ইনসাইড বাংলাদেশ

নিজ আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ডেসটিনির এমডি

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ০৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail

মক্কেলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে নিজ আইনজীবীর সনদ বাতিল চাইলেন ডেসটিনির এমডি। কারাগার থেকে নিজের আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ করেছেন ডেসটিনির এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। 

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বার কাউন্সিল থেকে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি পাওয়া গেছে। 

আইনজীবী হয়েও মক্কেলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার ঘটনায় আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।  

বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্রাক্টিশনার্স এবং বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ নং ৩২ অনুযায়ী অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘আমি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নমিনী পরিচালক এবং ডেসটিনি মাল্টিপারপাজ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক সভাপতি; বর্তমানে কলাবাগান থানার ৩২ এবং ৩৩ নং মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে কারান্তরীণ।’

‘আমি কারান্তরীণ থাকাবস্থায় আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামকে উক্ত মোকদ্দমায় বিভিন্ন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনজীবী হিসেবে ওকালতনামা সম্পাদন পূর্বক নিয়োগ করি। আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আমার মামলা পরিচালনার নিমিত্তে আমার মামলা সংশ্লিষ্ট বহু গোপনীয় তথ্যাদি গ্রহণ করেন এবং তিনি অদ্যাবধি আমার আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন (মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত ক্রিমিনাল আপিল নং ৭৪৫৯/২০১৫ এবং ৯২৯৫/২০১৫ এবং কোম্পানি ম্যাটার নং ১৬৬/২০০৯)।’ 

‘সম্প্রতি আমার (রফিকুল আমীন) নিকট প্রকাশ পাচ্ছে যে, আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম আমার স্বার্থের প্রতিকূলে নিজেকে নিয়োজিত করে কর্ম সম্পাদন করছেন। ওই আইনজীবী ব্যক্তি কর্তৃক আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত হয়ে আমার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এবং বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের নামে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ১১১০১/২০২১ এবং কোম্পানি ম্যাটার নং ৩০৮/২০২১ দায়ের করেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে নিজেকে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড এবং বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের আইন উপদেষ্টা হিসেবে উল্লেখ পূর্বক একটি দৈনিক পত্রিকায় ভুয়া ও বেআইনি নোটিশ প্রদান করেন, যা তার আইন পেশার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং আইন পরিপন্থী (ক্যাননস অব প্রফেশনাল কন্ডাক্ট অ্যান্ড এটিকেটের অধ্যায় ৪ এর ধারা নং ১ এবং ২ এর বিধান মতে)।’

‘এমতাবস্থায়, আইন পেশার সাথে সাংঘর্ষিক সকল কাজে যুক্ত থাকা ওই আইনজীবীর সকল কার্যক্রম তদন্ত সাপেক্ষে উদঘাটন করার মাধ্যমে বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলামের সনদসহ সদস্যপদ বাতিলের জোর আবেদন জানাচ্ছি।’

একইসঙ্গে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ জানিয়েছেন রফিকুল আমীন।



স্বার্থবিরোধী   আইনজীবী   ডেসটিনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:১৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আমরা দায়মুক্ত হয়েছি, পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

শনিবার (০৪ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৯৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে নিঃসন্দেহে বলা যায়, একটা শুভদিন। সেই মহীয়সী নারীর স্মৃতি জাদুঘর, যেটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। আমরা জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হলাম। এই যে আন্দোলন-সংগ্রাম কীভাবে হয়েছিল, আমরা হয়তো মাঠে লড়াই-সংগ্রাম করেছি। বৃহত্তর সেদিনের কারাগারে সাত কোটি মানুষ বন্দি থেকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করেছিল, দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। তাদের একজন পুরোধা নারী ছিলেন এই শহীদ জননী জাহানারা ইমাম’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা বড় ভুল থেকে যায়। আমরা কিছুটা হলেও, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু আমাদের অপরপক্ষ, সেদিনের রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, এই ঘাতক দালালরা কীভাবে নয় মাস লুণ্ঠন করেছে, অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের হত্যা করেছে, পাক-হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে, সেই দিকটা কিন্তু আমরা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা যথাযথভাবে না হলেও কিছুটা আলোচনা হয়, কিন্তু ওই দিকটা একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাসটা ব্যাপকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও আলোচনায় আনা উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের যেই আত্মত্যাগ, সেই ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে। আমি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাবো যে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি যেন পড়ানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবির সমন্বয়ে এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পরে জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী   আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবেই বাংলাদেশে তারা স্বার্থরক্ষা করতে চায়। নির্বাচনের পরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, নতুন সরকারের উপর নতুনভাবে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা শুরু করেছেন। মন্ত্রীদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং ইস্যু সমালোচনা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে দুটি বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রের সংকট ইত্যাদি নিয়ে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নানা ইস্যুতে নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। আর এ কারণেই সরকার আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে নজর রাখছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

মূলত পাঁচটি ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে-

১. ড. ইউনূস প্রসঙ্গ: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হচ্ছে, সেই মামলাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের চার্জশিট, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা- ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিক কোন বক্তৃতা-বিবৃতি না দিলেও এই ড. ইউনূস ইস্যুর পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে ব্যাপারে মার্কিন দূতাবাস এবং ওয়াশিংটন সার্বক্ষণিকভাবে খবর রাখছে বলে জানা গেছে।

২. শ্রম আইন: শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রকাশ্য এবং তারা বারবার শ্রম আইন নিয়ে কথা বলছে। সংশোধিত শ্রম আইনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার বিষয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

৩. নির্বাচন: ভবিষ্যতে নির্বাচন গুলো কতটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং এসব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামত পাওয়া যায় কিনা সেটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি অগ্রাধিকার এজেন্ডা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কারভাবেই বলছে যে, কোন দেশের গণতন্ত্রের কি অবস্থা সেটি নজর রাখা তাদের কুটনৈতিক দায়িত্ব।

৪. মানবাধিকার: মানবাধিকার ইস্যুতেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে এবং সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কেও তারা লক্ষ্য রাখছে।

৫. বেগম জিয়া: বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়া, তার কারাজীবন এবং তার চিকিৎসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খোঁজখবর রাখছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে মানবাধিকার রিপোর্টে বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি হিসেবে দাবি করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। তারা বলেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নন, তিনি জামিনে রয়েছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেগম জিয়ার ইস্যুটি সম্পর্কে নজর রাখছে।

আর এই সবকিছুই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি যারা সরকারবিরোধী, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করছে এবং বাংলাদেশের উপর নতুন করে এক ধরনের চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ড. ইউনূস   খালেদা জিয়া   মানবাধিকার   শ্রম আইন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

শনিবার (০৪ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত 'জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েন, সে ক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। 

তিনি আরও বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকণ্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে। 

তিনি যোগ করেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে। কারণ সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না। 

তিনি আরও বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরণের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। 

আলোচনা সভায় 'জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. লিয়াকত আলী।


তথ্য প্রতিমন্ত্রী   পরিবেশ সাংবাদিকতা   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিক্ষকের মর্যাদা-বেতনের বিষয় নিয়ে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (০৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।


ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‌‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আর শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতনের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’


শিক্ষামন্ত্রী   মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ বাঁচাতে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু প্রকল্প গ্রহণ করলে চলবে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে হ্রদ বাঁচাতে। সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

শনিবার (০৪ মে) দুপুর ১টায় রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উদ্যোগে কাপ্তাই হ্রদে মাছ অবমুক্ত করণ ও মৎস্যজীবীদের বিজিএফ খাদ্য শষ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এসব কথা বলেন মৎস্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এ হ্রদের সাথে শুধু মৎস্য সম্পদ নয়, জড়িত এ অঞ্চলের মানুষের ভবিষ্যত। সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে হ্রদকে পুনরুদ্ধার করতে। সরকারের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সভাপতিত্বে এতে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দীন, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আবদুল আলীম মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য ইনস্টিটিউট ড. মো. জুলফিকার আলী, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। 

উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদ তার যৌবন হারিয়েছে। শুধুমাত্র রক্ষানাবেক্ষণের জন্য। হ্রদকে অপব্যবহার করা হয়েছে। হ্রদ বাঁচাতে হলে এ অঞ্চলের মানুষকে আরও আন্তরিক হতে হবে। এ হ্রদে শুধু জেলে পরিবার নয়, জীবন বাঁচে লাখো মানুষের পরিবারের। হ্রদকে বাঁচাতে, হ্রদের মৎস্য প্রজনন ঠিক রাখতে অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সচেতন হতে হবে সবাইকে। তবেই হ্রদের প্রকৃত চিত্র ফিরে আসবে। পলিজমে হ্রদের যে তলদেশ ভরাট হয়েছে। তা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ঠিক করা যাবে। তবে পানি দূষণমুক্ত করতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। 

এর আগে মৎস্যজীবীদের রঙিন ছাতা ও খাদ্য শষ্য বিতরণ করেন অতিথিরা। একই সাথে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। 


মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী   মো. আব্দুর রহমান   কাপ্তাই হ্রদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন