ইনসাইড বাংলাদেশ

রেলেই যাওয়া যাবে নেপাল-ভুটান-চীন

প্রকাশ: ১২:৫৯ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail রেলেই যাওয়া যাবে নেপাল-ভুটান-চীন

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত হয়ে নেপাল, ভুটান ও চীনের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশগুলোর সাথে যোগাযোগে এক নতুন মাত্রা পাবে। এর ফলে দেশগুলোর সাথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ যেমন অনেক বেশি সহজ হবে তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যে আরো সহজ হবে। 

প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা রুটে ৫৭ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মিত হবে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে তিন হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৩১৩ কোটি ২৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ দুই হাজার ৪৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। বৈদেশিক ঋণের সম্ভাব্য উৎস হিসেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ছাড়াও যে কোনো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদনের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের পিডিপিপি (প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) নিয়ে এডিবির সঙ্গে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনা চলমান। শুধু এডিবি নয়, সহজ শর্তে প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য যে কোনো উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে দুই হাজার ৪৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বৈদেশিক অর্থায়ন নেওয়া হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলপথে স্বল্প সময়ে যাওয়া যাবে চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে। বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা আসতে যে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে তার অর্ধেক সময়ে চীনে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ভারতে যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট আর নেপাল ও ভুটানে যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। এসব কারণে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের দূরত্ব খুবই কম। বাংলাবান্ধা থেকে কয়েকশ গজের মধ্যেই ভারত সীমান্ত। এই স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার। ভুটানের দূরত্ব মাত্র ৬৮ কিলোমিটার এবং চীন সীমান্ত মাত্র ২০০ কিলোমিটার। সম্ভাবনাময় এই বন্দরটি পাঁচটি বন্ধুপ্রতিম দেশকে একই সূত্রে আবদ্ধ করতে পারে। সেজন্যই বাংলাবান্ধা হয়ে চারটি দেশের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ সরকার।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে মালামাল আমদানির পাশাপাশি ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হয়ে সোনামসজিদ সীমান্ত পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ফলে এটি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে (বিবিআইএন) রেল সংযোগের অন্যতম রুট হবে। স্থলবন্দরটিতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা গেলে যাত্রী পরিবহন ছাড়াও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে মালামাল পরিবহন হবে সহজ ও সাশ্রয়ী।

মূল প্রকল্প শুরুর আগে রেলওয়ের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল জোনে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে সরকার। সমীক্ষা প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জুন ২০২২ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের অধীনে চারটি সমীক্ষা প্রকল্প করা হচ্ছে। যার মধ্যে পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অন্তর্ভুক্ত।

সমীক্ষা প্রকল্প সমাপ্ত হওয়ার পরই মূল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। তার আগে বৈদেশিক অর্থায়ন প্রাপ্তির জন্য প্রকল্পের পিডিপিপি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠানো হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমীক্ষা প্রকল্প সম্পন্ন না করে দুই হাজার ৪৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা নির্ধারণ করে বৈদেশিক অর্থায়নের জন্য চাওয়া ঠিক হবে না। 


রেলওয়ে   চীন   নেপাল   ভুটান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদ্যুৎ সংকটের এই সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। 
  
সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান এই সংসদ নেতা। তিনি বলেন, বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।
 
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী   লোডশেডিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীরও এটি প্রথম বাজেট।

তাকে সহায়তা করবেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। এদিন উত্থাপিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের এবারের বাজেট হবে ব্যয় সংকোচনমূলক। এটি তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। প্রতি বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি সংকোচনমূলক ধরেই এবারের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে বাজেটের আকার এবার খুব বেশি বাড়ছে না।


নতুন সরকার   বাজেট ঘোষণা   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর কাছাকাছি থেকেও ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি: নানক

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী। যদিও বৈবাহিক সম্পর্ক বাদেই বাঙালি জাতির এক গর্বিত ও আলোকিত মানুষের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। এক বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ছিলেন এই পরমাণু বিজ্ঞানী। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে থেকেও তার নির্মোহ জীবনযাপন তাকে জাতির কাছে করেছে চির অমর। ব্যক্তিজীবনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে অভ্যস্থ এই বিজ্ঞানীর দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও, রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর সবচেয়ে কাছাকাছি থেকেও কোনোদিন তিনি ক্ষমতাচর্চায় আগ্রহী হননি। ক্ষমতার উত্তাপের বিপরীতে তিনি ছিলেন স্থির, অচঞ্চল, নিভৃতচারী ও নিষ্কলুষ একজন। নিজের মেধা, শ্রম ও যোগ্যতায় তিনি ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন সত্যিকার আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের প্রতিচ্ছবি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী নানক বলেন, তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। যে মানুষটি আমাকে এত পছন্দ করতেন তার শেষ যাত্রায় আমি রংপুর গিয়েছিলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হলে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শৌকত আকবর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।

মন্ত্রী নানক বলেন, ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। শুধু পড়াশোনা নয় রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়ার সময় থেকেই ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট হতে শুরু করেন রাজনীতির সাথে। ১৯৬১ সালের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদশের্র প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন । ১৯৬২ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে এবং ওই বছরেই জেনারেল আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গ্রেপ্তারও হন তিনি। 

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়টা ১৯৬৭ সাল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ। ছয় দফা আন্দোলনের কারণে গোটা দেশে তখন বিরাজ করছে ভীতিকর পরিস্থিতি। এ রকম পরিস্থিতিতে ১৭ নভেম্বর পবিত্র শবেবরাতের রাতে বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের পছন্দের পাত্র, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মেধাবী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শেখ হাসিনা। বিরূপ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বাবা শেখ মুজিব জেলে থাকায় তাদের বিয়ের আয়োজনটি ছিল খুব সাদামাটা। বিয়ের পরদিন জেলগেটে ওয়াজেদ-হাসিনা নবদম্পতিকে দোয়া করেন বঙ্গবন্ধু। নতুন জামাইকে সে সময় তিনি একটি রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেন। এই উপহার আজীবন সযত্নে রেখেছিলেন ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। 

মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে-পরের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তার উপস্থিতি ছিল। তিনি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ড. ওয়াজেদ মিয়াকে বিজ্ঞানী হিসেবেই তাকে দেখতে চেয়েছেন। রাজনীতিতে তাকে কখনোই জড়ানোর চেষ্টা করেননি। ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। ৪০ বছরের বিবাহিত জীবনে ড. এম এ ওয়াজেদের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি তার পরিবারের পাশে থেকে যে ধৈর্য, সাহস ও সেবার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন, তা অসাধারণ।

নানক বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন ওয়াজেদ। প্রথিতযশা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের রূপপুরে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হবে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন, বিশ্বমাঝে বাংলাদেশ বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছিলেন আমৃত্যু। তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ও তৎপরবর্তীকালের ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে মন্ত্রী নানক বলেন, আজকে যারা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করেন তাদের কাছে প্রশ্ন কোন সময়টা আমাদের চেয়ে ভালো ছিলো। আমি বলব তারা ভুল পথে আছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা নিয়ে চলা দলটি রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই থাকবে।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু'র ঢাকা সফরের কারণ জানালেন পররাষ্ট্রসচিব

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। নির্বাচন পূর্ববর্তী অস্বস্তিকে পেছনে ফেলে ঢাকা-ওয়াশিংটের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আলোচনা করতে তিনি ঢাকা সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

নির্বাচন পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অস্বস্তি ছিল তা কাটিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে লুর সফরে আলোচনা করবেন কিনা জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রসচিবের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর ওনার প্রথম সফর হবে এটা। তার (লু) আসার সেটাই উদ্দেশ্য নিশ্চই। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল, এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার রেগুলার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং সব দেশ আমাদের সঙ্গে এনগেজ হতে চায়।

দুই দিনের সফরে আগামী ১৪ মে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। তার সফরে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের সঙ্গে ওদের প্রচুর মেকানিজম আছে, ডায়লগ আছে। সেগুলো কীভাবে রিয়েক্টিভ করা যায়। ওদেরও আবার নির্বাচন আছে। কোন কোন মেকানিজমকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাবে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটা সবসময় আলোচনায় থাকছে। পারস্পরিক সম্পর্কের সবগুলো উপাদান থাকবে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।

ডোনাল্ড লু   পররাষ্ট্রসচিব   মাসুদ বিন মোমেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চীন-ভারতের সাথে ভারসাম্য কতদিন রক্ষা করতে পারবে বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব এখন বাংলাদেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ সফরে তিনি আজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে একজন পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই মূলত বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর। এই সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বিনয় মোহন কোয়াত্রা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। 

ভারতের লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশে অনিশ্চয়তায় ভরা এই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা এখন পর্যন্ত অনুমান করা যাচ্ছে না। এ রকম পরিস্থিতিতে ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যে ভারতের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না তার ইঙ্গিত দেওয়া হলো পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল যে, বাংলাদেশ তাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যে অত্যন্ত আগ্রহী এই বার্তাটি সুস্পষ্ট হলো। 

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যখন বাংলাদেশ সফর করছেন, সেই সময় জানা গেল যে, আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের জন্য প্রস্তুতি চলছে। চীনের পক্ষ থেকে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কূটনীতির একটি অন্যতম নীতি হলো প্রতিবেশী প্রথম। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাচ্ছেন ভারতের। ভারতের পরপরই তিনি চীন সফরে যাবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে। 

এবারের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের একটা তাত্পর্যপূর্ণ দিক ছিল যে, বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারত বিনিয়োগে আগ্রহী। এই তিস্তা প্রকল্পের ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে চীন। বিশেষ করে তিস্তা ব্যারাজের দুইপাশে জলাধার নির্মাণ করা এবং বর্ষা মৌসুমে সেই জলাধারে পানি সংরক্ষণ করা যেন গ্রীষ্ম মৌসুমে কোনো সমস্যা না হয়। সেই জন্য এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ভারত এতদিন ধরে এই ধরনের প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু এবার পররাষ্ট্র সচিব এই প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য স্পর্শকাতর ইস্যু তিস্তার পানি চুক্তির ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে এত আগ্রহী কেন? এর অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশ যেন চীনের বলয়ের মধ্যে প্রবেশ না করে এবং চীনের।নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না যায়। এমনিতেই উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশগুলো এখন চীনের বলয়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এই অঞ্চলে ভারতের একমাত্র বন্ধু। এ কারণেই ভারত এখন কোন ভাবেই চাচ্ছে না যে, বাংলাদেশ যেন চীনের সাথে অতি মাখামাখি সম্পর্ক করে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য চীনের ওপর অনেক খানি নির্ভরশীল। আর এ কারণেই বাংলাদেশ চীন এবং ভারতের সাথে সমান্তরাল ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। কিন্তু দুদেশ বাংলাদেশকে কাছে পাওয়ার জন্য যেভাবে আগ্রাসী ভূমিকায় আছে তাতে কতদিন বাংলাদেশ এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

চীন   ভারত   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন