ইনসাইড বাংলাদেশ

সোনারগাঁয়ে মায়াদ্বীপে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে পবা’র প্রতিবাদ

প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২২


Thumbnail সোনারগাঁয়ে মায়াদ্বীপে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে পবা’র প্রতিবাদ

সোনারগাঁয়ে মায়াদ্বীপে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। আজ রোববার (৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে “সোনারগাঁয়ের মায়াদ্বীপে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড, মায়াদ্বীপ জেলেশিশু পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলার প্রতিবাদ” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পবা। পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান-এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যাপক, গবেষক ও লেখক জোবাইদা নাসরীন।

পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান-এর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যাপক, গবেষক ও লেখক জোবাইদা নাসরীন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২২ জানুয়ারি ২০২২ সোনারগাঁয়ের নুনেরটেকের ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালাটি’ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি এবং তাঁর পরিবারের ওপর রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছিল স্থানীয় দুষ্কৃতকারীরা। মরিয়ম আক্তার পাখির দেড় বছরের ছোট্ট বাচ্চাটিও তাদের হামলার নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি। পাখির মা-কে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়েছে, তার দুইভাই শরিফ ও রাশেদকে নৃশংসভাবে পিটানো হয়েছে। তারপর তারা এই ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, সেই মামলার তদন্ত শেষে এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ১১ জন আসামীর মধ্যে মাত্র একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তিনিও জামিনে ছাড়া পেয়ে চলে গেছেন, কিন্তু পাখিরা এখন গ্রামছাড়া। তাঁরা এখন সোনারগাঁয়ে একটা জায়গায় আত্মগোপন করে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখান থেকে তাঁরা বেরোতে ভয় পান। অথচ গ্রামে তাদের গবাদি পশুগুলো অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে, তাদের আয়ের প্রধান উৎস মুদি দোকানটি বন্ধ হয়ে গেছে, মাছ ধরতে যেতে পারছেন না পাখির বাবা, এবং সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের স্কুলটি বন্ধ রয়েছে, যে স্কুলটিতে গ্রামের হত-দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়াশুনার সুযোগ পায়। ঘটনার পর হাসপাতালে পাখিরা চিকিৎসা নিলেন, এরপর তাঁরা আর গ্রামে ফিরতে পারলেন না, তাঁরাই এখন পলাতক দিন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

আপনাদের অনেকেরই জানা আছে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদী বেষ্টিত মায়াদ্বীপ-নুনেরটেক চরঘেঁষে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়, ও মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়লে, ২০১০ সাল থেকে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সামাজিক সংগঠন ‘সুবর্ণগ্রাম’-এর উদ্যোগে কবি শাহেদ কায়েস-এর নেতৃত্বে ‘মায়াদ্বীপ রক্ষা আন্দোলন’ গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই তখন থেকেই ‘পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’ (পবা) এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আন্দোলনটি সংগঠিত হয়েছিল ২০১০-২০১৩ সাল পর্যন্ত। সেই ২০১০ সাল থেকেই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধে পবা খুব জোরালো ভূমিকা নিয়েছিল। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল মায়াদ্বীপ-নুনেরটেকের, ‘মায়াদ্বীপ রক্ষা আন্দোলন’-এর আহবায়ক কবি শাহেদ কায়েস সহ ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ব্যাপক হামলা-মামলার শিকার হয়েছিলেন। সুবর্ণগ্রাম-এর ওই আন্দোলনের সঙ্গে ‘পবা’ ছাড়াও আরও বেশ কিছু সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্থানীয় লেখক-সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ যুক্ত ছিলেন। এর ফলে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার এই ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিলে মায়াদ্বীপ-নুনেরটেক চরে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়। এইজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। 

কিন্তু, অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে এখানে মাছের অভয়াশ্রমগুলো দীর্ঘদিন যাবত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে ক্ষতিগুলো এখনো পুষিয়ে উঠতে পারেনি স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের জনগণ। যার ফলে নদীতে মাছের পরিমাণও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। এখানে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে পানিদূষণসহ নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে এবং নদী ভাঙছে। পুরো হাইড্রোলজিক্যাল কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বালু উত্তোলনের কাছাকাছি চরের মাটির ক্ষয় যেমন ঘটছে, তেমনি মাটির গুণাগুণও নষ্ট হচ্ছে।

এছাড়াও ওই অঞ্চলটি দুর্গম হওয়াতে সামাজিকভাবে কিছু বিপর্যয় শুরু হয়েছে। মায়াদ্বীপে কোনো স্কুল নেই। পাশের চর নুনেরটেকে একটি প্রাইমারি স্কুল থাকলেও সেখানে কিছুদিন যাওয়ার পর মায়াদ্বীপের শিশুরা স্কুলে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, কারণ তারা নুনেরটেকের তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের শিশুদের দ্বারা নানা ধরণের বৈষম্যের শিকার হয়। ২০০৭ সালে সুবর্ণগ্রাম-এর উদ্যোগে ওই চরে ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালা’ নামে সম্পূর্ণ অবৈতনিক একটি স্কুল গড়ে তোলা হয়, যেখানে মায়াদ্বীপের শিশুদের বিশেষ যত্ন নিয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। যেহেতু ওই চরের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর, মাছ ধরাই এঁদের প্রধান জীবকা, আর খণ্ডকালীন কৃষক, তাঁরা তাদের শিশুদের শিক্ষা নিয়ে খুব একটা ভাবার ফুরসত পান না। সারাক্ষণ জীবন-জীবিকার জন্য তাঁদের ব্যস্ত থাকতে হয়। এইক্ষেত্রে ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালাটি’ ওই চরের শিশুদের শিক্ষায় ২০০৭ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। শুধুই একাডেমিক পড়াশুনা না, নানান ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হয়। স্কুলটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে একটি বিকশিত জীবনধারা গড়ে উঠেছে মায়াদ্বীপে । 

এখানে উল্লেখ্য যে, সুবর্ণগ্রামের উদ্যোগে ‘মায়াদ্বীপ রক্ষা আন্দোলন’-এর ফলে ওই অঞ্চলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেলে, যারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অবৈধ আয় বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তারাই মাদকব্যবসা, হুন্ডিব্যবসাসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ওই একই লোকজন, হাসেম-জাকারিয়া- ওসমান গং সম্প্রতি, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালাটি’ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি এবং তাঁর পরিবারের ওপর রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছিল। 

কী ঘটেছিল সে রাতে? 

গত ২২ জানুয়ারি ২০২২, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় সোনারগাঁ উপজেলার নুনেরটেক গ্রামের মায়াদ্বীপে ‘মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালা'র প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার পাখির বাড়িতে হামলা করা হয়। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার পাখি (২৬), তার ১৫ মাসের মেয়ে পারিশা আক্তার, মা নাসিমা বেগম (৫০), ছোট ভাই মো. শরিফ (২৪) ও মো. রাশেদ (২০)।

একইসঙ্গে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। সে রাতে ৯টার দিকে বারদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেমের নেতৃত্বে আনোয়ার, মেহেদী, শাহাপরান, দ্বীন ইসলাস, ফয়সাল, রাকিব, রহিম আলী, রমজান, শরিফ, ফাহিম, মাসুদ, মঙ্গল আলী, ইউছুফ, অজ্ঞাত আরও কয়েকজনসহ প্রায় ২০-২২ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখির বাড়িতে হামলা চালায়। তারা সে সময় তাঁকে, তাঁর ২ ভাই, এবং তাঁর মাকে মারধর করে। পাখিকে ঘুষি দিতে গেলে তাঁর ১৫ মাসের মেয়ে পারিশার মাথায় আঘাত লাগে। পরবর্তীতে তাঁদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন আসলেও কাউকে ঘরের ভিতর ঢুকতে দেয়নি সন্ত্রাসীরা।

পাখির জবানিতে আমরা জানতে পারি, ‘মারধরে আমরা যখন মাটিতে পড়ে যাই তখন তারা আমার ও মায়ের গলার স্বর্ণের চেইন ও ভাইয়ের বিকাশের লেনদেনের জন্য রাখা দোকানের নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায় ভবিষ্যতে স্কুলে পড়াতে গেলে পরিবারের সবাইকে তারা জবাই করে মেরে ফেলবে। আমরা যাতে নদী পার হয়ে হাসপাতালে না যেতে পারি সেজন্য সকল নৌকার মাঝিকে নিষেধ করে দেয়, তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য কেউ এগিয়ে আসে না। পরে শাহেদ কায়েস স্যার ট্রলারের ব্যবস্থা করে আমাদের সোনারগাঁ নিয়ে আসেন।’ এ ঘটনায় মামলার বাদী প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখির ভাই মো. শরীফ-এর জবানিতে আমরা জানতে পারি, 'কেন আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলেছে, আমার বোন স্কুলের শিক্ষক, মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালায় পড়ায় তাই আমাদেরকে মেরেছে, বারবার বলা সত্ত্বেও কেন পাখি, রাশেদ স্কুলে যায়, এটাই নাকি আমাদের অপরাধ!’

ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি 

এই ঘটনার পর মরিয়ম আক্তার পাখি রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা কবি শাহেদ কায়েসকে তাঁর মোবাইলে ফোন দিলে তিনি প্রচণ্ড কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পান, পাখি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্ত্রাসীদের অমানবিক ওই নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেন। তখন শাহেদ সঙ্গে সঙ্গে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সোনারগাঁ শাখার সভাপতি লেখক শংকর প্রকাশকে সঙ্গে নিয়ে সোনারগাঁ থানায় এসে ওসি মো. হাফিজুর রহমানকে বিস্তারিত জানান এবং সহযোগিতা চান। ওদিকে সন্ত্রাসী আবুল হাসেম ও তার দোসররা নুনেরটেকের সব নৌকার মাঝিকে পাখিদের বহন করে সোনারগাঁয় না নিয়ে আসতে হুমকি দেয়। তখন শাহেদ সোনারগাঁ থেকে ট্রলার পাঠিয়ে ওদেরকে মায়াদ্বীপ থেকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। আনুমানিক রাত এগারোটায় (২২ জানুয়ারি ২০২২) শংকর প্রকাশ ও তিনি সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাট থেকে তাঁদেরকে নৌকা থেকে তুলে এনে সোনারাগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। সেই সময় পাখির মা প্রায় অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন, তাঁকে কোলে করে ট্রলার থেকে হাসপাতালে আনার জন্য সিএনজিতে তুলতে হয়, তাঁর ভাই মারাত্মকভাবে জখম মো. রাশেদ ব্যথার কারণে সিএনজিতে বসতে পর্যন্ত পারছিল না। 

এরপর তাঁরা সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সোনারগাঁয়ে একটা ভাড়া বাসায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন তাঁরা জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে তাদের গ্রামে, বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। এদিকে বাড়িতে ফিরলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে মাদক ও হুন্ডি ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি সোনারাগাঁ থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার নম্বর ৩২, তারিখ ২৩.০১.২০২২। এই মামলায় এই পর্যন্ত মাত্র একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

বর্তমানে হামলার ঘটনায় মামলা করায় প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে হামলাকারীরা। তাদের হুমকির কারণে ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না পাখি ও তাঁর পরিবার। প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখির জবানিতে আমরা আরও জানতে পারি, '২২ জানুয়ারি হামলায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ২৮ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাই। তারপর বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি হামলাকারীরা গ্রামে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, বলছে আমরা বাড়ি গেলে প্রাণে মেরে ফেলবে। আমাদের ঘরবাড়ি ও দোকানে আগুন দিবে। আমাদের গরু জবাই করে খেয়ে ফেলবে। তাই এখানে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। এখন বাইরে যেতেও ভয় হয়।’

হামলার কথা স্মরণ করে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পাখির বাবা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। যে আসে তাকেই তিনি কান্নারত অবস্থায় বারবার বলতে থাকেন, 'পড়ালেখা করে কী হবে? পড়ালেখা করলে যদি এভাবে নির্যাতিত হতে হয়, তবে কেন ছেলে মেয়েকে পড়ালেখা করিয়েছি? আজকে আমরা ঘর ছাড়া।’ তিনি বলেন, 'বাড়িতে ফিরতে পারছি না। আমাদের মুদির দোকান বন্ধ। নদীতে মাছ ধরতে পারছি না। কোনো আয় রোজগার নাই। না খেয়ে কষ্ট করতে হচ্ছে।’ পাখির ছোট ভাই সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ বলেন, 'পড়ালেখা বন্ধ হয়ে আছে। মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালার আমিও একজন শিক্ষক। সেটাও বন্ধ, সোনারগাঁয়ে আশ্রিত অবস্থায় আমরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।’ মা নাসিমা বেগম বলেন, 'আমাদের একটা গাভী ও বাছুর আছে। সেটাও এখন প্রতিবেশির বাড়িতে। বাড়িতে সবজি, ফল গাছ সব আছে। এগুলো সবই নষ্ট হচ্ছে। আমরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চাই।'

'মায়াদ্বীপ শিশু পাঠশালা’র প্রধান শিক্ষক মরিয়ম আক্তার পাখি ও তাঁর পরিবারের ওপর অমানবিক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে এরই মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট’, গত ২৭ জানুয়ারি সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে সোনারগাঁয়ের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তারুণ্যের সোনারগাঁ’, গত ৩০ জানুয়ারি সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে যৌথভাবে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সোনারগাঁ শাখা ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সোনারগাঁ শাখা মানব বন্ধন করেছে, এবং গত ১ মার্চ শিক্ষক পরিবারকে হত্যার হুমকি ও স্কুলের পাঠদান বন্ধ করার পায়তারার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭১ জন কবি-লেখক-শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সংস্কৃতি ও মানবাধিকারকর্মী বিবৃতি দিয়েছেন গণমাধ্যমে।

হামলার ঘটনায় মামলা করার পর পুলিশ ১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল। বাকীরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। তারাই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বলছে, গ্রামে ফিরে গেলে পাখিদের মেরে ফেলবে। আমরা চাই ওই চিহ্নিত অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের হামলা বা স্কুল বন্ধের পাঁয়তারা করতে সাহস না পায়, যাতে কোনো শিক্ষকের উপর হামলা করার দুঃসাহস না করে। একইসঙ্গে পাখি ও তাঁর পরিবার যেন দ্রুত নিরাপদে গ্রামে ফিরে যেতে পারে সে জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মায়াদ্বীপের ওই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেন পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ আবু নাসের খান; লেখক, পরিবেশ ও সমাজকর্মী মিতালী হোসেন; কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাজীব নূর; প্রতিবেশ-প্রাণবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ; লেখক ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ; কবি ও পরিবেশকর্মী শাহেদ কায়েস, লেখক ও উদীচী সোনারগাঁ শাখার সভাপতি শংকর প্রকাশ এবং পবা’র প্রোগ্রাম অফিসার নাজনীন নূর।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। এ সকল সংঘাতের অবসান হোক এই কামনা করি। বুধবার (১৫ মে) সকালে 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের নারী ও শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা আশা করি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমানো, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের হার কমে আসছে। নানাভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।


শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জলবায়ু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি: ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

লু আরও বলেন, আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। 

এছাড়া ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি।



ডোনাল্ড লু   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সম্পর্ক কীভাবে সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: সাবের হোসেন চৌধুরী

প্রকাশ: ০১:০৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সামনের দিকে সম্পর্ককে কীভাবে আরও সুদৃঢ় করব সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি।


সাবের হোসেন চৌধুরী   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ময়মনসিংহে নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ


Thumbnail মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নুসরাত জাহান তনু

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মুক্তাগাছায় সবাইকে চমকে দিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ইসরাত জাহান তনু।   উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে ফুটবল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও তিনি তার নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

জানা যায়, উপজেলার খামারের বাজার এলাকার কলাকান্দা গ্রামের মৃত-ডাঃ এএল এম গোলাম আরহামের বড় মেয়ে মোছা: জান্নাতুল আমান (তনু) অরফে ইসরাত জাহান। তনু বিয়ে করেছেন দুইটি। তবে দুইজনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এখন তিনি তার বাবার বাড়িতেই এক মেয়ে সন্তান ও মাকে নিয়ে বসবাস করছেন।

 

ইসরাত জাহান তনু তার নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদ ও মামলার তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে,ইসরাত জাহানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন তনুর সাবেক স্বামী মোঃ খাইরুল ইসলাম মনির।

 

ইসরাত জাহান পেশায় একজন গৃহিনী হলেও নির্বাচনী হলফনামায় তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করেছেন কিন্তু উপজেলায় তার নামে কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।

 

নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ইসরাত জাহান তনুর জমা দেওয়া মনোনয়নের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, ইসরাত জাহান তনুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.এস.এস পাশ। ব্যবসার সুবাদে তিনি বছরে দুই লাখ টাকা আয় করেন। বর্তমানে তার নগদ এগারো লাখ টাকা জমা রয়েছে। তবে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কোন ধরনের জমি কিংবা কোনো ধরনের আবাদি কৃষি জমি নেই।

 

তবে হলফনামার সঙ্গে বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। কারণ তথ্য গোপন করেছেন তিনি।  তনুর সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,তনুর বর্তমানে নগদ ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালিক তিনি।

 

হলফনামায় কোনো কৃষি বা আবাদি জমি নাই উল্লেখ করলেও মুক্তাগাছা উপজেলা ভূমি অফিসে তনুর নিজের করা নাম খারিজ রিভিউ আবেদন বিশ্লেষণ করে জানা গেছে,উপজেলার শশা মৌজায় খারিজ নং-বি.এস-১৭৪১ এবং ৬০৪৩ নং দাগে দলিল মূল্যে প্রাপ্ত হয়ে ০.১৯৫০ একর জমি রয়েছে।

 

এছাড়া সূত্র বলছে, ঘাটাইল উপজেলায় শাহপুর মৌজায় জমি ১২ শতাংশ জমির উপর তনুর ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে এবং কলাকান্দায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি রয়েছে তনুর। 

 

এছাড়াও তার নামে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সি.আর মামলা নং- ৪১ /২০২৪) মমলা রয়েছে, যা তিনি হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন। তনুর হলফনামায় দেয়া অন্যান্য তথ্যের মধ্যেও গড়মিল পাওয়া গেছে। 

 

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যক্তি দাবি করে, তনুর সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির বলেন, তনুর বাবা মৃত- ডাঃ এএল এম গোলাম আরহান তনুর জন্মের পর তার নাম রেখেছিলেন জান্নাতুল আমান (তনু), পরে জাতীয় পরিচয়পত্রে সে তার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান ইসরাত জাহান। আর জান্নাতুল আমান (তনু) নামটি সে জন্মনিবন্ধনে ব্যবহার করে থাকেন জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে। আসলে দুইটি নাম একইজনের। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেই তনু এই পথ বেছে নিয়েছেন। তার প্রতারণার শিকার আমিও হয়েছি। তার মত মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে,তার দ্বারা মানুষ প্রতারিত হবেন। যেকারণে আমি তার প্রার্থীতা বাতিল চাইছি। প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিব।

 

ইসরাত জাহান (তনু) এবং জান্নাতুল আমান (তনু) একই ব্যাক্তি কি না? জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাত জাহান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

 

হলফনামায় তথ্য গোপনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার এই সব বিষয়ে কোনো মন্তব্য নাই।। আমি নির্বাচন নিয়েই আপাতত ব্যস্ত। আর এগুলা সব আমি নির্বাচনের পর বিস্তারিত বলবো। এগুলা নিয়ে নিউজ করার মত আসলেই কিছু নাই তারপরও আপনার যেটা ভালো মনে হয় করেন।’

 

হলফনামায় তথ্য গোপন করার পরেও কিভাবে তার মনোনয়নপত্র বৈধতা পেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদা হাসান বলেন, তার হলফনামায় দেওয়া তথ্য যাচাইবাছাই করে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি যদি তার হলফনামায় তথ্য গোপন করে থাকেন এবং তা প্রমাণিত হয়,তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 


উপজেলা নির্বাচন   হলফনামা   তথ্য গোপন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকরের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশব্যাপী নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন?

শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশেই আজ থেকে মোটরসাইকেলে হেলমেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

সভায় ঢাকার দুই সিটি মেয়র, বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।


‘নো হেলমেট   নো ফুয়েল’   নির্দেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন