ইনসাইড বাংলাদেশ

মানবাধিকার সমুন্নত রেখে র‌্যাবকে দায়িত্ব পালন করতে হবে: র‌্যাব ডিজি

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail মানবাধিকার সমুন্নত রেখে র‌্যাবকে দায়িত্ব পালন করতে হবে: র‌্যাব ডিজি

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, মানবাধিকার সমুন্নত রেখে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সব ধরনের ব্যক্তিস্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে থেকে র‌্যাব সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার বিশ্বাস, করোনাকালীন র‌্যাব কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘র‌্যাব মেমোরিয়াল ডে’ উপলক্ষে কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূলমন্ত্রকে বুকে লালন করে আগামীতে আরও উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে আপনারা আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করবেন। আপনাদের সার্বিক সাফল্যে র‌্যাবের ভাবমূর্তি ও কর্মতৎপরতা অনেকগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদের দেশও আক্রান্ত হয়। এই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে র‌্যাব সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করে। এই যুদ্ধে র‌্যাবের সাত সদস্য আত্মত্যাগ করেন। যারা আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষা ও দেশ প্রেমের সুমহান আদর্শে বলীয়ান হয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগের এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব করোনাকালীন দুর্যোগের সময় দেশের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের সেবায় করোনাকালীন নিজেদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে মানবসেবায় দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে।

এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মবিকাশের লগ্ন থেকেই র‌্যাব তার কার্যসম্পাদনায় সচেতন কর্মদক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গত এক বছরে র‌্যাবের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত র‌্যাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনের ৩২৮ জলদস্যু পুনর্বাসিত হয়েছেন। র‌্যাবের মাধ্যমে প্রদত্ত অনুদান প্রত্যেক জলদস্যুকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। এ বছর আমরা তাদের ১০২টি ঘর, ৯০টি মুদিদোকান (মালামালসহ), ১২টি জাল ও মাছ ধরার নৌকা, ৮টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ২২৮টি গবাদিপশু প্রদান করেছি, যোগ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি বলেন, এছাড়াও এ পর্যন্ত ৩২টি জলদস্যু/বনদস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র ও ২২ হাজার ৫০৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ র‌্যাবের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। জলসদ্যুদের আত্মসমর্পণ করানোর মধ্যেই র‌্যাব ক্ষ্যান্ত যায়নি। বরং এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করেছে। সুন্দরবনে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। এছাড়াও র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজার ও মহেশখালী উপকূলীয় অঞ্চলের ১৮টি বাহিনীর ৭৭ জন সদস্য ১৮৮টি অস্ত্র ও ৯ হাজার ৭০৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২৫ লাখ বনজীবীর জন্য স্বস্তির দুয়ার খুলে দিতে পেরেছি। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব এলিট ফোর্স র‌্যাবের।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, বিগত বছরগুলোতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান ছিল র‌্যাবের জন্য অন্যতম একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে গুলিবিনিময়ে ১০০ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। অভিযানে গুলিবিদ্ধ হন ছয় র‌্যাব সদস্য। অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের নিদর্শনস্বরূপ ২০২০ এবং ২০২১ সালে মোট ৬০ জন র‌্যাব সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী বিপিএম (সাহসিকতা) পদকে ভূষিত করেছেন।

‘আর এমনিভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি জঙ্গি, চরমপন্থি ও সন্ত্রাস দমন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা রোধ, ভেজালবিরোধী অভিযান, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও গতিশীল রাখা এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কর্মসূচিতে র‌্যাবের বীরত্বগাথা অবদান সব মহলে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। আপনারা জানেন, শুধু তাই নয়, আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, অপহরণকৃত ভিকটিম উদ্ধারে র‌্যাবই হলো মানুষের শেষ ভরসা স্থল।’

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, শুরুতে চারটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে র‌্যাব গঠিত হলেও সময় ও পরিস্থতির দাবি মোতাবেক সর্বশেষ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় র‌্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, সব প্রকার সন্ত্রাসী-অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সমন্বিত পরিকল্পনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে সফল অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব আজ একটি সুসংগঠিত ও গতিশীল বাহিনী হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত। র‌্যাবে কর্মরত সব সদস্যের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, মেধা ও পরিশ্রমের ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে এটি সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গত দেড় যুগের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় র‌্যাবের কর্মকলেবর বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নানা চ্যালেঞ্জ ও বৈচিত্র্য এসেছে অভিযানে, ফলে ভিন্নতা পেয়েছে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার গতানুগতিক কার্যক্রমে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় র‌্যাবকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা প্রতিরোধের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়ন তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে সদা তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, র‌্যাব ফোর্সেস দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই জনমানুষের অকুণ্ঠ আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমন, চরমপন্থি দমন, জলদস্যু দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সর্বশেষ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। র‌্যাবের বিশেষ উদ্যোগে র‌্যাব ডি-র‌্যাডিকালাইজেশন ও রি-হ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম ‘নবদিগন্তের পথে’ অত্যন্ত অভিনব ও যুগান্তকারী এই উদ্যোগ। অপরাধীর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় আবার তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এর উদ্দেশ্য।

আত্মসমর্পণকৃত ৪২১ জন সন্ত্রাসীর (জলদস্যু ও জঙ্গি) পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যুক্ত রয়েছে। এভাবে অপরাধ দমনে বহুমুখী কর্মপন্থা নিয়ে র‌্যাব কাজ করছে। অপরাধ সমূলে উৎপাটনে র‌্যাবের এই বহুমুখী, অভিনব ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ শুধু দেশে নয় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। মানবিকতা দিয়ে অপরাধ দমনের এ সাফল্য বিশ্বের বুকে নজিরবিহীন, যোগ করেন র‌্যাব মহাপরিচালক।

র‌্যাব   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে পৌঁছেছেন ২১০৬৩ হজযাত্রী

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছর হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৬ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ১৭ হাজার ৩১৬ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৫৩টি।

এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৬টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ১৯টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন হজযাত্রীরা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। আর হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং ২২ জুলাই শেষ হবে।


হজযাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুর মেডিকেলের আগুন নিয়ন্ত্রণে: জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর রুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আগুন লাগার বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।  


ডোনাল্ড লু   মার্কিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে আহত ৩


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।

 

এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।

 

আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’

 

শ্রীপুর গ্রামের সাজুর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আমি মঙ্গলবার (১৪ মে) চারাগাঁও সীমান্তের চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথরের ডিপোতে ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী পাই, এরপর এটি পরীক্ষা করার জন্য মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে নিয়ে গেলে বিষ্ফোরণ ঘটে।’

চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’


ডেটোনেটর   বিস্ফোরণ   আহত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যেভাবে কেটেছে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র ২৩ নাবিকের বন্দিজীবন

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’

জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।

গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি। এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।

ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ

বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’

দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয় কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’

সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।

খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের ২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’


এমভি আবদুল্লাহ   সোমালিয়ান জলদস্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন