ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঠগড়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং বিদেশি মিশন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail কাঠগড়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং বিদেশি মিশন

১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা র‍্যাবকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার দাবি করে জাতিসংঘে এক চিঠি দিয়েছে। এই চিঠিটি দেওয়া হয়েছে ৮ নভেম্বর। কিন্তু গতকাল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এই তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশের আগে বাংলাদেশ পুরোপুরি অন্ধকার ছিলো। বাংলাদেশের কোন সংস্থা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতো না যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ ১২টি সংগঠন জাতিসংঘের শান্তি মিশনে র‍্যাবকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি করলো? নিউইয়র্কে বাংলাদেশের জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন কি করলো? কি করলো বিদেশি মিশনগুলো? বাংলাদেশের কূটনীতির এটি একটি বড় ধরনের বিপর্যয় বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জাতীয় মানবাধিকার বাংলাদেশে একটি স্বাধীন, স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান সরকার গঠন করেছিল এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কাজ হলো মানবাধিকার সুরক্ষা করা, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা, দেশি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় রাখা, যোগাযোগ রাখা এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করা। কিন্তু ৮ নভেম্বর যখন মানবাধিকার কমিশনগুলো জাতিসংঘের কাছে এরকম আবেদন করলো তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি অন্ধকারে ছিলো? তারা কি ঘুমিয়েছিলো? তারা এ ব্যাপারে কি জানতো? দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক উঠছে, প্রশ্ন উঠছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষার চেয়ে ব্যক্তি ভাবমূর্তি বৃদ্ধি এবং সরকারের একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই কাজ করছে। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্ব, ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যদি সক্রিয় এবং ইতিবাচক থাকতো, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সাথে সাথে তাদের এটি জানা উচিত ছিলো। এ ধরনের চিঠি জাতিসংঘে দেওয়ার আগে তারা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতো, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন র‍্যাব আসলে কোন বাড়াবাড়ি করেছে কিনা বা কোথায় মানবাধিকারের ব্যত্যয় ঘটেছে এটি নিয়ে নির্মোহ, নিরপেক্ষ তদন্ত করতো এবং সেই তদন্তের আলোকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে জানাতো। কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এমনই একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যে অন্যান্য দেশীয় এনজিওগুলো সেগুলোর সম্পর্কেও খোঁজ-খবর রাখে না। অথচ এটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অন্যতম ম্যান্ডেট।

দায় এড়াতে পারে না জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনও। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিষয়ে দেখভাল করবে। বর্তমানে জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে রাবাব ফাতেমা দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি কতটুকু সঠিকভাবে রাষ্ট্রের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করছেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে? কারণ ৮ নভেম্বর যদি জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির কাছে এ ধরনের চিঠি দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন কি করলো? তারা কি এই চিঠির ব্যাপারে অবহিত ছিলো? তারা কি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এরকম চিঠি সম্বন্ধে কিছু জানিয়েছে? তারা কি এই চিঠির প্রতিবাদ করেছে? এই প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়াটাও জরুরি।

বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো কি করে এ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা গেলে তাদের প্রটোকল দেওয়া ছাড়া এইসব বিদেশি মিশনগুলোর কাজ কি সেটি একটি ভাবার বিষয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাজ্যে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর দান করলো, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস সে সম্পর্কে কোন তথ্যই রাখিনি। তাহলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতো সংগঠনগুলোর সাথে কি বিদেশি মিশনগুলোর কোন যোগাযোগ, সংশ্লিষ্টতা নেই? এইসব প্রশ্নের উত্তর জরুরী। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এখন সেই ষড়যন্ত্র প্রকাশ্য এবং ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। কাজেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনসহ বিদেশী দূতাবাসগুলো যদি এখন সক্রিয় না হয় তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বড় ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি পড়বে। আর এ কারণেই এই ঘটনায় দায়িত্ব এড়াতে পারেনা এই প্রতিষ্ঠানগুলো।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন   রাবাব ফাতেমা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে ডিবি কার্যালয়ে যান মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ডিবির কার্যালয় ত্যাগ করেন।

সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই হেফাজতের এই নেতা গাড়িতে উঠে যান।


মোবাইল   ডিবি   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙ্গা থেকে যশোর রেলপথ চালু হবে অক্টোবরে : রেলমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে আগামী অক্টোবরে। ভাঙ্গা জংশনের নির্মাণকাজ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত যে চন্দনা কমিউটার ট্রেন চলছে, তা ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চলছে।

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুরে চন্দনা ট্রেনের রিশিডিউল দিয়ে দেব। আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আশ্বস্ত করছি। ওদের আশ্বস্ত করে দেন। আন্দোলন করতে হবে না।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা এলাকায় অবস্থিত ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, রেলের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবির হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ খুদা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চায়না রেলওয়ে কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।


ভাঙ্গা   যশোর   রেলপথ   অক্টোবর   রেলমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে: নানক

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সোনালি আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। যেকোনো মূল্যেই আমরা পাটের গৌরবময় সোনালি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘পাটবীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে ছয় হাজার টন পাটবীজ প্রয়োজন। দেশে এক হাজার পাঁচশত টন উৎপাদন হয়। বাকি সাড়ে চার হাজার বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ব্যাপকভাবে পাটবীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।’

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী ফ্রাষ্কফুর্টে পাঠালেন। আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০ টি স্টল, ভারতের ২১টি স্টল। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কাঁচাপাট রপ্তানি করেও বড় অংকের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। পাটচাষি, পাট ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।’ 

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উৎস কর কমিয়ে আনতে সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রী অর্থ সচিব এবং প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ৬ মার্চকে পাট দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। মাননীয় নেত্রী এই পাটকে কৃষি পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পাট চাষিরা যখন ব্যাংকে যান, পাট ব্যবসায়ীরা যখন ব্যাংকে যান তখন গাত্রদাহ হয়। সেইভাবে তারা একসেপ্ট করে না পাট ব্যবসায়ীদের। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটার জন্য যা যা করা দরকার আমি আছি। আমি আপনাদের পক্ষ হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি পরিবেশবান্ধব এই সোনালি ব্যাগকে অতি দ্রুত উৎপাদনে নিয়ে আসার। পলিথিনের ব্যাগ বন্ধ করতে বলবো কিন্তু বিকল্প ভোক্তার হাতে দেব না বা বিক্রেতার হাতে দেব না, এটি হতে পারে না! বাজারে গিয়ে পাঁচ রকমের সবজি যদি কিনেন তাহলে পাঁচটা ব্যাগে পাঁচ রকম সবজি বিক্রেতা দেয় বিনা পয়সায়। তারপরও যদি বলেন সবগুলো আরেকটা ব্যাগে দিয়ে দেন সেটাও দিয়ে দেয় বিনা পয়সায়। কিন্তু আমাদের যে সোনালি ব্যাগ হচ্ছে সেটির উৎপাদনে যে দাম হচ্ছে সেটিকে আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেটিকে আমরা মানুষের ক্ষয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নানক বলেন, ‘আমি হেভিওয়েট মন্ত্রী না। আমরা রাস্তা থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। আমরা খুব সহজ মন্ত্রী। কাজেই আমাদের কাছে আসবেন। আমাদের দরজা খোলা। আমাদের কাছে আসবেন যেকোনো সমস্যা নিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে আপনারা ডাকবেন। প্রয়োজনবোধে এই খুলনায় চলে আসব।’

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন।

 


আওয়ামী লীগ   পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী   অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

গত ৩ মে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পান। এর আগের দিন রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলার সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাইবাছাই চলছে।

গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। 


ডিবি   কার্যালয়   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা: যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ধরনের অবস্থানের কথা জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সময় র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা শোনা গিয়েছিল। সে সময় ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছিলেন যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সালমান এফ রহমান এটাও বলেছেন যে, এটা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের হাতে রয়েছে এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর এবং হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে তাদেরকে তাগদা দিচ্ছে।

আর এরকম একটি বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমন আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার এই আশাবাদে জল ঢেলেছেন হোয়াইট হাউসের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, র‌্যাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে এমন দাবি সঠিক নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য।

উল্লেখ্য, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। আর তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তার কৌশল পরিবর্তন করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতীতের তিক্ততা ভুলে তারা সামনের দিকে এগোতে চায়। এরকম একটি বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিল যে, র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সরকার ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র এই সফরের পর সরকারের অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। তবে এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যের ফলে ভিন্ন সুর পাওয়া গেল।

তবে কূটনৈতিক মহল বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নানামুখী হয় এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর। নির্বাচনের আগেও যেমন ডোনাল্ড লু, আফরিন আক্তারের অবস্থানের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের অবস্থানের মিল ছিল না। এমনকি শেষ দিকে পিটার ডি হাসের অবস্থানের সঙ্গেও হোয়াইট হাউসের অবস্থান এক রকম ছিলনা। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই নানা প্রসঙ্গে বিভিন্নরকম মতামত থাকে। তাই ডোনাল্ড লু’র বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান যা বলেছেন কিংবা বেদান্ত প্যাটেল যা বলেছেন তার মধ্যে কোনটি সত্যি তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

তবে র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে এ বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করার জন্য একটি লবিস্ট ফার্মকেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের কাজও বহুদূর এগিয়েছে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা এটি বলে দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর সেটি প্রত্যাহার করাটা অনেক জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার।


র‌্যাব   বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ডোনাল্ড লু   হোয়াইট হাউস   স্টেট ডিপার্টমেন্ট   বেদান্ত প্যাটেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন