গত ২৪ মার্চ রাতে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ এক কলেজছাত্রীকে রাস্তার ওপর গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটে খুনিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশ ও র্যাবের তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। আর এই হত্যাকাণ্ড ঘটার পর থেকেই রাজধানীতে আবার ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড আবার নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, সারা দেশে এই মুহৃর্তে ঠিক কতজন সন্ত্রাসী রয়েছে, তার সঠিক তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে থানাসহ প্রতিটি জেলায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আছে। তাদের অনেকেই ভাড়াটে সন্ত্রাসী। রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি ঠিকাদাররাও এদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর কয়েকটি এলাকার ব্যবসায়ী, রাজনীতিকসহ অন্তত সাতজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সন্ত্রাসীদের নিয়মিত চাঁদা দেন। টাকা না দিলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত আসে। কেউ কেউ এমন হুমকি পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। টিপু হত্যার পর তাঁর স্ত্রীকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, রমনা, ধানমণ্ডি, উত্তরা ও পুরান ঢাকায় এ ধরনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী আছে। এদের বড় অংশ বর্তমানে দেশের বাইরে বা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে অস্থানকারী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগী। কেউ কেউ আছে প্রভাবশালী স্থানীয় কোনো না কোনো নেতার ছত্রচ্ছায়ায়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, রমনা, ধানমণ্ডি, উত্তরা ও পুরান ঢাকায় এ ধরনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী আছে। এদের একাধিক উপদল আছে। এর মধ্যে মুসা এবং সালেহ মতিঝিল এলাকায়ও সক্রিয়। একইভাবে মগবাজার, শাহবাগসহ রমনা এলাকায় অন্তত ২০ জন, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান, আগারগাঁওয়ের একাংশ ও বেড়িবাঁধ এলাকাসহ তেজগাঁও বিভাগে ২৫ জনের মতো, পুরান ঢাকার লালবাগ, ওয়ারী এবং গুলশান ও উত্তরায় ১৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী আছে বলে সূত্রগুলো বলছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘টিপু হত্যায় শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী নয়, আন্ডারগ্রাউন্ডের কিছু সন্ত্রাসীর নামও আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এ বিষয়েও তদন্ত চলমান। ’
একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডসহ চাঞ্চল্যকর খুন বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন। বেশির ভাগ রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে স্থানীয় নেতাদের রেষারেষির কারণে। তাঁরা নিজেদের স্বার্থে ভাড়াটে খুনিদের ব্যবহার করছেন।
থানা পর্যায়ে পুলিশের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বছরে ঢাকায় গড়ে ২৫০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে কমবেশি হয় চার হাজার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন