ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু চিন্তা করতেন দেশের রোগী কিভাবে দেশে চিকিৎসা করা যায়: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা: শরফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু চিন্তা করতেন দেশের রোগী কিভাবে দেশে চিকিৎসা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএমআরসি ভবনে "জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনা এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ" শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা: শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিটিউনিটি ক্লিনিককে প্রধানমন্ত্রী যেখানে নিয়ে গেছেন সেটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনা কমিটিউনিটি ক্লিনিক ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা ও কবিতা পাঠ করেন শাহানা পারভীন, ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর, কমিটিউনিটি গ্রুপ এন্ড কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ, কমিটিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট।

মূল প্রবন্ধে শাহানা পারভীন বলেন, প্রতিটি বাঙালীর নয়নের আলো- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি , স্মরণ করছি বঙ্গমাতা সহ ১৫ই আগষ্ট নিশুতি রাতের অন্ধকারে যারা শহীদ হয়েছেন, স্মরণ করছি সেই ৩০ লক্ষ শহীদদের, ৩ লক্ষ মা-বোনদের, জাতীয় ৪ নেতাদের আর নাম না জানা সকল মুক্তিযাদ্ধাদের।

“জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনা এবং রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্যোগ” শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সঞ্চালক অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছেরআলী সহ এই রুমে অবস্থানরত সম্মানিত সকলকেই আসসালামু আলাইকুম। আদাব ও নমস্কার। বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে যাওয়া মানুষটির নাম শেখ মুজিব - মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বাংলার মানুষের সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। তিনি স্বাস্থ্যকে সংবিধানের মূল অধিকারের অংশ হিসেবে সংযোজন করেছিলেন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা অবকাঠামো তৈরী করেছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল সুখী সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যবান জাতি গড়ার। পিতার সেই স্বপ্ন নিয়ে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শুরুতে প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠির জন্য একটি করে, দেশব্যাপি মোট ১৮ হাজার কমিউনিটিক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা চরাই উৎরাই পেরিয়ে সারা দেশে আজ প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চলছে অনেক বেশি সফলতার সাথে। এ বছর নাগাদ আরও ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামে, গঞ্জে, হাওড়ে, বাওড়ে, প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিয়েছেন সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা। এখানেই বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্য ভাবনার সফল প্রতিফলনের এক মখমলি চাদর বিছিয়েছেন জননেত্রীশেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে “কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করেছেন যাতে ২০০১ এর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মতো আর কেউ কোনদিন জনগণের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে। বর্তমানে ৮ শতাংশ জমিতে চারকক্ষ বিশিষ্ট নতুন নকশার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ শুরু হয়েছে ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালীন সময়ে এক দিনের জন্যও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ ছিলনা। করোনা কালীন সময়ে সেবা দিতে গিয়ে আমরা কয়েকজন সিএইচসিপি কে হারিয়েছি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে তৎপর, কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতিফলন ভীষণভাবে উল্লেখযোগ্য সেখানে ১৪ হাজার সিএইচসিপি নিয়োগ দেয়া হয়েছে এর মধ্যে ৫৪% নারী এবং সিজি ও সিএসজি গ্রুপের ১৩-১৭ জন সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশই নারী। সেবাগ্রহীতাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু, শতকরা প্রায় ৮০ শতাংশ। কমিউনিটি ক্লিনিকের উল্লেখযোগ্য সেবা সমূহ। সমূহের মধ্যে - মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা সেবা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরামর্শ প্রদান ইপিআই এবং এআরআই সেবা প্রদান, সদ্য প্রসূতি মা, মারাত্মক পুষ্টিহীনতা ও দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া, হামে আক্রান্ত শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রদান, সকল সিসিতেই মহিলা ও শিশুদের জন্য টিকা প্রদান। অপুষ্টি চিহ্নিত করে পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশুদের গ্রোথমনিটরিং এন্ড প্রোমোশন কার্ড ব্যবহার করে পুষ্টি পরিমাপ করা, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের শনাক্ত ও রেফার করা, পুষ্টি শিক্ষা ও সম্পূরক অনুপুষ্টি প্রদান করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা নিয়ে ৮০%-৯৪% সেবা গ্রহীতা সন্তুষ্ট। থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি নাগরিকের জন্য হেলথ আইডি প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আইডি প্রদান দেশব্যাপি চলছে, চলবে।

শাহানা পারভীন আরও বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করা হয়। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদানের ফলে মা ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে, বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু ও জীবনযাত্রার মান। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম আজ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রশংসিত। আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন। বিদ্যুৎ থাকে সারাক্ষণ, পদ্মা সেতু, মহাকাশ বিজয় এসব দৃশ্যমান। যা অদৃশ্যমান সেগুলোও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার অবদান। মানুষের গড় আয়ু এখন প্রায় ৭৩ বছর। বিপুল এক জনগোষ্ঠি, ক্ষুদ্র একভূমি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বড় বড় অর্জন স্বাস্থ্যখাত বয়ে এনেছে। পেয়েছে ৩টি জাতিসংঘ পুরষ্কার সহ ১৬টি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এরমধ্যে - এমডিজি, সাউথ সাউথ, ভ্যাকসিন হিরো উল্লেখযোগ্য। ঔষধ শিল্পের উন্নয়ন গর্ব করার মতো। দেশের চাহিদা মিটিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ ১৪৫ টি দেশে রপ্তানী হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরী বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ।

তিনি বলেন, এই সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল চালিকাশক্তি জনগণ, আর কমিউনিটি ক্লিনিক হচ্ছে জনগণ ও সরকারের যৌথ অংশীদারিত্বের উৎকৃষ্ট উদাহরণ যেখানে জনগনের ভূমিকাই মূখ্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি দিয়েছে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, পরিচালনা করছে কমিউনিটি গ্রুপ, সাপোর্ট গ্রুপ, পৃষ্ঠপোষকতা করছেন জনপ্রতিনিধিগণ। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক এর একটি করে কমিউনিটি গ্রুপ আছে এবং তার আওতায় আরও ৩টি করে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ আছে এই সাপোর্ট গ্রুপগুলো অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে, প্রতি মাসে ট্রেনিং এর মাধ্যমে সাপোর্ট গ্রুপগুলোকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য আমরা তৎপর। তাদেরই সহযোগিতায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে ঐ অঞ্চলের মানুষের সম্পৃক্তা ও দায়িত্বের পরিধি প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে। তারা সেবা গ্রহীতাদের বুঝাতে ও শিখাতে চেষ্টা করছে, ভূমিখানি তাদের, তারাই পাহারা দিবে, শরীরখানি নিজের, যতœটুকু নিজেই করবে। মানুষ যখন নিজের করে কিছু ভাবতে পারে তখনই কাজটি শতভাগ সাফল্য বয়ে আনে, তাদের মাধ্যমেই সোশ্যাল ম্যাপ, রিসোর্স ম্যাপ ও বাৎসরিক কাজের যে প্ল্যান সে সব গঠন করা হয়। 

শাহানা পারভীন বলেন, বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে (যেমন উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, ক্যান্সার ইত্যাদি) এ সব স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক ও বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। সচেতনতাই মানুষের মাঝে এক প্রকার ঔষধের মতো কাজ করে, তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করা সাপোর্ট গ্রুপের মূল চাবিকাঠি এবং কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ এর নিয়মিত সভার মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক অস্বাস্থ্যকর কার্য যেমন ধুমপান, নেশা, মাদক, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, শিশু ও মহিলা পাচার, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্রামীন সব স্তরের মানুষ যেমন ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য, মুক্তিযাদ্ধা, প্রবীণ গুনিজন, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবী, কিশোর-কিশোরী, প্রতিবন্ধী, নিঃস্ব, হতদরিদ্র, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠি, ধর্মীয় নেতা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাপোর্ট গ্রুপগুলোর কাজ প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জনগণ ও সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘আমাদের স্বাস্থ্য, আমরাই নিশ্চিত করবো’ -এ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে উন্নত ও মানসম্মত টেকসই সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। সারাদেশে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি যারা প্রশিক্ষণের সাথে যুক্ত থাকছেন, তাদেরকে প্রশিক্ষণ সহায়িকা নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে, তাতে পারস্পরিক সহযোগিতাও বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ কোটি গ্রামীন জনগণকে একযোগে মোবাইল ভয়েস কলে আহ্বান করে বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিকে আসুন, সেবা নিন, সুস্থ থাকুন”। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান শুধু ৪ কোটি নয় দেশের ১০ কোটি গ্রামীণ জনগণের হৃদয়ে অনুরণিত হচ্ছে। সবার সাথে সুর মিলিয়ে দৃপ্তকন্ঠে গাইতে চাই “আমরা করবো জয় নিশ্চয়”। আমাদের ভয় নেই, আমরা একা নই, আমাদের পথ প্রদর্শক বিশ্বনন্দিত, দূরদর্শিনী, সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা আছেন। সমগ্র জনগণ আমাদের সাথী, এই সাথীদের নিয়ে রোগ ব্যাধি জয় করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। 

কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত আছেন, তুলশী রঞ্জন সাহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট, সৈয়দ বােরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত, অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, অধ্যাপক ডা: শরফুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সেলিনা হােসেন, সভাপতি, বাংলা একাডেমি, ড: এ.বি.এম আবদুল্লাহ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইমেরিটাস অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

বিএসএমএমইউ   উপাচার্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


রাজধানী   ওবায়দুল কাদের   অটোরিকশা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পেছনে নয়, সামনে তাকাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিল। এখন আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই, পেছনের দিকে নয়।

বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ডোনাল্ড লু বলেন, আমাদের লোকজনের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি গত দুইদিন ধরে বাংলাদেশ সফর করছি।

তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য উপায় বের করতে আজ আমি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে। যেমন র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম আইনের সংস্কার, মানবাধিকার এবং ব্যবসায়ীক পরিবেশ সংস্কার। এ সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমাদের ইতিবাচক দিক নিয়ে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলেন, আমরা নতুন বিনিয়োগের কথা বলেছি। অধিক সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করবে, এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। ক্লিন অ্যানার্জি নিয়ে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ যে বিষয়টি নিয়ে আমি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, সেটা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আমরা যেটা করতে পারি সরকারের স্বচ্ছতা, সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার মাধ্যমে। আমরা করসীমা বাড়ানোর কথা বলেছি, যাতে বাংলাদেশ সেখান থেকে উপকৃত হতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি। বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর। এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।

ডোনাল্ড লু   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু সফরে মার্কিনপন্থী সুশীলরাও কেন উপেক্ষিত?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। দু’দিনের সফরে প্রথম দিনে তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিটার ডি হাসের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল একটি বড় ধরনের চমক। অতীতে দেখা গেছে, যে কোন মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করলেই একগুচ্ছ সুশীলের সঙ্গে বৈঠক করতেন। সেই সুশীলরা সকলেই পরিচিত ছিল। এর আগেও ডোনাল্ড লু, আফরিন আখতার বাংলাদেশ সফর করে যে সমস্ত সুশীলদের সাথে দেখা করেছিলেন এবার তাদেরকে এড়িয়ে গেছেন।

গত দুই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সমস্ত কর্মকর্তারা এসেছিলেন তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজের যে সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বদিউল আলম মজুমদার, ড. স্বাধীন মালিক, ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, তৃতীয় মাত্রার বিতর্কিত উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, মতিউর রহমান, নুরুল কবিরের মত ব্যক্তিদেরকে। যারা সকলেই আওয়ামী বিরোধী এবং বিএনপি পন্থী হিসেবে পরিচিত। এদের কেউ কেউ স্বাধীনতাবিরোধীও বটে। এই সমস্ত বিরোধী পক্ষের সুশীলদেরকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক করত এবং এই ধরনের বৈঠকগুলোর পরে সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষোদগার করা হত।

তবে এবার ডোনাল্ড লুর বৈঠকে এই সুশীলদের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে বড় পরিবর্তন বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। গতকালের বৈঠকে যে সমস্ত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওম্যান সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার কর্মী মহম্মদ নুর খান, চাকমা সার্কেলের রানী ও মানবাধিকার কর্মী ইয়ানিয়ান, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংগঠক সোয়ানুর রহমান, তরুণ সংগঠক মাহমুদা আক্তার মনীষা।

এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি সুশীল প্রতিনিধি দল যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সুশীল পরিবর্তন কেন এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, আদিলুর রহমান খান ও জিল্লুর রহমানের মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার না হওয়াটাকে অনেকে বিস্ময়কর মনে করছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতিতে তার অবস্থান পাল্টেছে। বাংলাদেশ কৌশল পরিবর্তন করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মার্কিন নীতিও পরিবর্তন হয়েছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের বাজারে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান থাকে সে জন্য দেশটির তৎপরতা লক্ষণীয়। ডোনাল্ড লু সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকেও মার্কিন কম্পানিগুলোর অর্থছাড় বিষয়েও আলোচনা করেছেন।

সবকিছু মিলিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারনেই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে যারা তাদের মিত্র ছিল সেই মিত্রদেরকে পরিবর্তন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সুশীলদের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। যারা এতদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গলাবাজি করত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণই যাদের দায়িত্ব ছিল তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছে। আর এটি বোধহয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু হয় তাদের শত্রুর দরকার হয়না।


ডোনাল্ড লু   সুশীল সমাজ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু


Thumbnail

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পুকুরে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে লিপন (৬) ও মেহেদী হাসান (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত লিপন ওই এলাকার রাশেদের ছেলে ও মেহেদী হাসান মাঈদুলের ছেলে।

 

স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পানিতে গাছের গুঁড়িতে উঠে দুই শিশু খেলছিল। খেলতে খেলতে একসময় গাছের গুঁড়ির নিচে পড়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।’


পানিতে ডুবে মৃত্যু   শিশু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। এ সকল সংঘাতের অবসান হোক এই কামনা করি। বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের নারী ও শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন