ইনসাইড বাংলাদেশ

বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ মার্চ, ২০২২


Thumbnail বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো আপস করেননি: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু কখনো শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আপসহীন মনোভাবের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলা কেটেছে গ্রামের কাদা-জল, মেঠোপথ আর প্রকৃতির খোলামেলা পরিবেশে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অত্যন্ত মানবদরদী। কিন্তু অধিকার আদায়ে আপসহীন। ’

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ  গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় প্রখ্যাত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতীয় শিশু দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার’।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘পরোপকার আর অন্যের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সবসময় তিনি নিজেকে জড়িয়ে নিতেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে যেখানেই অন্যায়-অবিচার, শোষণ-নির্যাতন দেখেছেন, সেখানেই প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ব্রিটিশবিরোধী সভা-সমাবেশে অংশ নেন তিনি। ’

‘তিনি গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ পরিচালনা করেন। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৪৭ এ দেশ বিভাগের কিছুদিন পরই তরুণ নেতা শেখ মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন, ব্রিটিশ পরাধীনতার কবল থেকে মুক্তি পেলেও বাঙালি নতুন করে পশ্চিমাদের শোষণের কবলে পড়েছে। শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত হানে বাঙালির মায়ের ভাষা ‘বাংলা’র ওপর। ’

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলা ভাষার দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বঙ্গবন্ধু সচিবালয় গেট থেকে গ্রেফতার হন। এভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম ও কারাভোগের মধ্য দিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে চলেন। ’

‘১৯৪৮ সালে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’, ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানসিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। ’

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির আবেগ ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন‍,‍‍ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। ’

‘একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার ডাকই দেননি বরং মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কেও দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। ’

বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থায় শাসকগোষ্ঠী তাঁকে প্রহসনমূলকভাবে ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় আমি বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা’। দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ’

যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে জাতির পিতা ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করেন। দেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার সব ধরনের প্রস্তুতি তিনি গ্রহণ করেন। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। ’

‘জলে-স্থলে-আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট হেনরি কিসিঞ্জার সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছা যায়। ’

আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘৭ কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না’। আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। আজ সব আশঙ্কা ও নেতিবাচক ভবিষ্যৎবাণী ভুল প্রমাণ করে জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দিকে। ’

বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির চিরন্তন প্রেরণার উৎস মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাজনীতিতে তিনি ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বাংলাদেশকে জানতে হলে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে জাতি এগিয়ে যাক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে, নোঙর ফেলুক বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলায়’। ’

বঙ্গবন্ধু   রাষ্ট্রপতি   জাতির পিতা   বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন   জন্মদিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় যৌতুকের দাবীতে রিক্তা বানু নামে এক গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ করা হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে গৃহবধুর মা এ অভিযোগ করেন। গৃহবধূর মা’র জবানবন্দি গ্রহন করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।

 

এরপর তিনি মামলাটি সংশ্লিষ্ট বদলগাছী থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন। একই সাথে ঘটনাটি অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গোয়েন্দা শাখা (ডি.বি) নওগাঁকে নির্দেশ দেন।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার বারফলা গ্রামের পিন্টু রহমানের সাথে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী বিয়ে হয় রিক্তা বানুর। বিয়ের পর থেকেই পিন্টু রহমান দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ছামদুলের ছেলে পিন্টু রহমান, কুরানার ছেলে ছামদুল, ছামদুলের স্ত্রী রওশন আরা, গোলা সোনারের ছেলে বাবুল সোনার যৌতুকের জন্য বাদীর মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে।

 

এঘটনায় গৃহবধূর মাতা বদলগাছী থানায় মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) মামলা গ্রহন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। মৃত গৃহবধূর মাতা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে নালিশী মামলা দায়ের করেন।


গৃহবধূ হত্যা   বিষ প্রয়োগ   যৌতুক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ


Thumbnail লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

আগামী ২৯ মে ৩য় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনের এই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনও। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

 

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও রির্টানিং কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ। 

 

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী (আনারস), জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু (কাপ পিরিচ), বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা রহমত উল্যা বিপ্লব (ঘোড়া), মোঃ আবুল কাশেম (দোয়াত কলম) ও মোঃ নিজাম উদ্দিন (মোটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো হাফিজ উল্যা (মাইক), সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা মামুনুর রশিদ (উড়োজাহাজ), জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ পাটওয়ারী (বই), মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (তালা) ও মোঃ মাসুদুর রহমান (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা (ফুটবল), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার (হাঁস প্রতীক) ও সেলিনা খানম (পদ্মফুল) প্রতীক পেয়েছেন। 

 

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ জন, পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৩ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৫ জন ভোটার। মোট ভোট কেন্দ্র ১৯২ টি। 

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপের নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে।


উপজেলা নির্বাচন   ৩য় ধাপ   প্রতীক বরাদ্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ০২:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সই করা সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল গত ১০ মে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের গত ১১ মে দিন ধার্য ছিল। ১৬ মে পর্যন্ত বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ১৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৯ মে। সবশেষ আগামী ৫ জুন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ৬ মে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। তার একদিন পর ৮ মে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপরেই নির্বাচনের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি।

গত ১৬ মার্চ ওই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মারা যান। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ২৩ এপ্রিল আসনটিতে উপনির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। 


উপজেলা নির্বাচন   ঝিনাইদহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার (১৩ মে) ভোরে উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উখিয়ার আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প- এক্সটেনশনের সি-এর নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মোঃ ইলিয়াস। ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে এবং সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোঃ ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান। 


হেড মাঝি   রোহিঙ্গা ক্যাম্প   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু, আটক ৩

প্রকাশ: ০১:২৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থক আব্দুল আলিম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

 

রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে ঢাকায় হাসপাতলে নেওয়ার পথে আব্দুল আলিমের মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল আলিম উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে। 

 

এঘটনায় আটককৃতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত একরাম আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০), রাসেল (২২) ও আবুল হোসেন (৬৫) ।

 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী ছিলেন। ৮ মে নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সরকার বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর আমিনুল ইসলামের কর্মী চাঁন মিয়া, রাসেল, আবুল বাবলু, মান্নান, সাদ্দাম ও খালেক মেম্বারের নেতৃত্বে আব্দুল আলীমের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওইদিন তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরান। অবস্থা অবনতি হলে সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  

 

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ‘নির্বাচনের দিন রাতে দুপক্ষের মধ্য মারামারি হয়। তারা একে অপরের চাচাতো ভাই। তারা দুজন দুই প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। আব্দুল আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'


নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা   মৃত্যু   আটক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন