পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর হঠাৎ করে এই যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফাইড না। ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬শ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মিসিং হয়। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয়, পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান জানিয়ে বলি- আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সত্যপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপর হঠাৎ করে এই যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু খুব জাস্টিফাইড না। ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬শ জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ মিসিং হয়। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয়, পরবর্তীতে দেখা যায় আবার সে বের হয়ে আসছে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহ্বান জানিয়ে বলি- আসেন, দেখেন, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করেন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুর গ্রামের ছয়হারা ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা, সৈয়দ মনোহর আলী অষ্টগ্রাম মহাবিদ্যালয় ও শিরিলব চৌধুরী চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের র্যাব কাজে-কর্মে অত্যন্ত দক্ষ। তারা খুব ইফেক্টিভ, ভেরি ইফিশিয়েন্ট। তারা করাপ্ট নয়। এ জন্যই তারা জনগণের আস্তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের সন্ত্রাস তাদের কারণেই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিসানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের কারণে। স্বয়ং ইউএস স্ট্যাট অব ডিপার্টমেন্ট সেটা স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, কিছু লোক আছে যারা আইন-শৃঙ্খলা পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করে কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করে, তারাই র্যাবকে পছন্দ করে না। কারণ র্যাব তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে। সব দেশেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিল এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেসে সেটির তদন্ত হয়। আপনারা জানেন দুটি ক্ষেত্রে র্যাব অন্যায় করেছিল, জুডিশিয়াল প্রসেসে সেগুলোর বিচার হয়েছে। ওদের শাস্তিও হয়।
তিনি আরও বলেন, এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকা ও বৃটিশরা। দে হ্যাব বিন ট্রেইনড বাই ইউএসএ। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে তাদের রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে, হাউ টু ইন্টারগেশন। এগুলো সব কিছু শিখিয়েছে আমেরিকা। তাদের যদি রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্টে কোনো দুর্বলতা থাকে, কোনো উইকনেস থাকে, এই রুলস অ্যান্ড এনগেজমেন্টে যদি কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়, অবশ্যই সেখানে নতুন করে ট্রেনিং দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, সুনামগঞ্জ-সিলেটের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইান, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।