ইনসাইড বাংলাদেশ

২১ বছর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ০৭ মার্চ, ২০২২


Thumbnail ২১ বছর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। আমাদের ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী, আমাদের আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মীকে ৭ই মার্চের ভাষণ বাজাতে গিয়ে নির্যাতিত হতে হয়েছে। তাদের গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। তাদের ওপর চরম অত্যাচার চলেছে। ২১ বছর বাঙালি জাতি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস শুনেছে। আর একুশটা বছর ধরেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, লাখো শহীদের রক্তদান,  আমাদের সংগ্রাম, সবকিছু ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৭ মার্চ) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।‌ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ এটি প্রমাণিত সত্য যে, সত্য কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। আর ৭ই মার্চের ভাষণেই তো জাতির পিতা বলে গেছেন, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাঙালিকে কেউ দাবায় রাখতে পারে নাই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ভাষণ দিতে যাবেন তখন অনেক রাজনৈতিক দল, অনেক ছাত্রনেতা পরামর্শ দিতে থাকেন যে কি করা উচিত। কয়েকটা ছাত্রনেতা তো বলেছিলেন যে আজ সরাসরি তো স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেই হবে। না হলে তো মানুষ হতাশ হয়ে যাবে, এমনটাও বলেছিল। আমাদের কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী অনেকে অনেক পয়েন্ট লিখে লিখে দিয়ে গেছেন। অনেকেই পরামর্শ দিয়ে গেছেন। আমাদের বাসাটা তখন উন্মুক্ত ছিল। সবার জন্য খোলা ছিল।

সরকার প্রধান বলেন, আমার আব্বাকে আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন, সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছ এ দেশের মানুষের জন্য। তুমি জানো এ দেশের মানুষের জন্য কোনটা ভালো। তোমার মনে যেটা আসবে তুমি ঠিক সেটাই বলবা। তোমার কারো কথা শোনার প্রয়োজন নাই। আজ আপনারা যে ভাষণটা দেখেন তার (বঙ্গবন্ধুর) কাছে কিন্তু কোনো কাগজ নাই, কিছু নাই। তিনি একাধারে বঞ্চনার ইতিহাস পড়ে যাচ্ছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি মাত্র ভাষণ যা কেউ কোনোদিন বের করতে পারবে না, যে এই ভাষণটা কত ঘণ্টা, কত মিনিট, কত দিন বাজানো হয়েছে। এর হিসাব করা একটি কঠিন ব্যাপার। যুগ যুগ ধরে আমরা শুনছি এবং বাজানো হচ্ছে। কত কোটি কোটি মানুষ শুনেছে। যতই বাধা দেওয়া হয়েছে ততই যেন এই ভাষণটা আরও উদ্ভাসিত হয়েছে।

তিনি বলেন, এখনও এই ভাষণ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এ ভাষণের প্রতিটি লাইন একেকটার কবিতার অংশ। ভাষণের যে ঐতিহাসিক কথা- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই লাইনটা বাজানো হতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ভাষণ শেষ করেছেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে। বাঙালির জয়, বাংলার জয়, বাংলার মানুষের জয়, এই জয় বাংলা স্লোগান। আমার আত্মবিশ্বাস আর কোনোদিন কেউ এই ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না। একটি ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে এবং স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।

প্রধানমন্ত্রী   বঙ্গবন্ধু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নীলফামারীর ডিমলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নীলফামারীর ডিমলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ মে) বিকালে ডিমলা সদর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুই যুবক হলেন- আদিল শাহারিয়ার ও সাইদুজ্জামান সৈকত।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার সময় ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে পৌঁছলে আদিল শাহারিয়ার ও সৈকত ওই ছাত্রীর পথরোধ করে। তারা তাকে মোটরসাইকেলে তুলে ডিমলা ফজিলাতুন্নেসা স্কুলের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে প্রমিত দাস নামে আরেক যুবক ছিল। তিনজন স্কুলছাত্রীকে কুস্তাব দেয় এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায়ও স্পর্শ করে ভিডিও ধারণ করে। প্রমিত দাসের বাড়িতে না গেলে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তিন যুবক।

পরে জোর করে স্কুলছাত্রীকে প্রমিত দাসের বাড়িতে নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। রোববার (১২ মে) সন্ধ্যার পর ডিমলা থানায় মামলা করেছে স্কুলছাত্রীর বাবা। পরে তাকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পাঠানো হয়।

ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


নীলফামারী   ডিমলা   ধর্ষণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যাত্রীবেশে চালকের গলা কেটে অটো রিক্সা ছিনতাই


Thumbnail

নীলফামারীতে ছাপিনুর রহমান (৫৫) নামে এক অটো চালকের গলা কেটে অটো রিক্সা ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১২মে) রাত ১২টার দিকে নীলফামারী পৌর শহরের ধনি পাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছাপিনুর নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আবু বক্করের ছেলে।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যাত্রীবেশে উঠে জনশূন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে অটো রিক্সা ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা। চালক সাফিয়ার তাদের বাধা দিলে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার অটো রিক্সা নিয়ে যায়। তার গোঙানির শব্দে স্থানীয় লোকজন টের পেলে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রংপুর যাওয়ার সময় রাত সাড়ে ১টায় মারা যান তিনি। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন,'আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'


অটো রিক্সা   ছিনতাই   যাত্রীবেশে   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রতিবাদে সিলেট নগর বিএনপি’র মানববন্ধন

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, সিলেট নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ থেকে এক লাফে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যা নগরবাসীর জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ এর মতো। সিটি কর্পোরেশনের এমন সিদ্ধান্তে পুরো নগরবাসী ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ।

রবিবার (১২ মে) সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সিসিক কর্তৃক অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপি হোল্ডিং ট্যাক্সের বিপক্ষে নই। তবে তা হতে হবে সহনীয় পর্যায়ে। অবিলম্বে অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সিলেটের জনগণ ক্ষুব্ধ রাস্তায় নেমে গেলে পরিণতি হবে ভয়াবহ’।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী পরিচালনায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সিলেট মহানগর, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, জিয়াউল হক জিয়া, আমির হোসেন, মহানগর বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মুর্শেদ আহমদ মুকুল, মহানগর যুবদলের সভাপতি নেওয়াজ বক্ত তারেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জামান রোজি, মহানগর জাসাসের আহবায়ক তাজ উদ্দিন মাসুম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুবের আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ প্রমূখ।


ভৌতিক হোল্ডিং ট্যাক্স   সিলেট নগর বিএনপি   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় ময়নুল হক মনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আরও পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় এ ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ মে) ভোরে ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি ধনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ময়নুল হক মনু ওই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৮ মে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।

কারাগারের পাঁচ আসামি হলেন-উপজেলার ছোট রাউতা ফরেস্ট পাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান (৪০), সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা থানাপাড়া এলাকার রাকিউল ইসলাম (৪০), চিলাই পাগলা বাজার এলাকার মো. দুলু (৩৮), পশ্চিম বোড়াগাড়ি স্কুলপাড়া এলাকার রিমুন ইসলাম (২৪) ও পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা এলাকার হারুন অর রশিদ (৩০)।


আওয়ামী লীগ   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:৩০ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১২ মে) সকালে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মোছড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বিয়ের পর থেকে পরিবারিক কলহ নিয়ে স্ত্রী নুরী বেগম ওরফে মুনিয়ার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালাতো স্বামী আশিকুর রহমান শেখ।

রোববার (১২ মে) সকালে মুনিয়াকে বেদম মারধার করে স্বামী। এর এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন মুনিয়াকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আশিকুর রহমান শেখকে আটক করে পুলিশ।

ওসি আরও জানান, আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


স্ত্রী হত্যা   শ্বাসরোধ করে হত্যা   নির্যাতন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন