব করেন। 

নেতারা বলেন, এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ঘরে বসেই ভোট দিতে পারবেন এবং এতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর স্বঘোষিত ও আত্মস্বীকৃত ভোটারদের ডাটাবেজ তৈরি ও প্রকাশের প্রস্তাব করেন। দলটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

এরপর বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। তারা নির্বাচনী আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা এবং নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলেন।

সবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি- বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। প্রতিনিধিদল চার দফা প্রস্তাব দেয়। তারা নির্বাচনী আইন প্রণয়ন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন ও সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহযোগী শক্তি হিসেবে সম্পৃক্তকরণের প্রস্তাব দেন।

রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও সুপারিশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনীতিতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেই উদ্যোগী  হতে হবে। এছাড়া ত্যাগী ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে সে জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য ইসি গঠনের বিষয়ে সংলাপের জন্য ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ৩২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের প্রথম দিন ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের (সংসদ) প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন তিনি।

এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সংলাপে অংশ নেয়নি। এ নিয়ে মোট সাতটি রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকল।

১৭ জানুয়ারি (সোমবার) বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংলাপের কথা রয়েছে।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতি   সংলাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরে হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথ আটকে বাজারে ঘুরে ঘুরে দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন। হাতির পিঠে বসা যুবক হাতি নিয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির সামনে। দোকানি যতক্ষণ র্পযন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। 

এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়, রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে অভিনব কায়দায় টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইছেন।

সোমবার (২০ মে ) দুপুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের নয়ানী বাজারে হাতি দিয়ে রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে
হুংকার দেয়। তখন দোকানদার গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।

হাতির পিঠে ওঠা ওই যুবকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে, সে নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে শেরপুর পৌর পার্কের বানিজ্য মেলায় আসা দা স্টার সার্কাসে আনা হাতি দিয়ে চাঁদা ওঠানো হচ্ছে।

নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নন্দন কুমার বলেন, হঠাৎ করেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। টাকা দেয়া বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। টাকা না দিলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বেচা-কেনায় ঝামেলা হয়। এই এলাকাটির রাস্তা এমনিতেই সরু। সব সময় জানজট লেগেই থাকে। তার উপর আবার এই ঐরাবতের ঝামেলা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রহিম মাওলা নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাতিটি শুঁড় এগিয়ে দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইলো। টাকা দেইনি তাই সামনে থেকে আর সরে না। বিকট শব্দে শুঁড় নাড়াচাড়া করার পর ভয়েই টাকা দিতে বাধ্য হলাম।

হাতির পিঠে বসা যুবককে প্রশ্ন করলে বলেন, এখন সার্কাস আগের মতো নাই। আমাদের উপার্জন কমে গেছে। হাতি লালন পালন করতে অনেক টাকা খরচ লাগে। হাতি রেখে অন্য পেশায় যেতেও পারি না। তাই মাঝেমধ্যেই খাবার খরচ যোগাতে বের হতে হয়।

এছাড়াও তার দাবি এই প্রাণী দেখে অনেকে আগ্রহী হয়েই দশ-বিশ টাকা দেয়। এছাড়াও এই হাতী শিশুদের আনন্দ দেয় ক্ষতি করেনা। অনেক সময় আমরা শিশুদের হাতীর পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেই।

ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এর আগে এখন ঘটনার কথা শুনিনি। তবে এরপর আবারও যদি আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চাঁদাবাজি   হাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাজারে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাজার তদারকিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

সোমবার (২০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এক ডিমের দামই ১৪ টাকা

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোরালোভাবে হয় এবং ভালোভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে পণ্য সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে। 

'কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে, সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য কঠোরভাবে যেন বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।' 

ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তার একটা প্রভাব বাজারে এরইমধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ে নজর দেওয়ার বিষয়টি কতটা যুক্তিসংগত- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এই প্রশ্নটা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে করুন। আমি আপনাদের কমিউনিকেট করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাটা। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে একটু কাজ করতে দেন। তারপর ওনাকে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করুন। তাহলে হয়ত কিছু জানতে পারবেন।


বাজার   তদারকি   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে চলতি বছরই

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রমত্তা যমুনার বুকে এক রেখায় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির ৪৯টি স্প্যানের সব বসে যাওয়ার পর গত মাসেই সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটা দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় চলছে সংযোগের কাজ। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বাকি কর্মযজ্ঞ।

 

এরই মধ্যে সেতুতে দেড় কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর আগামী আগস্টে সেতুটিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে। এর পরই প্রমত্তা যমুনার বুকে ছুটবে দ্রুতগতির ট্রেন।

ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার পর বাড়বে রেলের সক্ষমতা। সেতুটির মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল রেল ও পশ্চিমাঞ্চল রেল নতুন আঙ্গিকে যুক্ত হবে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাকি কাজ শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা। সেহেতু রেললাইন বসানো, বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশন নির্মাণসহ সব ধরনের কাজই সমানতালে এগিয়ে চলেছে। সেতুর দুই পারের ১৩ কিলোমিটার সংযোগ রেললাইনের অর্ধেক এরই মধ্যে বসে গেছে।

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানো শুরু হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের বর্তমান অবস্থা পাল্টে যাবে। মূলত যমুনা নদী রেলওয়ের দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে রেখেছিল।বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পূর্বাংশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম পর্যন্ত এলাকা পূর্বাঞ্চল। আর সেতুর পশ্চিমাংশ থেকে রাজশাহী, খুলনাসহ পশ্চিমাঞ্চল।

 

এই দুই অঞ্চলের রেললাইনের ধরন আলাদা। পূর্বাঞ্চলের রেললাইনের প্রায় পুরোটায় মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো প্রস্থে ছোট হওয়ায় রেললাইনগুলোও সরু। আর পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বেশির ভাগ চলাচল করে ব্রড গেজ ট্রেন। ফলে রেললাইনও বড়।

 

বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে রয়েছে এক লাইনের রেল ট্র্যাক। এই লাইন দিয়ে খুব ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। পূর্ব স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়লে পশ্চিম স্টেশনের ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়াল গেজ রেল সেতু। সেতুটি দিয়ে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে অন্য পারে আর ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

 

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ চালু হয়। সেতুটির ওপর দিয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগও নেই। সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। ফলে বেশি ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

 

রেলের তথ্য মতে, বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালু হলে দিনে চলবে ৮৮টি ট্রেন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে নতুন এই রেল সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে সময়ও বাঁচার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের সময় প্রায় ৩৫ মিনিট কমে আসবে।

 

একই সঙ্গে নতুন সেতুটি সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে।'

 

২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও মূল কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। দুই ভাগে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

 

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬২.৫ শতাংশ।

 

সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৫০টিই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই ৫০টি খুঁটির মধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি আর পূর্বাঞ্চলে ২৭টি খুঁটির অবস্থান।

 

যমুনা নদীর ওপর রেলপথ পুরনো হলেও নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩০ কিলোমিটার রেললাইন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হচ্ছে ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনের মূল সেতুটি। এর সঙ্গে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে দশমিক ০৫ কিলোমিটার সংযোগ সেতু, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে সংযোগ বাঁধ এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।'

 

জানতে চাইলে পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই রেল সেতু দেশের রেল ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। কারণ, যমুনা নদী রেল ব্যবস্থাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখন ডুয়াল গেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে।’

 

প্রসঙ্গত, নতুন রেল সেতুটি নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। প্রথম সংশোধনীর পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২.৪০ শতাংশ।'


বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু   দৃশ্যমান   কাজের অগ্রগতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদীতে হাসাপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলার রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীর মাধবদীতে সিটি (প্রাঃ) হাসপাতালে সিজারের পর রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিবার ও এলাকাবাসী হাসপাতালের দায়িত্ব অবহেলায় মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন ।

 

জানা যায় রবিবার (১৯ মে) রাত ১১টায় বথুয়াদী গ্রামের ইয়ামিনের স্ত্রী ছনিয়া আক্তার (২০) বাচ্চা প্রসবের ব্যাথ্যা হলে মাধবদী সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে বাচ্চা জন্মদানের পর রোগীর মৃত্যু হয়।

 

বিভিন্ন সূত্র জানায়, আজ সোমবার (২০ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য হাসপাতালেই লাশ পরেছিল। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশাল অংকের অর্থের বিনিময়ে চুপ থাকতে বলে। 

 

এবিষয়ে মৃত ছনিয়ার স্বামী বলেন মোঃ ইয়ামিন বলেন, ‘সিজার করার পর রোগী অসুস্থ হয়ে যায়। সারারাতই রোগী কষ্ট পায়। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার আনার কথা বললেও ডাক্তার আসেনি। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললেও তারা রোগী নিয়ে যেতে দেয়নি।’

 

রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে মাধবদী সিটি হাসপাতালের ম্যানেজার জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘রাত ১১টায় রোগী ভর্তি হয়। রাত ১২টার সময় ডাঃ শের ই মোস্তফা সিজার করলে একজন ছেলে বাচ্চার জন্ম হয়। পরে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালের নিয়মিত ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার নাথ চিকিৎসা করেন। এসময় অন্যকোন ডাক্তার ছিলোনা। রোগী ভোর ৫টায় মৃত্যুবরণ করেন।’

 

হাসপাতালের নিয়মিত ডিউটি ডাক্তার সুমন কুমার নাথ বলেন, রাতে যখন নিয়ে আসে তখন আমরা বলেছিলাম যে রোগীর অবস্থা ভালো নয়। রোগী ও বাচ্চা দুইজনই মারা যেতে পারে। আমরা সিজার করাতে পারব না। কিন্তু রোগীর গার্জিয়ানের কথায় আমরা সিজার করিয়েছি।’

 

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মাধবদী সিটি হাসপাতালের এমডি মোঃ তানিনের সাথে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে কল দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

উল্লেখ্য যে মাধবদীর হাসপাতাল গুলোতে কয়েকদিন পরপর রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গত বছরের মার্চ মাসে মাধবদী প্রাইম জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলায় বিনা চিকিৎসায় ফাবিহা মাদেহা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। গত রমজান মাসে মাধবদী হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সিজার করার আগ মুহূর্তে রোগীকে এনেস্থিসিয়া দেয়ার কিছুক্ষণ পর মৃত্যুবরণ করে। পেটে থাকা বাচ্চাটিকেও পরে বের করা হয়নি। ফলে এক সাথে দুইটি জীবন চলে গেলো।

তাই এলাকাবাসী হাসপাতালগুলোতে সিভিল সার্জনের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন। প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে যেসকল হাসপাতাল পরিচালনার যোগ্য নয় তাদের অনতিবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করেন। পাশাপাশি অত্র অঞ্চলের জন্য একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মানের দাবী জানান।


রোগী মৃত্যু   হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ   সিজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার, পুরস্কার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক দেবে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। 

সোমবার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া তিনি ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক পাবেন।

এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক   সরকার   মন্ত্রিসভা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন