ইনসাইড বাংলাদেশ

মিকস এর বক্তব্য কি বিকৃত করা হয়েছে?

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail মিকস এর বক্তব্য কি বিকৃত করা হয়েছে?

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস এর বক্তব্য নিয়ে এখন কূটনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলছে। গত ৩১ জানুয়ারি মিক্সকে উদ্ধৃত করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন মিনিষ্টার প্রেসের বরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের স্যাংশন আরোপ করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। আমরা এখনো বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির ওপর আরোপ করা হয়েছিল, পুরো সংস্থার ওপর নয়। আমরা সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি।

এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশের সকল জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছিল। এর পর পরই মিকস এর পক্ষ থেকে আরেকটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে গত ৪ ফেব্রুয়ারি। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, র‍্যাবের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে দৃঢ় সমর্থন দিয়েছেন দেশটির কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েবসাইটে শুক্রবার এই বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়। প্রশ্ন উঠেছে এই দুটি বক্তব্য পরস্পরবিরোধী কিনা।

প্রথমেই বলে নেয়া দরকার যে, বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রেস মিনিষ্টারের যে বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে, সেই বিবৃতির সঙ্গে মিকস এর বিবৃতিটি সাংর্ঘষিক বা স্ববিরোধিতা নেই। কিন্তু একটি প্রশ্ন রয়েই যায় তা হলো যে, নিউইয়র্কের কুইন্সে একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মিকস যে বক্তব্য রেখেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি যিনি এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের জন্য দিয়েছেন তিনিও সেখানে ছিলেন না বলে সেখানে উপস্থিতরা নিশ্চিত করেছেন। তাহলে উপস্থিত না হয়েই এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন কেনো এই বিবৃতিটি দিলেন, সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন রয়েই যায়। তবে যেকোনো ব্যক্তি উপস্থিত না হলেও ওই অনুষ্ঠানের বরাত দিয়ে, ওই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে, অডিও টেপ দিয়ে এ ধরনের বিবৃতি দিতে পারেন। 

দ্বিতীয় যেটি প্রশ্ন এসেছে তা হলো যে, মিকস এর বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের বক্তব্যের কোনো গরমিল রয়েছে কিনা? একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দুটি বক্তব্যের মধ্যে কোনো গরমিল নেই। গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস ৪ ফেব্রুয়ারি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে তিনি র‍্যাবের ওপর বাইডেন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটিকে সমর্থন করেছেন। এটির সাথে ৩১ জানুয়ারির বাংলাদেশ দূতাবাসের বিবৃতির তেমন কোনো বিতর্ক বা পার্থক্য নেই।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তাতে দাবি করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের স্যাংশন আরোপ করতে চায় না। অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি সেটি তিনি সুস্পষ্ট করেছেন এবং তিনি এটিও দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার সম্পর্ক আছে। আর অন্যদিকে যেটি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে যে বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করা হয়েছে। অর্থাৎ এ দুটির মধ্যে কোনো বিতর্ক নেই এবং দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। এটি নিয়েও কেউ কেউ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেটি একটি অশুভ চক্রান্তেরই বহিঃপ্রকাশ বলে কোনো কোনো মহল মনে করছে।

মিকস   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   র‍্যাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নির্বাচনী অফিসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৬


Thumbnail

যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।

 

তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। 

 

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমান সহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক  দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান উক্ত দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।

 

এসময় তিনি উক্ত দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।

 

এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয় টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলী সহ আরো ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।

 

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সয্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমি সহ আমার ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’

নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’ 


উপজেলা নির্বাচন   নির্বাচনী অফিস   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘পিডাইয়া লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ’

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদেরপিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছেবলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।

গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।

এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।

২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।

হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।


উপজেলা   পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন