ইনসাইড বাংলাদেশ

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষত

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail বিচারপতি সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষত

সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতি, দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ আজ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন তার শেষ জীবনটা কাটিয়েছিলেন অত্যন্ত নীরবে-নিভৃতে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করার সময় তার অনেকগুলো ভূমিকাই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আর এ কারণেই রাষ্ট্রপতির পদ থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি নিভৃতচারী হয়েগিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার এক ধরনের দূরত্বও তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি নিরবেই চলে গেলেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ধরনের আবেগ যেমন কাজ করেছে তেমনি অভিমান কাজ করেছে। আজ বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ এর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। 

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ তার কর্মজীবনে একসময় গোপালগঞ্জের এসডিও'র দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আর সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার এক ধরনের শ্রদ্ধা সব সময় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন এই নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিন দলীয় জোট সর্বসম্মতভাবেই তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দেয়। কিন্তু বেঁকে বসেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনি তার বিচারিক দায়িত্ব অসম্পূর্ণ রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হতে অসম্মতি জানান। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে এবং তার অনুরোধেই শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে রাজি হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন আহমদ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে ১৯৯১ সালে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেন। এই নির্বাচনের পর সংবিধান সংশোধনী করা হয় এবং তিনি আবার স্বপদে অর্থাৎ প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যান।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি যখন অবসর গ্রহণ করেন সেই সময় ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ শাসনের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উদার এবং স্বচ্ছ। তিনি রাষ্ট্রপতির পদটিকে একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যে, জাতির অভিভাবক হিসেবে এই পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেন কাজ করেন। আর সেকারণেই শেখ রেহানাকে নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদর কাছে। তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ সেই অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি যে শ্রদ্ধা এবং আস্থা রেখেছিলেন, সেই আস্থার প্রতিদান কি সাহাবুদ্দিন আহমদ দিতে পেরেছিলেন? এই প্রশ্নটি রাজনৈতিক অঙ্গনে চিরকাল থাকবে। কারণ রাষ্ট্রপতি হওয়ার সাথে সাথেই তিনি রাষ্ট্রপতি পদটিকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা শুধু কবর জিয়ারতের। কবর জিয়ারত ছাড়া রাষ্ট্রপতির কোনো ক্ষমতা নেই। 

এছাড়া তিনি সরকারের বিভিন্ন বিলের ব্যাপারে নানারকম আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ এর ওপর শেখ হাসিনা অনেকটাই আস্থা রেখেছিলেন। সেই আস্থার প্রতিদান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ কতটা দিয়েছিলেন সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। কারণ সেই সময় হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে সাহাবুদ্দিন আহমদ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু তিনি প্রায় সময়ই সরকারের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের সমালোচনা করতেন। সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে থাকা একজন ব্যক্তি যদি সরকারের সমালোচনা করেন তা সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়। যে ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, প্রধান বিচারপতি হিসেবে লতিফুর রহমানকে নিয়োগ এবং তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করা এবং ২০০১ এর নির্বাচনের আগে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ এর ভূমিকা সবই প্রধানমন্ত্রীর জন্য এক বেদনাবিধুর স্মৃতি। তিনি যে মানুষটির ওপর আস্থা রেখেছিলেন, বিশ্বাস রেখেছিলেন তার এরকম প্রতিদান হয়তো শেখ হাসিনা কখনোই প্রত্যাশা করেন নি। আর এই ক্ষতটি সারা জীবন হয়তো বয়ে বেড়াবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ   সাহাবুদ্দিন আহমদ   বিচারপতি সাহাবুদ্দিন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪৮ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর চট্টগ্রামে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। রোববার (১৯ মে) সকাল ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। কয়েকদিন টানা তাপপ্রবাহের পর এমন বৃষ্টিতে নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।

এর আগে গত মে চট্টগ্রামে কালবৈশাখী ঝড় হয়। ওইদিন তীব্র বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি আর বজ্রপাত হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৩২ মিলিমিটারের ওই বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগর জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে যানচলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছিল।

এর পর থেকে আর দেখা মিলছিল না বৃষ্টির। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। ছোট-বড় সবার হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। এরই মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়ে নামে নগরবাসীর জন্য।

এদিকে, হঠাৎ বৃষ্টি নামায় ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে বের হওয়া নগরবাসী। ছাতা ছাড়া বের হওয়া লোকজনকে পার্শ্ববর্তী দোকান এবং স্থাপনায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।


চট্টগ্রাম   মহানগরী   বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফিটনেসবিহীন মোটরযান চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ দেওয়ার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অবস্থায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ফিটনেসবিহীন   মোটরযান   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ রক্ষায় জবি শিক্ষার্থী শাকিবের পদযাত্রা

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

 

শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to Protecting Nature".

 

শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি। 

 

হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি। 


পরিবেশ রক্ষা   হাইকিং   পদযাত্রা   জবি শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।

 

এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।

 

এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।

তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


গরু চোর চক্র   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।  

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়। 

প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।


বাংলাদেশ   এভারেস্ট জয়ী   বাবর আলী   মাউন্ট এভারেস্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন