ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর নীলনকশা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail

সোভিয়েত বলয় থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সৃষ্টি করেছিল, এই তালেবানদের অস্ত্র, অর্থ দিয়েছিল। তখনকার মার্কিন বন্ধু পাকিস্তানে তালেবানরা প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং আফগানিস্তানকে একটি রক্তাক্ত প্রান্তর বানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন সেখান থেকে সরে যায়। এরপর তালেবান রাজত্ব তৈরি হয়, এক অন্ধকার যুগের সূচনা হয় আফগানিস্তানে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখানে মার্কিন সমর্থক একটি পুতুল সরকার গঠন করে। আর সেই পুতুল সরকারের পতন হয়েছে সম্প্রতি। এখন আফগানিস্তান আবার একটি তালেবান রাষ্ট্র তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লালন-পালন করেছিল, বিকশিত করেছিল সোভিয়েত আধিপত্য থেকে আফগানিস্তানকে রক্ষা করার জন্য, সেই তালেবানরা এখন শুধু আফগানিস্তান নয় সারা বিশ্বের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস এটি। দেশে দেশে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদকে মদদ দিয়েছে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। পরবর্তীতে যখন তারা তাদের গলার কাঁটা হয়ে গেছে তখন তাদেরকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে, ফলে সেই দেশগুলোকে বিপন্ন করেছেন। আফগানিস্তান শুধু নয়, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া একই চিত্র। আর এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার নেই।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দৃশ্যমান হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভাবনীয় ভাবে হস্তক্ষেপ করছে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন ব্যস্ততা অনেক বেশি। যে দেশটি নিজের দেশের মানবাধিকার নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে সেই দেশ এখন বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির একটি দেশকে ঘিরে নতুন পরিকল্পনা আঁটছে। আর এই পরিকল্পনার দৃশ্যমান অংশ হলো বাংলাদেশের ওপর অযাচিতভাবে নানারকম চাপ সৃষ্টি করছে। এসব চাপের মূল লক্ষ্য কি তাহলে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানো? অনেকেই মনে করছেন যে, আফগানিস্তানের মত মডেল নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন রকম চাপ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সম্পর্কে যারা নূন্যতম জ্ঞান রাখেন তারা জানেন যে, হলি আর্টিজান ঘটনার পর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের যে উদ্বেগজনক বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেই শঙ্কা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান। বিশেষ করে জঙ্গি আস্তানাগুলোকে সমূলে উৎপাটন করা এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের জন্য র‍্যাব শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সেই র‍্যাবের বর্তমান এবং সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শুধু নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করেনি, র‍্যাবের কোন সদস্যকে যেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে না নেওয়া হয় সে জন্য মার্কিন মদদপুষ্ট ১২টি মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অবস্থানের ফলে সুস্পষ্ট ভাবে লাভবান হবে বাংলাদেশী জঙ্গিবাদী সংগঠন গুলো।

গত কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিশ্বাসী এবং পৃষ্ঠপোষকতাকারী সংগঠনগুলোকে অত্যন্ত সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা একের পর এক অপপ্রচার, মিথ্যাচার করছে এবং শুধু শুধু সরকার নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও নানারকম অপপ্রচারে লিপ্ত। আর এ সমস্ত অপপ্রচারকে আমলে নিয়ে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশের ব্যাপারে কি আফগান নীতি অনুসরণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? বিশেষ করে বাংলাদেশের যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীন অন্যতম অংশীদার ঠিক সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান আসলে কতটা মানবাধিকারের পক্ষে, না কতটা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, বাংলাদেশ কখনোই আফগানিস্তান হবে না। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশ আগের মত নির্ভরশীল নয়। তাছাড়া বাংলাদেশের জনগণ উগ্র-মৌলবাদকে কখনোই প্রশ্রয় দিবে না। তবে মার্কিন এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গুলোতে যে বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি কিছুটা হলেও লাভবান হচ্ছে সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

যুক্তরাষ্ট্র   আফগানিস্তান   তালেবান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: পূর্ণমন্ত্রী আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অনির্ধারিত দুটি বিষয় আলোচনায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোন দ্রব্যের সরবরাহের ঘাটতি নেই, তারপরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কেন?

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে বর্তমান সরকার প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারেও দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণই সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। কিন্তু গত চারমাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয়নি, বরং বিভিন্ন দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী ভাবে বাড়ছে এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাটাই আগামী বাজেটে সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ রকম বাস্তবতায় সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল এবং তত্পর করতে চাইছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোহাং সেলিম একজন দক্ষ সচিব হিসেবে ইতোমধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সিনিয়র সচিবের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেলিমকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, আগামী মাসের যে কোন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। এটি নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাজার মনিটরিং এবং দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একজন রাজনৈতিক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে যিনি দল এবং বাজারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের কেউ যদি বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

তবে কোন কোন মহল মনে করছেন যে, রাজনৈতিক নেতার চেয়ে যিনি এই বিষয়গুলোতে দক্ষ এরকম কাউকে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির নাম আলোচনায় রয়েছে বলেও দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ বা রদবদল যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি এখতিয়ারাধীন বিষয় এজন্য এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। 

তবে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ এবং নির্দেশনার সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। আর এ কারণেই হয়ত সেখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দেয়া হতে পারে। উল্লেখ্য যে, ১১ জানুয়ারি যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এই নতুন মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই প্রতিমন্ত্রী এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন। তার চেষ্টা এবং আন্তরিকতা নিয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে নবীন এবং অনভিজ্ঞ থাকার কারণে ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাজারে বিদ্যমান প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এজন্যই একজন হেভিওয়েট নেতাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ   বাণিজ্য মন্ত্রণালয়   মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: যা যা করতে পারবেন না সাবেক সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রেট ডিপার্টমেন্ট থেকে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সাবেক সেনাপ্রধান অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা হারাবেন। আসুন, দেখে নেয়া যাক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের কারণে তিনি কি কি হারাবেন। 

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনারেল আজিজ আহমেদ এখন আর ভ্রমণ করতে পারবেন না। শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও প্রবেশের ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁর যদি মার্কিন কোন ভিসা থেকে থাকে তাহলে সেটি বাতিল হবে। একইভাবে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মার্কিন ভিসাও বাতিল করা হবে। 

২. স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া যেকোন ব্যক্তির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেসব স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি থাকে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাঁর যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি থেকে থাকে তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাঁর ব্যাংক হিসাব থাকে তাহলে তা জব্দ করা হবে এবং সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজেয়াপ্ত করবে। এছাড়াও তাঁর পরিবারের কোন সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

৩. বাণিজ্য করতে পারবেন না: জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কোন বাণিজ্য করতে পারবে না। আজিজ আহমেদের কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন পণ্য রপ্তানি করতে চায় তাহলে তা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে এবং তা বারিত হবে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি কোন পণ্য আমদানি করারও সুযোগ পাবেন না। 

৪. মার্কিন বন্ধু রাষ্ট্রে ভিসা বিড়ম্বনা: এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যারা বিভিন্ন সামরিক এবং অর্থনৈতিক জোটে আছে সেসমস্ত দেশগুলোতেও জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রবেশে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে। কারণ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে যেসব দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন রকম জোটে আছে সেমস্ত দেশগুলো তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এর ফলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি রাষ্ট্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিড়ম্বনায় পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সরাসরি ভাবে এ দেশগুলো মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রতিপালনে বাধ্য নয়। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থক রাষ্ট্রগুলো যেমন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলোতে প্রবেশ করতে পারেননি। 

৫. আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ব্যবহারে জটিলতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত যেসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড রয়েছে যেমন, ভিসা, মাস্টার কার্ড ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক লেনদেন হয়। এইসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। ফলে এসমস্ত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন সাবেক সেনাপ্রধান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

এছাড়াও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে অন্যান্য দেশে যাওয়া ভিসা প্রাপ্তি এমনকি ঐ সমস্ত দেশে আর্থিক বা অন্য কোন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রেও তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন, হয়রানির শিকার হতে পারেন।  

সাবেক সেনাপ্রধান   আজিজ আহমেদ   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই শোক পালন করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত ১৯ মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি এবং অন্যদের মৃত্যুতে আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে। 

এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে বলেও এতে জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

ইব্রাহিম রাইসি   বাংলাদেশ   রাষ্ট্রীয় শোক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: ১১১ জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষ্যে দেশের ১১১ টি উপজেলায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় আগামী ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১১১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সম্প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। 

এতে বলা হয়, ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন ১১১ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।

বর্ণিতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ২৯ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।


উপজেলা নির্বাচন   সাধারণ ছুটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে ডিসি ও এসপি


Thumbnail

আজ ২১ শে মে ষষ্ঠ তম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ৬ টি উপজেলায় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,যা বিরতহীনভাবে বিকাল ৪ পর্যন্ত চলবে।   উপজেলা নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আসেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। 

 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলাসহ মুক্তাগাছার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র ঘুরেফিরে দেখেন ডিসি এবং এসপি। তারা ভোট কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদেরকে দিকনির্দেশনামূলক নানা পরামর্শ দেন ডিসি ও এসপি। 

 

এ সময় অন্যান্যদের মাঝে জেলা আনসার কমান্ডার ড.মোস্তারী জাহান ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ সুপার হালুয়াঘাট (সার্কেল)সাগর সরকার ও সদর সার্কেল শাহিনুল ইসলাম ফকির,সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মাহামুদা হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

 

বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। কোন ধরনের সহিংসতার খবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘একটি স্বচ্ছ,অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাহিরে প্রর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশের একাধিক টহল টিম ভোটের মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে বিজিপি,আনসার র‌্যাব ও ডিবির সদস্যরা সহায়তা করছে।’


উপজেলা নির্বাচন   ভোটকেন্দ্র   কেন্দ্র পরিদর্শন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন