ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালের ভিসি কি সরে যাবেন?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail শাহজালালের ভিসি কি সরে যাবেন?

আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছে। সাত দিন পর আজ শিক্ষার্থীরা অনশন ভঙ্গ করেছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক গিয়ে এই অনশন ভঙ্গ করান। তবে শিক্ষার্থীরা বলেছেন যে, তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মোঃ জাফর ইকবাল বলেছেন যে, তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবং তোমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তোমাদের অনশন প্রত্যাহার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোঃ জাফর ইকবালের আবেগঘন দৃশ্য পুরো জাতিকে আবেগ আপ্লুত করেছে। প্রশ্ন হল যে, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের কি এর মধ্য দিয়ে সমাধান ঘটল। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন মোটেও নয়। বরং এর মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের একটি সম্মানজনক বিদায়ের পথ উন্মুক্ত হল। যদি অনশনের মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগে বাধ্য হতেন তাহলে এটি তার জন্য যেমন অসম্মানজনক হত তেমনি সরকারের জন্য এটি হতো একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি। সরকার এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পেতে চেয়েছে। আর এই কারণে শেষ পর্যন্ত এই সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উদ্যোগের উপর নির্ভরশীল হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সংকট নিরসনে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন এবং পরবর্তীতে তারা মোঃ জাফর ইকবালকে অনুরোধ করেছেন তার বাসায় গিয়ে যে তিনি যেন শিক্ষার্থীদের কাছে যান এবং শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা অসীম কুমার উকিল এবং সুভাষ সিংহ রায় মোঃ জাফর ইকবাল স্যারের বাড়িতে যান এবং জাফর ইকবাল সিলেট যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের সাথে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যে, জাফর ইকবাল কেন সিলেটে যেতে রাজি হলেন এবং তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের কি কথা হয়েছিল। জাফর ইকবাল নিজেই বলেছেন যে, তার বাসায় এসেছিলেন সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এবং তারা অনুরোধ করেছেন এবং তারা আশ্বস্ত করেছেন যে তারা শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সহানুভূতি দেখাবেন। মোঃ জাফর ইকবাল এটিও বলেছেন যে, আমি আশা করি যে, তারা আমাকে যে কথা দিয়েছেন সেই কথা রাখবেন। কি কথা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে যে টিম বাসায় জাফর ইকবালের বাসায় গিয়েছিলেন তারা। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু বলেননি। তবে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এই সংকট সমাধানের কেন্দ্রবিন্দু হলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিভাবে বিদায় নিবেন তার একটি সম্মানজনক সমাধানের পথ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করবেন খুব শিগ্রই সরকার। আর সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে এই সংকটের সমাধান সম্ভব হবে। 

উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের কোনো পথ নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একজন উপাচার্যের যে সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল সেই সম্পর্কে এখন অনেকটাই চিড় ধরেছে। আর একারণেই উপাচার্যের প্রস্থানে ভালো উপায়। এখন উপাচার্যের প্রস্থান কিভাবে হবে সেটি নিশ্চয়ই সরকার আলাপ-আলোচনা করেই নির্ধারণ করেছে। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকছেন না এটি এখন মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে। এখন দেখার বিষয় যে কিভাবে তার প্রস্থান পথ তৈরি হয়।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিন দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠকের পর পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি ছাড়াও একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি থাই প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।

বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের। দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

এদিন বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজিকরণ এবং ব্যবসা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে, বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

এদিন বৈঠকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিমসটেক মোট ১.৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রেমিকার আত্মহত্যার শোকে পৃথিবী থেকে বিদায় প্রেমিক

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে প্রেমিক সিফাত (১৯) নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকার মৃত্যুর ১৯ দিন পর ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক সিফাত পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন একসঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধুও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না। বেঁচে থেকে আর কি হবে, যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।’

সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো একসঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো একসঙ্গে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করল। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে, ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্যদিকে আমার তানহা শেষ, আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবারও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেইলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম, বাস্তবে তা হলো না। তাই আমার মৃত্যুর পর তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙ্গুররে মারছি শুধু একটা কারণে, হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিল। ভালো থাকুক আঙ্গুর আর আঙ্গুরের পরিবার।

এদিকে সিফাতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)।

এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো। এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


আত্মহত্যা   প্রেমিক-প্রেমিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদক পাচার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: রেলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—

১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।

২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।

৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে হবে।

৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


তাপপ্রবাহ   রেল মন্ত্রণালয়   মাঠ কর্মরতা   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ   বাণিজ্য চুক্তি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন