ইনসাইড বাংলাদেশ

একজন রাষ্ট্রদূতের সাহসী উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail একজন রাষ্ট্রদূতের সাহসী উদ্যোগ

কিছুদিন আগে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। ব্রাসেলস প্রেসক্লাবের এই সাংবাদিক সম্মেলনে অনেককেই অনলাইনে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বলা হলেও বাংলাদেশ থেকে যারা অনলাইনে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের মধ্যে যারা চিহ্নিত বিএনপি-জামায়াতের লোক, একমাত্র তাদেরকেই ওই সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিতে দেওয়া হয়। ব্রাসেলস যে শুধু বেলজিয়ামের রাজধানী সেটাই নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তরও বটে। ফলে তারা ব্রাসেলস প্রেসক্লাবকে সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য এই কারণেই বেছে নেয়, যাতে করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ নিয়ে যে ষড়যন্ত্র তৎপরতা চলছে এই সাংবাদিক সম্মেলন তারই একটি অংশ ছিল। 

এই সমস্ত ঘটনা যখন ঘটে তখন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা তার প্রতিবাদ করতে না পারলেও বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব সালেহ একটি সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর একটি লিখিত প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন দূতাবাসের পক্ষ থেকে। এই প্রতিবাদে বলা হয়েছে, 

* এটি বলা হয়েছিল যে যদি কেউ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করেন তবে তাকে ক্ষমা করার কোনো ক্ষমতা মাননীয় রাষ্ট্রপতির নেই। এটাও বলা হয়েছিল যে, মাননীয় রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র স্বাক্ষরকারী কর্তৃপক্ষ। এটা একেবারেই মিথ্যা। আসল বিষয়টি হল, মাননীয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা মঞ্জুরসহ ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্ত সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে।

* আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না তা সম্পূর্ণভাবে তার উপর নির্ভর করে।

* বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারের নির্বাহী শাখার প্রধান হিসেবে তার ক্ষমতায়, ২০২০ সালের মার্চ মাসে বেগম খালেদা জিয়ার জেল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং তাকে দুটি শর্তে মুক্তি দেন: (০১) তিনি দেশ ছেড়ে যাবেন না; এবং (০২) তিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এরপর থেকে বেগম খালেদা জিয়া রাজধানী ঢাকার একটি উচ্চবিত্ত আবাসিক এলাকা গুলশানে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। সাজা স্থগিতের আদেশ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনবার বাড়ানো হয়েছিল।

* এতে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সরকার বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টিকে একটি রাজনৈতিক বিষয় করে তুলেছে। দূতাবাস স্পষ্টভাবে বলতে চায় যে, এটি সম্পূর্ণ আইনি সমস্যা এবং কোন রাজনৈতিক সমস্যা নয়। বিএনপিই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এই সম্পূর্ণ আইনি ইস্যুটিকে রাজনৈতিক করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ও বাইরের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

* এটি বলা হয়েছিল যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারা শুরু হয়েছিল। বাস্তবতা হলো বেগম খালেদা জিয়াকে ২০০৭-২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একাধিক দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত করেছিল, যখন আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতায় ছিল না। ২০১৮ সালে দুটি মামলার বিচার সম্পন্ন হয় এবং বেগম খালেদা জিয়া উভয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং কয়েক বছরের জন্য দণ্ডিত হন।

* বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি একটি জোট/অংশীদার হওয়ার বিষয়ে, দূতাবাস বলতে চায় যে, ০১ আগস্ট ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবৈধ ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগও এ বিষয়ে একটি রায় দেয়। একই বছর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন স্থগিত করে। ২৮ অক্টোবর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে।

* উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে অংশীদারিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত করার একটি কুখ্যাত প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাই নয় বরং আদর্শগতভাবে অযৌক্তিকও বটে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী শুধু ঐতিহাসিকভাবে যুদ্ধের বিরোধিতাই করেনি বরং তাদের নেতাকর্মীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। দূতাবাস দৃঢ়ভাবে বলেছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কখনোই জামায়াতে ইসলামীর সাথে কোনো ধরনের অংশীদারিত্ব ছিল না।

এর আগে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো, জাতিসংঘের চিঠি দেওয়া হলো, যখন বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে, যখন দূতাবাসগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন মাহবুব সালেহ দেখালেন যে কি করতে হয়। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলে যে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তার প্রমাণ হলো এই বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতের ঘটনা। 

রাষ্ট্রদূত   বেগম জিয়া   বিএনপি   চিকিৎসা   মাহবুব সালেহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৯ মে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে না যায় বা না সমর্থন করে এমন নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রীর লড়াই চলছে।

জানা গেছে, আনোয়ারায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তবে এর মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান কাজী মোজাম্মেল হককে (আনারস) ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এম এ মান্নান চৌধুরীকে (মোটরসাইকেল) সমর্থন দিচ্ছেন। ভোট ছাপিয়ে উপজেলা নির্বাচন পরিণত হয়েছে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রীর লড়াইয়ের মঞ্চ। তবে দুই নেতার বাইরে আলাদাভাবে প্রচারণা এগিয়ে নিচ্ছেন দুবারের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ওই সভায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী তাকে সমর্থন দেন। একই দিন রাতে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনীসহ বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ মিছিল করেন ওয়াসিকার অনুসারীরা। 

তবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারী কাজী মোজাম্মেল হক উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী পরিবেশের মোড় ঘুরে যায়। মোজাম্মেলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেকে থাকায় জমে উঠেছে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী আমেজ।

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আনোয়ারায় তিন পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে। সাবেক ভূমিমন্ত্রীর প্রার্থী এম এ মান্নানকে জেতাতে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এককাট্টা হলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা মাঠে নেমেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হককে জেতাতে। ওই দুই প্রার্থীর বাইরে জেলা-উপজেলার বেশ কিছু নেতাকে নিয়ে মাঠে আছেন তৌহিদুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র আছে। তার মধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৮৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫০টি। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ২২১ জন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপিপুত্রের দাপটে অন্যরা কোণঠাসা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম দিপুর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে অন্য প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছে।

প্রার্থীদের অভিযোগ, দিপু বাবার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তার সমর্থকরা পদে পদে হয়রানি করছে অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের। প্রশাসনকে নিজেদের কাজে লাগানো, অন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের হুমকি, প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড করছেন ভোটের মাঠে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বাবা মোরশেদ আলম। সম্মেলনের মাধ্যমে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কিন্তু গত সংসদ নির্বাচন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের পক্ষে ভোট করার দায়ে লায়ন জাহাঙ্গীরকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন এমপি মোরশেদ। এরপর নিজের পছন্দের বাহার উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন মোরশেদ। কোনো সম্মেলন ছাড়াই তিনি এসব কমিটি দিচ্ছেন। সব মিলেয়ে সেনবাগে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তুলেছে এমপি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিগুলোও তাদের দখলে।

জানা গেছে, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই অন্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি এবং দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন সাইফুল আলম দিপু ও তার অনুসারীরা। নির্বাচনে ১, ৬,৭ ও ৮ নং ইউনিয়নসহ অন্য ইউনিয়নেও অন্য প্রার্থীর এজেন্ট প্রবেশ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত চাপ ও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা জানান, তার বিপক্ষে গিয়ে অন্য প্রার্থীর ভোট করায় তাদের সরকারি বরাদ্দ টিআর, কাবিখা এবং দলীয় পদপদবি না দেওয়ার চাপ দিচ্ছেন দিপু। এজন্য প্রশাসন দিয়েও নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২য় ধাপে সেনবাগসহ নোয়াখালীতে মোট ৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন মোট ১৫ জন প্রার্থী৷ তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু ছাড়াও চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু, বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী হাসান মঞ্জুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সদস্য মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম জাকির হোসেন জুয়েল ও টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর আলম মানিক।

উপজেলা নির্বাচন   নোয়াখালী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন