ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এখনো কেনো র‍্যাব?

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২২


Thumbnail উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এখনো কেনো র‍্যাব?

করোনার কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত না হওয়া অংশীদারি সংলাপ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যকার এই অংশীদারি সংলাপ দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এই অংশীদারি সংলাপে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলিটারি ইস্যুতে জিসমিয়া ও আকসা নিয়ে দুটি চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা আগামীতে চুক্তিতে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড। তবে র‍্যাবের ওপরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আলোচনা হলেও ফলপ্রসু কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। বরং তারা বলেছেন, র‍্যাবের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। এমনকি নিষেধাজ্ঞার পর তিন মাসে র‍্যাবের ভূমিকার উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসছে, র‍্যাবের উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এখনো কেনো র‍্যাব?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড বলেছেন, র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জটিল ও কঠিন। যদিও যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। র‍্যাবের ভূমিকা ও র‍্যাব নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে একটি ‘নন পেপার ডোসিয়ার’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি দেখবে। ভবিষ্যতে এ বিষয়েও আলোচনা হবে এবং তার সূত্র ধরে বিষয়টির সুরাহা হবে।

এদিকে, যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডকে পাশে রেখেই র‍্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানানোর কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা সন্ত্রাস ও আন্তর্দেশীয় অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাখ্যা করেছে।

পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, র‌্যাবের কর্মকাণ্ড, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম—এসব নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন। এ সমস্যাগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে গত তিন মাসে আমরা অগ্রগতি দেখেছি। আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব (মাসুদ বিন মোমেন) যা বলেছেন তা আমি আপনাদের বলতে পারি। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ছাড় না দেওয়ার নীতি আছে। আপনারা (বাংলাদেশ) জবাবদিহি, ন্যায়বিচার নিয়ে এখন কাজ করছেন। ’ ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘আমরা সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। কারণ আমাদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলছে, তখন এ দেশের একটি বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দিচ্ছে? জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, মানবাধিকার ও মৌলিক আইনগুলোর লঙ্ঘন দেখলে যুক্তরাষ্ট্র কখনো নীরব থাকবে না। আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি এবং তা অব্যাহত রাখব। কারণ সন্ত্রাস মোকাবেলা ও আইন প্রয়োগ খাতে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

আন্ডারসেক্রেটারি নুল্যান্ড বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশ্বিক মুহূর্তে এবারের আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেন থেকে ভয়াবহ ছবি আসছে। যুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মাসের পর মাস ধরে চলা প্রচেষ্টায় রাশিয়া কান দেয়নি।

ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে—এ প্রশ্ন করা হলে মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি ইউক্রেনে বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউক্রেনের পুরনো ও গভীর সম্পর্ক। বাংলাদেশি অনেক পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী ইউক্রেনে পড়ালেখা করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে কী হচ্ছে তা বাংলাদেশ জানে ও বোঝে। এটি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন এবং বিনা উসকানিতে বর্বর হামলা। আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, সব গণতান্ত্রিক দেশের একজোট হওয়া উচিত। আমি নিশ্চিত, এই যুদ্ধ শেষ করে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আমরা একসঙ্গে দাঁড়াব।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশের সম্ভাব্য ভূমিকা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি নুল্যান্ড বলেন, সেখানে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও কারিগরি খাত আছে। বাংলাদেশ যতটা চায় সে অনুযায়ী সম্পৃক্ত হবে বলে তিনি আশা করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছে। পরররাষ্ট্রসচিব ভাসানচর নিয়ে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সমঝোতার কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সেখানে সম্পৃক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান।

অংশীদারি সংলাপে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেছে। ইউক্রেন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে সামরিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাবিষয়ক জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্টের (জিসোমিয়া চুক্তি) খসড়া হস্তান্তর করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, এ চুক্তিটি নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার কাঠামো চুক্তি। আমরা নিশ্চিত যে এ বিষয়টি সুরাহা করতে পারব। এর ফলে আমরা নিরাপত্তা খাতে একযোগে আরো কাজ করতে পারব।


র‍্যাব   নিরাপত্তা   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছেছেন ২১০৬৩ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছর হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আগুন লাগার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন